অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর
অদল বদল ( পান্নালাল প্যাটেল )
ক) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) – মান ১ (৫০টি)
১. ‘অদল বদল’ গল্পের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম কী?
২. ঘটনাটি কোন উৎসবের দিন ঘটেছিল?
৩. অমৃত ও ইসাব দুজনেই কী পরার জন্য বায়না ধরেছিল?
৪. অমৃতের ক’জন ভাই ছিল?
৫. কে অমৃতকে কুস্তিতে হারিয়ে দিয়েছিল?
৬. অমৃতের জামা কতটা ছিঁড়ে গিয়েছিল?
৭. “অদল বদল” করার প্রস্তাবটি প্রথম কে দিয়েছিল?
৮. ইসাবের বাবার নাম কী?
৯. ‘অদল বদল’ গল্পটি বাংলায় কে অনুবাদ করেছেন?
১০. অমৃতের বয়স কত ছিল?
১১. “মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল” – মা কাকে বুঝিয়েছিল?
১২. অমৃত আর ইসাব দুজনকেই কেমন দেখতে ছিল?
১৩. “আগের বছর ঠিক এই সময়ে” – কী হয়েছিল?
১৪. অমৃতের মা শেষ পর্যন্ত কী করতে রাজি হয়েছিলেন?
১৫. গ্রাম প্রধান অমৃত ও ইসাবকে কী বলে ডাকলেন?
১৬. ইসাবের বাবা কী করতেন?
১৭. অমৃতের মা নতুন জামা কিনে দিতে রাজি ছিলেন না কেন?
১৮. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে” – বক্তা কে?
১৯. অমৃত আর ইসাবের নতুন জামাটি কী কাপড়ের ছিল?
২০. অমৃতকে কুস্তির জন্য কে উস্কেছিল?
২১. জামা ছিঁড়ে যাওয়ার পর অমৃত ও ইসাব কোথায় লুকিয়েছিল?
২২. অমৃতের মা যখন সব জানতে পারলেন, তখন তাঁর মুখ কেমন হয়ে গেল?
২৩. “শোনো, অমৃত!” – অমৃতকে কে ডেকেছিল?
২৪. পান্নালাল প্যাটেল কোন ভাষার লেখক?
২৫. “ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।” – কেন?
২৬. অমৃত তার মাকে কী বলে ভয় দেখিয়েছিল?
২৭. অমৃতের বাবা কী কাজ করতেন?
২৮. “ওর বাবা ওকে মেরে ফেলবে।” – কার বাবা কাকে মেরে ফেলবে?
২৯. অমৃত ও ইসাবকে একরকম দেখতে হওয়ায় তারা কী ঠিক করেছিল?
৩০. ‘অদল বদল’ গল্পটি কোন বিষয়কে মহিমান্বিত করেছে?
৩১. “পাঠানের গল্প শোনার জন্য” – কে, কাকে জড়িয়ে ধরল?
৩২. জামা বদলের পর ইসাবের মুখটা কেমন হয়ে গিয়েছিল?
৩৩. “এসো, আমরা কুস্তি করি।” – এই প্রস্তাবটি কার ছিল?
৩৪. অমৃতের মা সব ঘটনা কার কাছ থেকে শুনেছিলেন?
৩৫. ইসাবের বাবা যখন অমৃতকে জড়িয়ে ধরেন, তখন তিনি কী করছিলেন?
৩৬. অমৃত ও ইসাব কোন গ্রামে বাস করত?
৩৭. অমৃতের ক’টি ভাইবোন?
৩৮. “ঠিক সময়ে এসেছিস, যা।” – বক্তা অমৃতকে কোথায় যেতে বলেছিল?
৩৯. গ্রাম প্রধানের নাম কী ছিল?
৪০. “অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।” – এই জবাব কী ছিল?
৪১. ‘এক রকম’ হওয়ার জন্য অমৃত ও ইসাব কী করেছিল?
৪২. অমৃতের মা-বাবার ক’টি সন্তান?
৪৩. জামা বদলের পর অমৃত কোথায় গিয়েছিল?
৪৪. অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ নামটি কে দিয়েছিল?
৪৫. “এখন তোমাদের দুজনের বাবা-মা আলাদা বলা যায় না।” – এই মন্তব্য কে করেছিল?
৪৬. গল্পের শেষে অমৃতের মা কীসের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন?
৪৭. কুস্তি লড়ার সময় কার জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল?
৪৮. ইসাব ভয় পেয়েছিল কেন?
৪৯. “ওর শান্ত গলা শুনে… অমৃতের সাহস বাড়লো।” – কার শান্ত গলা?
৫০. গল্পের শেষে ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠেছিল কেন?
খ) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী (SAQ) – মান ১ (৪০টি)
১. ‘অদল বদল’ গল্পটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: ‘অদল বদল’ গল্পটির লেখকের নাম পান্নালাল প্যাটেল।
২. গল্পটি বাংলায় কে তরজমা করেছেন?
উত্তর: গল্পটি বাংলায় তরজমা করেছেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।
৩. অমৃত ও ইসাবের বয়স কত ছিল?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের বয়স ছিল দশ বছর।
৪. কোন উৎসবের দিনে ঘটনাটি ঘটেছিল?
উত্তর: হোলি উৎসবের দিনে ঘটনাটি ঘটেছিল।
৫. অমৃতের ক’টি ভাইবোন ছিল?
উত্তর: অমৃতের তিনজন ভাই ছিল, কোনো বোন ছিল না।
৬. অমৃত কীসের জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল?
উত্তর: অমৃত ইসাবের মতো একটি নতুন জামার জন্য মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল।
৭. কুস্তি লড়াইতে কে জিতেছিল?
উত্তর: কুস্তি লড়াইতে কালিয়া জিতেছিল।
৮. কার জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল?
উত্তর: কুস্তি লড়ার সময় অমৃতের জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল।
৯. জামা অদল বদল করার প্রস্তাবটি কে দিয়েছিল?
উত্তর: জামা অদল বদল করার প্রস্তাবটি অমৃত দিয়েছিল।
১০. ইসাব কী দেখে ভয় পেয়েছিল?
উত্তর: অমৃতের ছেঁড়া জামা দেখে বাবার মারের ভয়ে ইসাব ভয় পেয়েছিল।
১১. অমৃতের মা প্রথমে কেন রেগে গিয়েছিলেন?
উত্তর: হোলির দিনে নতুন জামা ছিঁড়ে ফেলায় অমৃতের মা প্রথমে রেগে গিয়েছিলেন।
১২. ইসাবের বাবার নাম কী?
উত্তর: ইসাবের বাবার নাম হাসান।
১৩. “নতুন জামা না পেলে আমি স্কুলে যাব না।” – উক্তিটি কার?
উত্তর: উক্তিটি অমৃতের।
১৪. অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ বলে কারা ডাকতে শুরু করে?
উত্তর: গ্রামের ছেলের দল অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ বলে ডাকতে শুরু করে।
১৫. গ্রাম প্রধান অমৃত ও ইসাবের নতুন নাম কী দিয়েছিলেন?
উত্তর: গ্রাম প্রধান অমৃতের নাম দিয়েছিলেন ‘অদল’ এবং ইসাবের নাম দিয়েছিলেন ‘বদল’।
১৬. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।” – খাঁটি জিনিসটি কী?
উত্তর: এখানে খাঁটি জিনিস বলতে অমৃতের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব ও ভালোবাসাকে বোঝানো হয়েছে।
১৭. অমৃত ও ইসাব কোথায় লুকিয়েছিল?
উত্তর: অমৃত ও ইসাব মন্দিরের পেছনের ছায়ায় লুকিয়েছিল।
১৮. হাসান অমৃতকে কোথায় যেতে বলে?
উত্তর: হাসান অমৃতকে তার ছেলে ইসাবের কাছে যেতে বলে।
১৯. অমৃতের মা-বাবা ক’টি সন্তানের ভরণপোষণ করতেন?
উত্তর: অমৃতের মা-বাবা চারটি সন্তানের ভরণপোষণ করতেন।
২০. অমৃতের জামা কতখানি ছিঁড়েছিল?
উত্তর: অমৃতের জামা প্রায় ছয় ইঞ্চি পরিমাণ ছিঁড়েছিল।
২১. “তোদের tailles এক রকম” – এই কথাটি কে বলেছিল?
উত্তর: এই কথাটি অমৃতের মা বলেছিলেন।
২২. কালিয়া কার সঙ্গে কুস্তি লড়তে চেয়েছিল?
উত্তর: কালিয়া অমৃতের সঙ্গে কুস্তি লড়তে চেয়েছিল।
২৩. অমৃতকে দেখে তার মায়ের মুখ কীসে ভরে গেল?
উত্তর: অমৃতকে দেখে তার মায়ের মুখ বিস্ময়ে ভরে গেল।
২৪. গল্পের শেষে অমৃতের মা কার কাছে প্রার্থনা করেন?
উত্তর: গল্পের শেষে অমৃতের মা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।
২৫. হাসান কাকে জড়িয়ে ধরে পাঠানদের গল্প শোনাতে চাইলেন?
উত্তর: হাসান অমৃতকে জড়িয়ে ধরে পাঠানদের গল্প শোনাতে চাইলেন।
২৬. অমৃতের মা ছেলেদের কী বলে আশীর্বাদ করেন?
উত্তর: অমৃতের মা ছেলেদের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা অটুট থাকার আশীর্বাদ করেন।
২৭. অমৃত কোন কথায় রাজি না হলে ইসাব কেঁদে ফেলত?
উত্তর: অমৃত যদি তার মতো জামা না পরত, তাহলে ইসাব কেঁদে ফেলত।
২৮. “ওর বাবা ওকে टाक्या দিয়ে সারিয়ে দেবে।” – কী সারিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ছেঁড়া জামাটি সেলাই করে সারিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২৯. অমৃত ও ইসাব দুজনেই কোন বিষয়ে একমত ছিল?
উত্তর: হোলির দিনে তারা দুজনেই একই রকম নতুন জামা পরবে, এই বিষয়ে একমত ছিল।
৩০. কালিয়ার চেহারার বর্ণনা দাও।
উত্তর: কালিয়া ছিল অমৃতের চেয়ে এক বছরের বড় এবং বেশ শক্তিশালী বা জোয়ান।
৩১. “আয়, আমরা অদল বদল খেলি।” – খেলাটি কী ছিল?
উত্তর: খেলাটি ছিল অমৃত ও ইসাবের জামা পরস্পরের সঙ্গে বদল করা।
৩২. জামা বদলের পর অমৃতের মনে কীসের ভয় ছিল?
উত্তর: জামা বদলের পর অমৃতের মনে মায়ের মারের ভয় ছিল।
৩৩. হাসান শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
উত্তর: হাসান সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি অমৃত ও ইসাব দুজনকে নিয়ে দোকানে গিয়ে দুজনের জন্য নতুন জামা কিনে দেবেন।
৩৪. অমৃতের মায়ের রাগ কখন কমে গিয়েছিল?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনা শুনে অমৃতের মায়ের রাগ কমে গিয়েছিল।
৩৫. “তুই ওকে জাপটে ধরে থাক” – কে, কাকে জাপটে ধরতে বলেছিল?
উত্তর: অমৃতের মা ইসাবকে অমৃতকে জাপটে ধরতে বলেছিল।
৩৬. ‘অদল বদল’ গল্পটি কোন ধরনের গল্প?
উত্তর: ‘অদল বদল’ গল্পটি একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের গল্প।
৩৭. গল্পের মূল ঘটনাটি কী?
উত্তর: গল্পের মূল ঘটনাটি হলো দুই বন্ধুর একে অপরের বিপদে জামা অদল-বদল করে পাশে দাঁড়ানো।
৩৮. ইসাব ও অমৃতের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল?
উত্তর: ইসাব ও অমৃতের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর ও আন্তরিক বন্ধুত্বের।
৩৯. “ওর ভয়ে কাঠ হয়ে গেল” – কার, কেন এমন অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: অমৃতের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় ইসাব তার বাবার মারের ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল।
৪০. অমৃতের বাবা-মা কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন?
উত্তর: অমৃতের বাবা-মা স্নেহপ্রবণ এবং মানবিক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।
গ) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী – মান ৩ (২৫টি)
১. “অদল বদল” করার প্রস্তাবটি কে, কেন দিয়েছিল?
উত্তর: “অদল বদল” করার প্রস্তাবটি অমৃত দিয়েছিল। কুস্তি লড়তে গিয়ে অমৃতের জামা ছিঁড়ে যায়। তার বন্ধু ইসাব ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে, বাড়ি ফিরলে তার বাবা তাকে খুব মারবে। বন্ধুকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই অমৃত তার ছেঁড়া জামাটি ইসাবকে দিয়ে ইসাবের ভালো জামাটি নিজে পরার প্রস্তাব দিয়েছিল।
২. অমৃতের মা প্রথমে অমৃতের উপর রেগে গিয়েছিলেন কেন? তাঁর রাগের কারণ কী?
উত্তর: অমৃতের মা প্রথমে অমৃতের উপর রেগে গিয়েছিলেন কারণ হোলির দিনে সে তার নতুন জামাটি ছিঁড়ে ফেলেছিল। অমৃতের পরিবারে মোট চারটি সন্তান, তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। অনেক বায়নার পর অমৃতকে নতুন জামা কিনে দেওয়া হয়েছিল। সেই জামা ছিঁড়ে ফেলায় মায়ের পক্ষে রাগ করাটাই স্বাভাবিক ছিল।
৩. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে” – বক্তা কে? ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: উক্তিটির বক্তা হলেন ইসাবের বাবা হাসান। ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে এখানে অমৃতের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগকে বোঝানো হয়েছে। অমৃত নিজের মারের ভয় না করে, বন্ধু ইসাবকে বাঁচানোর জন্য নিজের ছেঁড়া জামাটি তাকে দিয়েছে। এই মহানুভবতা ও純粹 ভালোবাসাই হলো ‘খাঁটি জিনিস’।
৪. “আজ থেকে তোমার ছেলে আমার” – কে, কাকে এই কথা বলেছে? এই উক্তির কারণ কী?
উত্তর: ইসাবের বাবা হাসান অমৃতের মাকে এই কথাটি বলেছে। অমৃত যেভাবে নিজের বিপদের কথা না ভেবে তার ছেলে ইসাবকে বাঁচিয়েছে, তাতে হাসান গভীরভাবে মুগ্ধ ও কৃতজ্ঞ হয়েছিলেন। অমৃতের এই ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে এবং দুই পরিবারের মধ্যেকার সম্প্রীতিকে আরও দৃঢ় করার জন্য তিনি এই কথাটি বলেছিলেন।
৫. “ছেলেদের জামা অদল বদল” – এই ঘটনাটি কীভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির হয়ে উঠল?
উত্তর: অমৃত (হিন্দু) এবং ইসাব (মুসলমান) দুই ভিন্ন ধর্মের হলেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। অমৃত যখন বন্ধুর বিপদে নিজের ভালো জামাটি তাকে দিয়ে দেয়, তখন সে ধর্মের বিভেদকে তুচ্ছ প্রমাণ করে। এই ঘটনা দুই পরিবার এবং গোটা গ্রামকে শিখিয়ে দেয় যে, ভালোবাসার কাছে ধর্মের কোনো প্রাচীর থাকে না। তাই এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির হয়ে ওঠে।
৬. অমৃতের মা কীভাবে নতুন জামা কিনে দিতে রাজি হয়েছিলেন?
উত্তর: প্রথমে অমৃতের মা নতুন জামা কিনে দিতে রাজি ছিলেন না, কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। কিন্তু অমৃত যখন প্রতিজ্ঞা করে যে, ইসাবের মতো জামা না পেলে সে স্কুলে যাবে না, তখন তার বাবা হাল ছেড়ে দেন। অমৃতের জেদ এবং তার পড়াশোনার কথা ভেবেই শেষ পর্যন্ত তার মা নতুন জামা কিনে দিতে রাজি হন।
৭. গ্রাম প্রধান অমৃত ও ইসাবের নতুন নাম ‘অদল’ ও ‘বদল’ রাখলেন কেন?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনাটি যখন গ্রাম প্রধান জানতে পারেন, তখন তিনি তাদের গভীর বন্ধুত্বে মুগ্ধ হন। এই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং তাদের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তিনি ভালোবেসে অমৃতের নাম দেন ‘অদল’ এবং ইসাবের নাম দেন ‘বদল’।
৮. “ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।” – ইসাবের মেজাজ চড়ে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: হোলির দিনে অমৃত ও ইসাব নতুন জামা পরে ঘুরতে বেরিয়েছিল। তখন কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়ার জন্য আহ্বান জানায়। ইসাব জানত, কুস্তি লড়লে নতুন জামা নোংরা বা ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই সে অমৃতকে বারণ করেছিল। কিন্তু অমৃত রাজি হওয়ায় ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল।
৯. “পাঠানের গল্প শোনার জন্য” – কে, কেন এই কথা বলেছিল?
উত্তর: ইসাবের বাবা হাসান এই কথাটি বলেছিলেন। তিনি যখন অমৃতের আত্মত্যাগের কথা জানতে পারেন, তখন তিনি অমৃতকে বুকে জড়িয়ে ধরে এই কথা বলেন। পাঠানরা তাদের বীরত্ব ও বন্ধুত্বের জন্য বিখ্যাত। হাসান অমৃতের কাজের মধ্যে সেই পাঠানদের মতো মহত্ত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন এবং তাকে ভালোবেসে গল্প শোনানোর কথা বলেন।
১০. অমৃতের মায়ের চরিত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: অমৃতের মা একজন স্নেহময়ী কিন্তু বাস্তববাদী মহিলা। তিনি একদিকে যেমন সংসারের আর্থিক অনটনের কথা ভেবে অমৃতের বায়না মেটাতে চান না, তেমনই ছেলের জেদের কাছে হার মানেন। প্রথমে জামা ছেঁড়ার জন্য রেগে গেলেও, পরে যখন তিনি অমৃতের মহৎ কাজের কথা জানতে পারেন, তখন তার মন গর্ব ও ভালোবাসায় ভরে ওঠে। তার চরিত্রটি সাধারণ বাঙালি মায়ের এক সার্থক প্রতিচ্ছবি।
১১. “অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।” – কোন জবাব, কীভাবে বক্তাকে বদলে দিয়েছিল?
উত্তর: এখানে ‘জবাব’ বলতে অমৃতের কাজ বা আচরণকে বোঝানো হয়েছে। ইসাবের বাবা হাসান যখন অমৃতকে প্রশ্ন করেন, কেন সে এমন করল, তখন অমৃতের নীরবতা ও তার আত্মত্যাগই ছিল আসল জবাব। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব দেখে হাসানের মনে জমে থাকা রাগ ও কঠোরতা গলে যায়। তিনি বুঝতে পারেন, ভালোবাসার শক্তি শাসনের চেয়ে অনেক বড়। এই উপলব্ধিই তাকে বদলে দিয়েছিল।
১২. ‘অদল বদল’ গল্পে বন্ধুত্বের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে এক純粹 মানবিক সম্পর্ক। তাদের পছন্দ-অপছন্দ, চেহারা—সবকিছুই প্রায় এক। তারা একে অপরের সুখে সুখী এবং দুঃখে দুঃখী। অমৃত যখন বন্ধুর বিপদের কথা ভেবে নিজের নতুন জামাটি তাকে দিয়ে দেয়, তখন তাদের বন্ধুত্ব এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। এই বন্ধুত্ব নিঃস্বার্থ, ত্যাগ ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৩. “ওর শান্ত গলা শুনে… অমৃতের সাহস বাড়লো।” – পরিস্থিতিটি বর্ণনা করো।
উত্তর: জামা অদল-বদল করার পর অমৃত ইসাবের ছেঁড়া জামাটি পরে ভয়ে ভয়ে তার বাড়িতে যায়। সে ভেবেছিল, ইসাবের বাবা তাকে খুব বকাবকি করবেন। কিন্তু হাসান তাকে শান্ত গলায় ডেকে তার নাম জিজ্ঞাসা করেন। তার গলায় কোনো রাগ বা তিরস্কার না থাকায় অমৃতের ভয় কেটে যায় এবং তার সাহস বাড়ে।
১৪. “ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল” – তাদের আনন্দের কারণ কী?
উত্তর: গ্রাম প্রধান যখন অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনা শুনে মুগ্ধ হয়ে তাদের নতুন নাম ‘অদল’ ও ‘বদল’ রাখেন, তখন সেই ঘটনাটি উপস্থিত ছেলেদের খুব আনন্দ দেয়। দুই বন্ধুর এই অসাধারণ বন্ধুত্বের স্বীকৃতি এবং তাদের নতুন নামকরণ—এই দুই মিলেমিশে এক আনন্দের পরিবেশ তৈরি হয়, যার ফলে ছেলের দল চেঁচিয়ে ওঠে।
১৫. হাসান চরিত্রটি সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর: হাসান হলেন ইসাবের বাবা। তিনি একজন সাধারণ চাষী এবং কঠোর প্রকৃতির মানুষ। প্রথমে তাকে একজন রাগী বাবা বলে মনে হলেও, গল্পের শেষে তার ভেতরের স্নেহপ্রবণ ও মানবিক দিকটি প্রকাশ পায়। তিনি যখন অমৃতের ভালোবাসার পরিচয় পান, তখন তার কঠোরতা গলে যায়। তিনি কেবল একজন ভালো বাবা নন, একজন ভালো মানুষও, যিনি খাঁটি জিনিসের কদর করতে জানেন।
১৬. অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বাহ্যিক সাদৃশ্য কী ছিল?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বাহ্যিক সাদৃশ্য ছিল remarkable। তারা দুজনেই ছিল সমবয়সী (দশ বছর)। তাদের দুজনের গায়ের রঙ, মুখের গঠন এবং শরীরের মাপ প্রায় একই রকম ছিল। এই কারণে তারা যখন একই রকম জামা পরত, তখন তাদের আলাদা করে চেনা যেত না। এই সাদৃশ্যই তাদের জামা অদল-বদল করতে সাহায্য করেছিল।
১৭. “ইসাব অমৃতকে নতুন জামা কেনার ব্যাপারে নিরুৎসাহ করেছিল।” – কেন?
উত্তর: ইসাব জানত যে অমৃতের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার তিনটি ভাই রয়েছে এবং তাদের ভরণপোষণ করতে তার বাবা-মায়ের কষ্ট হয়। বন্ধুর পরিবারের এই কষ্টের কথা ভেবেই ইসাব অমৃতকে নতুন জামা কেনার ব্যাপারে নিরুৎসাহ করেছিল। এটি তাদের বন্ধুত্বের গভীরতার পরিচয় দেয়।
১৮. “কিন্তু এবার অমৃত সত্যিই তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল।” – অমৃত কীভাবে তার বাবা-মাকে জ্বালিয়েছিল?
উত্তর: অমৃত ইসাবের মতো নতুন জামা পাওয়ার জন্য জেদ ধরেছিল। সে খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল এবং বেশিরভাগ সময় মনমরা হয়ে বসে থাকত। তার এই ক্রমাগত জেদ ও বায়না তার বাবা-মাকে মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছিল বা ‘জ্বালিয়েছিল’।
১৯. কুস্তির ঘটনাটি গল্পের মোড় কীভাবে ঘুরিয়ে দেয়?
উত্তর: কুস্তির ঘটনাটিই গল্পের মূল দ্বন্দ্ব তৈরি করে। এই কুস্তির ফলেই অমৃতের জামা ছিঁড়ে যায়, যা ইসাবকে তার বাবার মারের ভয়ে ভীত করে তোলে। এই ভয় থেকেই অমৃতের মনে জামা অদল-বদল করার ধারণা আসে। সুতরাং, এই একটি ঘটনাই পরবর্তী সমস্ত ঘটনা এবং গল্পের মূল ভাবটিকে প্রকাশিত হতে সাহায্য করেছে।
২০. “মা হয়ে তুমিDOUBLE standard হতে পারো না।” – এই উক্তির মাধ্যমে অমৃত কী বোঝাতে চেয়েছিল?
উত্তর: এই উক্তি গল্পে সরাসরি নেই, তবে অমৃতের আচরণে এই ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে। অমৃত বোঝাতে চেয়েছিল যে, মা যদি ইসাবের জন্য নতুন জামা মেনে নিতে পারেন, তবে তার জন্যও কেন পারবেন না। সে বোঝাতে চেয়েছিল, বন্ধুত্বের খাতিরে তাদের দুজনের সমান অধিকার থাকা উচিত। তার মা যেন দুই বন্ধুর মধ্যে কোনো পার্থক্য না করেন।
২১. গল্পের শেষে অমৃতের মা কেন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন?
উত্তর: অমৃত ও ইসাবের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব এবং দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্প্রীতির সম্পর্ক দেখে অমৃতের মা গভীরভাবে আপ্লুত হয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, এই ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব যেন সারাজীবন অটুট থাকে এবং কোনো বিপদ যেন তাদের আলাদা করতে না পারে। এই কারণেই তিনি ঈশ্বরের কাছে তাদের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেছিলেন।
২২. জামা বদলের পর অমৃত ও ইসাবের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: জামা বদলের পর অমৃতের মনে ছিল মায়ের মারের ভয়, কিন্তু বন্ধুর জন্য কিছু করতে পারার এক ধরনের তৃপ্তিও ছিল। অন্যদিকে, ইসাবের মনে ছিল কৃতজ্ঞতা, কিন্তু বন্ধুর বিপদের কারণ হওয়ায় তার মুখ ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল। সে অমৃতের জন্য চিন্তিত ছিল।
২৩. “ব্যাপারটা finalement পরিষ্কার হয়ে গেল।” – কোন ব্যাপারটা, কীভাবে পরিষ্কার হলো?
উত্তর: অমৃত ও ইসাব কেন জামা অদল-বদল করেছে, সেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল। প্রথমে অমৃতের মা বা ইসাবের বাবা কেউই আসল কারণটা জানতেন না। কিন্তু যখন ছেলের দল পুরো ঘটনা—কুস্তি, জামা ছেঁড়া এবং বন্ধুকে বাঁচাতে অমৃতের ত্যাগ—সবকিছু খুলে বলল, তখন তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
২৪. কালিয়া চরিত্রটি গল্পে কী ভূমিকা পালন করে?
উত্তর: কালিয়া চরিত্রটি গল্পের প্রধান দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটায়। সে-ই অমৃতকে কুস্তির জন্য আহ্বান জানায়, যার ফলে অমৃতের জামা ছিঁড়ে যায়। সে একজন সাধারণ গ্রাম্য ছেলের প্রতীক যে কিছুটা দস্যি প্রকৃতির। তার কার্যকলাপ অনিচ্ছাকৃতভাবে অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্বের গভীরতা প্রমাণ করার সুযোগ করে দেয়।
২৫. এই গল্পের মূল বার্তা কী?
উত্তর: এই গল্পের মূল বার্তা হলো, সত্যিকারের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের কাছে ধর্ম, বর্ণ বা আর্থিক অবস্থার কোনো ভেদাভেদ থাকে না। নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও সহানুভূতির মাধ্যমে মানুষে মানুষে যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে, তা যেকোনো বিভেদের প্রাচীর ভেঙে দিতে পারে।
ঘ) রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী – মান ৫ (১০টি)
১. ‘অদল বদল’ গল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে, তা আলোচনা করো।
উত্তর:
ভূমিকা: পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পটির নামকরণ তার বিষয়বস্তু ও অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনার নিরিখে অত্যন্ত সার্থক ও সুপ্রযুক্ত।
আক্ষরিক অর্থে ‘অদল বদল’: গল্পের প্রধান ঘটনা হলো দুই বন্ধু অমৃত ও ইসাবের মধ্যে জামার অদল-বদল। কুস্তি লড়তে গিয়ে অমৃতের নতুন জামা ছিঁড়ে গেলে বন্ধু ইসাবকে তার বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অমৃত নিজের ছেঁড়া জামাটি তাকে দিয়ে তার ভালো জামাটি পরে নেয়। এই জামা বদলের ঘটনাই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা নামকরণের আক্ষরিক সার্থকতা প্রমাণ করে।
ভাবগত বা প্রতীকী অর্থে ‘অদল বদল’: এই ‘অদল বদল’ শুধু জামার নয়, এটি দুই বন্ধুর একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ব ও বিপদেরও অদল-বদল। অমৃত ইসাবের বিপদকে নিজের বিপদ বলে মনে করেছে। এই ঘটনা তাদের পরিচয়, ধর্মীয় সত্তা সবকিছুকে এক করে দিয়েছে। গ্রাম প্রধান যখন তাদের নামই ‘অদল’ ও ‘বদল’ রেখে দেন, তখন এই নামকরণ তাদের অভিন্ন বন্ধুত্বের প্রতীকে পরিণত হয়।
উপসংহার: সুতরাং, জামার মতো একটি সামান্য বস্তুর অদল-বদলের মাধ্যমে গল্পটি যেভাবে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মহৎ ভাবনায় উন্নীত হয়েছে, তাতে ‘অদল বদল’ নামকরণটি সর্বাংশে সার্থক হয়ে উঠেছে।
২. অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্বের পরিচয় দাও। তাদের বন্ধুত্ব কীভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সেতু রচনা করেছে?
উত্তর:
ভূমিকা: ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব এক純粹 ও নিঃস্বার্থ সম্পর্কের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাদের এই বন্ধুত্বই গল্পের মূল চালিকাশক্তি।
বন্ধুত্বের পরিচয়:
১. অভিন্ন সত্তা: অমৃত ও ইসাব ছিল হরিহর আত্মা। তাদের বয়স, চেহারা, পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুই ছিল এক। তারা একই রকম জামা পরার জন্য বায়না ধরে, যা তাদের অভিন্ন সত্তার প্রতীক।
২. পারস্পরিক সহমর্মিতা: তারা একে অপরের দুঃখে দুঃখী। ইসাব যখন অসুস্থ হয়েছিল, অমৃত তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিল। আবার অমৃতের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় ইসাব নিজের বাবার ভয়ের চেয়েও বন্ধুর জন্য বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছিল।
৩. চরম আত্মত্যাগ: তাদের বন্ধুত্বের চূড়ান্ত পরিচয় পাওয়া যায় জামা অদল-বদলের ঘটনায়। অমৃত নিজের বিপদের কথা না ভেবে, শুধু বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য নিজের ছেঁড়া জামাটি তাকে পরতে দেয়। এই আত্মত্যাগই তাদের বন্ধুত্বকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সেতু: অমৃত হিন্দু এবং ইসাব মুসলমান। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বে ধর্মের কোনো স্থান ছিল না। তাদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তাদের পরিবারকেও এক সূত্রে বেঁধে দেয়। ইসাবের বাবা অমৃতকে ছেলের মতো গ্রহণ করেন এবং অমৃতের মা তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকার জন্য প্রার্থনা করেন। এভাবেই তাদের বন্ধুত্ব দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ভালোবাসার সেতু রচনা করে।
৩. “ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে।” – বক্তা কে? ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? এই উপলব্ধির পর বক্তার মানসিকতার কী পরিবর্তন হয়েছিল?
উত্তর:
বক্তা: উক্তিটির বক্তা হলেন ইসাবের বাবা হাসান।
‘খাঁটি জিনিস’-এর পরিচয়: ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে এখানে অমৃতের নিঃস্বার্থ, শর্তহীন ভালোবাসা ও বন্ধুত্বকে বোঝানো হয়েছে। অমৃত কোনো প্রাপ্তির আশা না করে, শুধু বন্ধুকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য নিজের নতুন জামাটি তাকে দিয়ে দিয়েছে। এই純粹, মানবিক অনুভূতিই হলো ‘খাঁটি জিনিস’, যা কোনো জাগতিক বস্তুর চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।
বক্তার মানসিক পরিবর্তন: এই উপলব্ধির পর হাসানের মানসিকতায় এক বিরাট পরিবর্তন আসে।
১. কঠোরতা থেকে কোমলতায় রূপান্তর: গল্পের শুরুতে হাসানকে একজন কঠোর ও রাগী বাবা বলে মনে হয়, যার মারে ইসাব ভয় পায়। কিন্তু অমৃতের ভালোবাসার পরিচয় পেয়ে তার ভেতরের কঠোরতা গলে যায় এবং তিনি এক স্নেহপ্রবণ মানুষে রূপান্তরিত হন।
২. সংকীর্ণতা থেকে উদারতায় উত্তরণ: তিনি অমৃতকে শুধু একজন হিন্দু ছেলে হিসেবে দেখেননি, তাকে নিজের ছেলের চেয়েও বড় আসনে বসিয়েছেন। তিনি অমৃতকে বুকে জড়িয়ে ধরে বুঝিয়ে দেন যে, ভালোবাসার কাছে ধর্মের ভেদাভেদ তুচ্ছ।
উপসংহার: এই ঘটনা হাসানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে দেয়। তিনি শাসনের পরিবর্তে ভালোবাসার শক্তিকে উপলব্ধি করেন এবং এক উদার, মানবিক মানুষে পরিণত হন।
৪. “অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।” – কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? অমৃতের কোন জবাব বক্তাকে কীভাবে বদলে দিয়েছিল, তা আলোচনা করো।
উত্তর:
প্রসঙ্গ: অমৃত যখন ইসাবের ছেঁড়া জামা পরে হাসানের সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন হাসান তাকে সব ঘটনা জিজ্ঞাসা করেন। অমৃত ভয়ে ভয়ে সব খুলে বলে। অমৃতের এই কাজ এবং তার পেছনের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার উদ্দেশ্য জেনেই হাসান তার স্ত্রী ও প্রতিবেশীদের কাছে এই উক্তিটি করেছিলেন।
অমৃতের ‘জবাব’ ও তার প্রভাব:
অমৃতের ‘জবাব’ কোনো মুখের কথা ছিল না, ছিল তার কাজ। তার জবাব ছিল—বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও ত্যাগ।
১. ভালোবাসার শক্তি: হাসান হয়তো ভেবেছিলেন, তিনি তার ছেলেকে শাসন করে মানুষ করবেন। কিন্তু অমৃত তাকে দেখিয়ে দিল যে, ভালোবাসার শক্তি শাসনের চেয়ে অনেক বেশি। অমৃতের ভালোবাসা তার ছেলে ইসাবকে রক্ষা করেছে।
২. মানবিকতার পরিচয়: অমৃতের এই কাজ হাসানকে শিখিয়েছে যে, মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার ধর্ম নয়, তার মানবিকতা। একজন হিন্দু ছেলে তার মুসলমান বন্ধুর জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা হাসানের সংকীর্ণ চিন্তাভাবনাকে ভেঙে দিয়েছে।
৩. মানসিকতার পরিবর্তন: এই ‘জবাব’ হাসানকে একজন কঠোর পিতা থেকে এক স্নেহশীল মানুষে বদলে দিয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, শিশুদের এই純粹 ভালোবাসা থেকেই বড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। তাই তিনি শুধু ইসাবকে ক্ষমা করেননি, অমৃতকেও নিজের ছেলের মতো বুকে টেনে নিয়েছেন।
৫. “হোলির দিনের পরন্ত বিকেল…” – এই বিকেলে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো। এই ঘটনা গল্পের মূল ভাবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে?
উত্তর:
ঘটনার বর্ণনা: হোলির দিনের পরন্ত বিকেলে অমৃত ও ইসাব নতুন জামা পরে ঘুরতে বেরিয়েছিল। তখন গ্রামের শক্তিশালী ছেলে কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়তে আহ্বান জানায়। বন্ধুদের উসকানিতে অমৃত রাজি হয়ে যায়। কুস্তিতে অমৃত হেরে যায় এবং তার নতুন জামার পকেট ও ছয় ইঞ্চি কাপড় ছিঁড়ে যায়। এই ঘটনায় অমৃত ও ইসাব দুজনেই ভয় পেয়ে যায়। ইসাব তার বাবার মারের ভয়ে কাঁদতে শুরু করে। বন্ধুকে বাঁচাতে অমৃত জামা অদল-বদলের প্রস্তাব দেয় এবং তারা তাই করে।
মূল ভাবের উপর প্রভাব: এই ঘটনাটিই গল্পের মূল ভাবকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. বন্ধুত্বের পরীক্ষা: এই ঘটনা অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্বের এক কঠিন পরীক্ষা নেয় এবং সেই পরীক্ষায় তারা সফল হয়। অমৃতের আত্মত্যাগ তাদের বন্ধুত্বকে মহিমান্বিত করে।
২. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সূচনা: এই একটি ঘটনাই দুই ভিন্ন ধর্মের পরিবারকে এক সূত্রে বেঁধে দেয়। এর ফলেই হাসান ও অমৃতের মায়ের মতো চরিত্রদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
৩. গল্পের পরিণতি: এই ঘটনা না ঘটলে ‘অদল বদল’ হতো না, এবং গল্পের শেষে যে মিলনাত্মক ও মহৎ পরিণতি, তা সম্ভব হতো না। সুতরাং, এই ঘটনাই গল্পের মূল ভাবের বীজ বপন করেছে।
৬. ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের মায়ের চরিত্রটি কীভাবে এক স্নেহময়ী ও বাস্তববাদী জননীর প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে, তা আলোচনা করো।
উত্তর:
ভূমিকা: পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের মা চরিত্রটি স্বল্প পরিসরে উপস্থিত হলেও তাঁর মধ্যে একজন সাধারণ, স্নেহময়ী অথচ বাস্তববাদী মায়ের সমস্ত বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
বাস্তববাদী রূপ: অমৃতের মা সংসারের কঠিন বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতন। তাঁদের সংসারে চারটি সন্তান এবং আর্থিক অনটন রয়েছে। তাই অমৃত যখন নতুন জামার জন্য বায়না ধরে, তখন তিনি বাস্তব কারণেই প্রথমে রাজি হন না। আবার, অমৃত যখন জামা ছিঁড়ে ফেলে, তখন তাঁর রাগ করাটাও এক বাস্তববাদী মায়েরই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
স্নেহময়ী রূপ: তাঁর বাস্তববাদী আচরণের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর материнский স্নেহ। তিনি ছেলের জেদের কাছে হার মেনে নতুন জামা কিনে দেন, কারণ তিনি চান না ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হোক। গল্পের শেষে যখন তিনি অমৃতের মহৎ কাজের কথা জানতে পারেন, তখন তাঁর সমস্ত রাগ গলে গিয়ে মন গর্ব ও ভালোবাসায় ভরে ওঠে।
উদার মানসিকতা: তিনি শুধু নিজের ছেলেকে ভালোবাসেন না, ইসাবকেও ছেলের মতোই দেখেন। তিনি দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন সম্পর্ককে মন থেকে মেনে নেন এবং তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।
উপসংহার: এভাবেই, কঠোরতা ও কোমলতা, বাস্তবতা ও স্নেহের অপূর্ব মিশ্রণে অমৃতের মায়ের চরিত্রটি এক সার্থক জননীর প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
৭. জামা অদল-বদলের পর অমৃত ও ইসাবের মানসিক অবস্থার বর্ণনা দাও।
উত্তর:
ভূমিকা: জামা অদল-বদলের ঘটনাটি অমৃত ও ইসাবের শিশু মনে এক মিশ্র ও জটিল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল।
অমৃতের মানসিক অবস্থা: অমৃতের মনে একই সঙ্গে ভয় ও এক ধরনের আত্মতৃপ্তি কাজ করছিল।
ভয়: সে জানত, ছেঁড়া জামা পরে বাড়ি ফিরলে মায়ের হাতে তার প্রচণ্ড মার জুটবে। এই ভয় সত্ত্বেও সে বন্ধুর জন্য এই ঝুঁকি নিয়েছিল।
আত্মতৃপ্তি: ভয় থাকলেও তার মনে এক ধরনের শান্তি ছিল। সে তার প্রিয় বন্ধু ইসাবকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছে, এই আত্মত্যাগ তাকে এক ধরনের আনন্দ ও তৃপ্তি দিয়েছিল।
ইসাবের মানসিক অবস্থা: ইসাবের মানসিক অবস্থা ছিল আরও জটিল।
কৃতজ্ঞতা: সে অমৃতের এই মহান ত্যাগের জন্য তার প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ ছিল।
ভয় ও অপরাধবোধ: কিন্তু তার মুখ ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল। সে জানত, তার জন্যই অমৃতকে মার খেতে হবে। এই অপরাধবোধ এবং বন্ধুর জন্য চিন্তা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দিচ্ছিল। সে অমৃতের ভালো জামাটি পেয়েও কোনো আনন্দ উপভোগ করতে পারছিল না।
উপসংহার: এভাবেই, এই ঘটনার পর দুটি শিশুর মনে ভয়, কৃতজ্ঞতা, আত্মতৃপ্তি ও অপরাধবোধের মতো নানা অনুভূতি ভিড় করেছিল।
৮. “হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল।” – অমৃতের মাথায় কী বুদ্ধি খেলেছিল? এই বুদ্ধির প্রয়োগ গল্পের কাহিনীকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে?
উত্তর:
বুদ্ধিটির পরিচয়: অমৃতের মাথায় যে বুদ্ধিটি খেলেছিল, তা হলো জামা অদল-বদল করার বুদ্ধি। কুস্তিতে তার জামা ছিঁড়ে যাওয়ার পর সে যখন দেখল তার বন্ধু ইসাব বাবার মারের ভয়ে কাঁদছে, তখন সে প্রস্তাব দেয় যে, তারা দুজন জামা বদল করে নেবে। অমৃত ইসাবের ভালো জামাটি পরবে এবং ইসাব অমৃতের ছেঁড়া জামাটি পরবে।
কাহিনীর অগ্রগতিতে বুদ্ধির প্রয়োগের প্রভাব:
এই একটি বুদ্ধিই গল্পের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিয়েছে।
১. কাহিনীর মূল ঘটনা: এই বুদ্ধির প্রয়োগের ফলেই গল্পের মূল ঘটনা, অর্থাৎ জামা ‘অদল বদল’ সম্ভব হয়েছে, যা গল্পের নামকরণের ভিত্তি।
২. চরিত্রের উন্মোচন: এই ঘটনার মাধ্যমেই অমৃতের ত্যাগ ও বন্ধুপ্রেম এবং ইসাবের কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি, অমৃতের মা ও ইসাবের বাবার মতো পার্শ্ব চরিত্রগুলিরও আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে।
৩. চূড়ান্ত পরিণতি: এই জামা বদলের ঘটনাটিই শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারকে এক করে দিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মিলনাত্মক পরিণতি সৃষ্টি করেছে। গ্রাম প্রধানের দ্বারা তাদের নতুন নামকরণ এবং গ্রামের মানুষের প্রশংসা—সবই এই বুদ্ধির প্রয়োগের ফল।
সুতরাং, অমৃতের এই বুদ্ধিটিই ছিল গল্পের প্রধান চালিকাশক্তি।
৯. ‘অদল বদল’ গল্পে যে সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
উত্তর:
ভূমিকা: পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পটি কেবল দুটি শিশুর বন্ধুত্বের কাহিনী নয়, এটি সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক শক্তিশালী বার্তা বহন করে।
সম্প্রীতির প্রকাশ:
১. ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে বন্ধুত্ব: অমৃত হিন্দু এবং ইসাব মুসলমান। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বে এই ধর্মীয় পরিচয় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাদের নির্মল ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব প্রমাণ করে যে, মানবিক সম্পর্ক ধর্মের চেয়ে অনেক বড়।
২. পরিবারের মিলন: দুই শিশুর এই বন্ধুত্ব তাদের পরিবারকেও প্রভাবিত করে। ইসাবের বাবা হাসান অমৃতকে নিজের ছেলের মতো গ্রহণ করেন। অমৃতের মা-ও দুই বন্ধুর সম্পর্ককে সম্মান জানান এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করেন। এভাবেই দুটি ভিন্ন ধর্মের পরিবার ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
৩. সামাজিক স্বীকৃতি: গ্রাম প্রধান যখন তাদের বন্ধুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন নাম দেন এবং গ্রামের মানুষ যখন এই ঘটনায় আনন্দ প্রকাশ করে, তখন এই সম্প্রীতি আর ব্যক্তিগত স্তরে থাকে না, তা সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।
মূল বার্তা: গল্পের মূল বার্তা হলো, ঘৃণা বা বিভেদ নয়, ভালোবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমেই এক সুন্দর ও সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। শিশুদের নির্মল ভালোবাসা বড়দের সংকীর্ণতা ও বিভেদের প্রাচীর ভেঙে দিতে পারে।
১০. গল্পের শেষে “ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল” এবং “অমৃতের মা’র চোখ জলে ভরে এল” – এই দুটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
ভূমিকা: গল্পের শেষে ছেলের দলের আনন্দ এবং অমৃতের মায়ের চোখের জল—এই দুটি প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হলেও তাদের উৎস একই: অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্বের মহত্ত্ব।
ছেলের দলের আনন্দের কারণ: ছেলের দল হলো সারল্য ও উচ্ছ্বাসের প্রতীক। তারা অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনাটিকে একটি মজার ও মহৎ খেলা হিসেবে দেখেছে। যখন গ্রাম প্রধান এই ঘটনাকে সম্মান জানিয়ে তাদের ‘অদল’ ও ‘বদল’ নাম দিলেন, তখন এই নামকরণ এবং বন্ধুত্বের জয় তাদের কাছে এক বিশাল আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের এই চিৎকার ছিল এই নির্মল বন্ধুত্বের প্রতি সমর্থন ও সাধুবাদ।
অমৃতের মায়ের চোখের জলের কারণ: অমৃতের মায়ের চোখের জল ছিল আনন্দ, গর্ব এবং আবেগের অশ্রু।
১. গর্ব: তিনি গর্বিত হয়েছিলেন কারণ তার ছেলে এমন একটি মহৎ কাজ করেছে, যা সবার প্রশংসা পাচ্ছে।
২. আবেগ: দুই শিশুর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন সম্প্রীতির সম্পর্ক দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
৩. স্বস্তি: প্রথমে তিনি ছেলের জন্য চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু এখন সবকিছুর সুন্দর সমাধান হওয়ায় তার মনে এক ধরনের স্বস্তি আসে।
উপসংহার: সুতরাং, ছেলের দলের উচ্ছ্বাস ছিল ঘটনার বাহ্যিক আনন্দের প্রকাশ, আর মায়ের চোখের জল ছিল ঘটনার গভীরতর আবেগ ও মহত্ত্বের উপলব্ধি।
Class 10 bengali অদল বদল question answer
অদল বদল পান্নালাল প্যাটেল গল্পের প্রশ্ন উত্তর, MCQ, অতি-সংক্ষিপ্ত, ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর : Class 10 bengali অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর