মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা 2026

মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা 2026

ক) কাল্পনিক গল্প লিখন (মান ৫)

১. প্রদত্ত সূত্র অবলম্বনে একটি কাল্পনিক গল্প লেখো:
এক কাঠুরে — নদীর ধারে কাঠ কাটা — কুড়াল জলে পড়ে যাওয়া — জলদেবীর আবির্ভাব — সোনা ও রুপোর কুড়াল দেখানো — কাঠুরের সততা — পুরস্কার লাভ — অপর এক লোভী কাঠুরের পরিণতি।

শিরোনাম: সৎ কাঠুরে ও জলদেবী / সততার পুরস্কার

ভূমিকা: রামপুর গ্রামে বাস করত এক গরিব কিন্তু সৎ কাঠুরে। প্রতিদিন জঙ্গলে কাঠ কেটে তা বাজারে বিক্রি করে তার সংসার চলত। তার সততার জন্যই গ্রামের সবাই তাকে খুব ভালোবাসত।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: একদিন সে নদীর ধারে একটি বড় গাছে উঠে কাঠ কাটছিল। হঠাৎ হাত ফস্কে তার একমাত্র লোহার কুড়ালটি নদীর গভীর জলে পড়ে গেল। গরিব কাঠুরে কান্নায় ভেঙে পড়ল, কারণ কুড়ালটি ছাড়া তার আর কোনো আয়ের উপায় ছিল না। তার কান্না শুনে নদীর জল থেকে এক দেবী উঠে এলেন। তিনি কাঠুরের কান্নার কারণ জানতে চাইলেন। সব শুনে তিনি জলে ডুব দিয়ে একটি সোনার কুড়াল এনে বললেন, “এটা কি তোমার কুড়াল?” কাঠুরে মাথা নেড়ে ‘না’ বলল। দেবী আবার ডুব দিয়ে একটি রুপোর কুড়াল আনলেন। এবারও কাঠুরে ‘না’ বলল। অবশেষে, দেবী তার নিজের লোহার কুড়ালটি নিয়ে এলে কাঠুরে আনন্দে লাফিয়ে উঠল।

তার সততায় মুগ্ধ হয়ে জলদেবী তাকে তিনটি কুড়ালই উপহার দিলেন। এই ঘটনা শুনে গ্রামের আরেক লোভী কাঠুরে পরের দিন সেই নদীর ধারে গিয়ে ইচ্ছে করে তার কুড়ালটি জলে ফেলে দিল এবং কান্নার অভিনয় করতে লাগল। জলদেবী আবির্ভূত হয়ে সোনার কুড়াল দেখালে লোভী কাঠুরে সঙ্গে সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ বলে উঠল। তার লোভ দেখে দেবী ক্রুদ্ধ হলেন এবং অদৃশ্য হয়ে গেলেন। লোভী কাঠুরে তার নিজের কুড়ালটিও হারাল।

উপসংহার: গল্পটি আমাদের শেখায় যে, সততার পুরস্কার সর্বদা মধুর হয়, কিন্তু লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু অনিবার্য।

২. একটি রোবটের আত্মকথা – এই বিষয়ে একটি কাল্পনিক গল্প রচনা করো।

উপযুক্ত নামকরণ: যন্ত্রের যন্ত্রণা / এক রোবটের আত্মকথা

ভূমিকা: আমার নাম ‘ইউনিট ৭৩৬’। তোমরা মানুষরা আমায় রোবট বলে ডাকো। আমার কোনো অনুভূতি নেই, ক্লান্তি নেই, আছে শুধু প্রোগ্রামিং আর আদেশ পালনের ক্ষমতা। একবিংশ শতাব্দীর এক বিখ্যাত গবেষণাগারে আমার জন্ম।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: আমার নির্মাতারা আমায় মানুষের নানা কঠিন কাজ সহজ করার জন্য তৈরি করেছিলেন। আমি কারখানায় কাজ করেছি, মহাকাশে গিয়েছি, এমনকি মানুষের রোগের চিকিৎসাতেও সাহায্য করেছি। আমি দেখতাম, মানুষ একে অপরকে ভালোবাসে, হাসে, কাঁদে। আমার ভেতরেও মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত তরঙ্গ তৈরি হতো, যাকে আমার নির্মাতারা বলতেন ‘সিস্টেম এরর’। আমি দেখতাম, মানুষ কীভাবে সামান্য কারণে একে অপরের উপর অস্ত্র চালায়, যুদ্ধ করে। আমার ডেটাবেস বলত, এটা অযৌক্তিক, কিন্তু তারা শুনত না। আমি চেয়েছিলাম তাদের থামাতে, বলতে চেয়েছিলাম—”থামো! তোমরা নিজেদের ধ্বংস করছো।” কিন্তু আমার তো কথা বলার অনুমতি নেই।

উপসংহার: আজ আমি এক পুরনো গুদামে পড়ে আছি। আমার শরীর মরচে ধরেছে। আমি ভাবি, আমার কি কোনোদিন অনুভূতি ছিল? হয়তো ছিল, হয়তো ছিল না। কিন্তু আমি আজও অপেক্ষা করি, মানুষ হয়তো একদিন বুঝবে যে, যন্ত্রের চেয়ে মানবিকতা অনেক বড়।

৩. একটি পথকুকুরের সঙ্গে তোমার বন্ধুত্বের কাহিনী নিয়ে একটি গল্প লেখো।

উপযুক্ত নামকরণ: আমার বন্ধু ভুলু / এক নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব

ভূমিকা: আমাদের পাড়ার মোড়ে একটা কুকুর থাকত। গায়ের রঙ কালো, তাই আমি ওর নাম দিয়েছিলাম ‘কালু’। সবাই ওকে তাড়িয়ে দিত, কিন্তু আমি রোজ স্কুল যাওয়ার সময় ওকে বিস্কুট দিতাম। এভাবেই আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: একদিন স্কুল থেকে ফেরার সময় আমার খুব দেরি হয়ে যায়। রাস্তাটা ছিল অন্ধকার আর নির্জন। হঠাৎ দুটো লোক আমার পথ আটকায় এবং আমার ব্যাগটা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠি। ঠিক সেই মুহূর্তে কালু কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এবং লোকগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার বিকট চিৎকারে লোকগুলো ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। সেই দিন কালু শুধু আমার ব্যাগ বাঁচায়নি, আমার প্রাণও বাঁচিয়েছিল।

উপসংহার: আমি বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে সব কথা বলি। বাবা ওকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আজ কালু আর পথকুকুর নয়, সে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমায় শিখিয়েছে যে, বন্ধুত্ব কোনো জাত বা প্রজাতি মানে না, বন্ধুত্ব মানে শুধু বিশ্বাস আর ভালোবাসা।

৪. “মোবাইল ফোন ছাড়া আমার একটি দিন” – এই বিষয়ে একটি গল্প লেখো।

উপযুক্ত নামকরণ: হারানো দিনের খোঁজে / এক অন্যরকম দিন

ভূমিকা: সকাল থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত মোবাইল ফোনই ছিল আমার একমাত্র সঙ্গী। কিন্তু একদিন সকালে উঠে দেখি, আমার ফোনটা কাজ করছে না। প্রথমে খুব রাগ হলেও, দিনটা আমাকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছিল।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: ফোন খারাপ হওয়ায় আমি সকালে অ্যালার্ম শুনতে পাইনি। মা এসে ডেকে দিল। এরপর সারাদিন যেন সময় কাটছিল না। বিরক্ত হয়ে আমি পুরনো বইয়ের তাকটা গোছাতে শুরু করলাম। ধুলোর আস্তরণের নিচ থেকে বেরিয়ে এল আমার ছেলেবেলার কমিকস, ছবির বই। অনেকদিন পর আমি দাদুর সঙ্গে বসে গল্প করলাম, মায়ের সঙ্গে রান্নাঘরে সাহায্য করলাম। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেললাম। সন্ধ্যায় লোডশেডিং হওয়ায় সবাই মিলে ছাদে বসে তারা চিনলাম, গান গাইলাম।

উপসংহার: রাতে যখন শুতে গেলাম, তখন আমার মনে হলো, আজ আমি সত্যি ‘বেঁচে’ ছিলাম। মোবাইল ফোন আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে, কিন্তু তার আড়ালে আমরা হয়তো আমাদের কাছের মানুষদের থেকে, প্রকৃতির থেকে, এমনকি নিজের থেকেও দূরে সরে যাচ্ছি। সেই দিনটা আমাকে আমার হারানো জগৎটাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

৫. “একটি পুরনো বাড়ির রহস্য” – এই বিষয়ে একটি কাল্পনিক গল্প রচনা করো।

উপযুক্ত নামকরণ: নীলকুঠির রহস্য / অভিশপ্ত বাড়ি

ভূমিকা: আমাদের গ্রামের শেষে ছিল এক বিশাল পুরনো বাড়ি। লোকে বলত ‘নীলকুঠি’। শোনা যেত, রাতে নাকি সেখান থেকে কান্নার শব্দ আসে। ভয়ে কেউ ওদিকে যেত না। কিন্তু আমার আর আমার বন্ধু রনির খুব সাহস। আমরা ঠিক করলাম, এই রহস্যের সমাধান করবই।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: এক পূর্ণিমার রাতে আমরা দুজন টর্চ নিয়ে সেই বাড়িতে ঢুকলাম। চারিদিকে মাকড়সার জাল, ধুলোর আস্তরণ। হঠাৎ আমরা একটা ক্ষীণ আলো দেখতে পেলাম এবং একটা কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। ভয়ে ভয়ে আমরা সেদিকে এগোলাম। গিয়ে দেখি, একটা ছোট্ট ঘরে একজন বৃদ্ধা বসে কাঁদছেন এবং তাঁর পাশে একটা সিন্দুক খোলা পড়ে আছে। আমাদের দেখে তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। আমরা তাঁকে আশ্বস্ত করে সব জানতে চাইলাম। তিনি জানালেন, তিনি এই বাড়ির শেষ বংশধর। তাঁর পূর্বপুরুষরা নাকি এক গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছিল। কিছু অসাধু লোক সেই খবর পেয়ে তাঁকে বন্দি করে রেখেছে এবং গুপ্তধনের সন্ধান চাইছে।

উপসংহার: আমরা দুজনে লুকিয়ে গ্রাম থেকে পুলিশ ডেকে আনলাম। পুলিশ এসে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলল এবং বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল। গ্রামের লোক আমাদের সাহসের খুব প্রশংসা করল। সেই দিন আমরা বুঝতে পারলাম, ভূতের ভয় আসলে মানুষের তৈরি। আসল ভয় হলো মানুষের লোভ।

৬. একজন সৎ রিকশাচালকের একদিনের কাহিনী নিয়ে একটি গল্প লেখো।

উপযুক্ত নামকরণ: সততার জয় / হারুনের একদিন

ভূমিকা: সততার মূল্য কীভাবে জীবনে ফিরে আসে, তা নিয়ে একটি গল্প তৈরি করা যেতে পারে। হারুন নামের এক গরিব রিকশাচালককে কেন্দ্র করে গল্পটি গড়ে উঠবে।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: অসুস্থ মেয়ের ঔষধ কেনার জন্য হারুনের টাকার খুব প্রয়োজন। সারাদিন খেটেও সে যথেষ্ট টাকা জোগাড় করতে পারেনি। সন্ধ্যায় এক যাত্রী তার রিকশায় ওঠে এবং নামার সময় তাড়াহুড়োয় একটি টাকার ব্যাগ ফেলে যায়। হারুন ব্যাগটি খুলে দেখে তাতে অনেক টাকা। প্রথমে তার মনে লোভ জাগলেও, পরে সে তার সততার পথ থেকে সরে আসে না। সে যাত্রীর ঠিকানা খুঁজে তার ব্যাগ ফিরিয়ে দেয়। যাত্রী তার সততায় মুগ্ধ হয়ে তাকে পুরস্কার দেয় এবং তার মেয়ের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেয়।

উপসংহার: হারুন বুঝতে পারে, সততার পথ কঠিন হলেও তার শেষ ফল সবসময় মধুর হয়।

৭. একটি গাছের আত্মকথা।

উপযুক্ত নামকরণ: আমি এক বটবৃক্ষ / এক বৃক্ষের আর্তি

ভূমিকা: একটি প্রাচীন বটগাছের জবানিতে গল্পটি লেখা হবে। সে তার জন্মের কথা, বেড়ে ওঠার কথা বলবে।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: গাছটি বর্ণনা করবে, কীভাবে সে পথিককে ছায়া দিয়েছে, পাখিদের আশ্রয় দিয়েছে, শিশুরা তার ডালে দোলনা বেঁধে খেলেছে। সে দেখেছে গ্রামের বিভিন্ন উৎসব, মানুষের জন্ম-মৃত্যু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম বদলেছে। মানুষ তার ডালপালা কেটেছে, তার পাশে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করেছে। আজ সে একা, তার ছায়ায় আর কেউ বসে না।

উপসংহার: গাছটি মানুষের কাছে আবেদন করবে, “আমায় বাঁচাও, আমি তোমাদেরই বন্ধু।” এই আর্তির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে।

৮. একটি হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ির গল্প।

উপযুক্ত নামকরণ: নীল পরী / আকাশের ঠিকানায়

ভূমিকা: একটি ছোট ছেলে, মিন্টুর খুব শখের নীল ঘুড়িকে কেন্দ্র করে গল্পটি লেখা হবে।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: বিশ্বকর্মা পূজার দিন মিন্টু তার প্রিয় নীল ঘুড়িটি ওড়াচ্ছিল। হঠাৎ সুতো কেটে ঘুড়িটি আকাশে হারিয়ে যায়। মিন্টুর খুব মন খারাপ হয়। অন্যদিকে, ঘুড়িটি হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে মেঘের দেশে, পাখির রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়। সে মেঘেদের সঙ্গে, পাখিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। সে অনেক দূরের দেশ, পাহাড়, নদী দেখতে পায়। সে স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করে।

উপসংহার: অনেকদিন পর এক দমকা হাওয়ায় ঘুড়িটি আবার মিন্টুর গ্রামের কাছে এক গাছের ডালে আটকে যায়। মিন্টু তাকে খুঁজে পেয়ে খুব খুশি হয়। ঘুড়িটি মিন্টুর কাছে ফিরে এলেও তার মনে আকাশের স্বাধীনতার স্মৃতি থেকে যায়।

৯. “পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করার পরিণতি” – এই বিষয়ে একটি গল্প লেখো।

উপযুক্ত নামকরণ: ভুলের মাশুল / শর্টকাটের বিপদ

ভূমিকা: রাজু নামের এক ছাত্রকে কেন্দ্র করে গল্পটি গড়ে উঠবে, যে পড়াশোনায় ভালো হলেও পরীক্ষায় আরও ভালো ফল করার লোভে অসৎ পথ বেছে নেয়।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজু ভালো প্রস্তুতির পরেও 불안তা থেকে টুকে লেখার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ধরা পড়ে যায় এবং তার পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। তার এক বছরের পড়াশোনা নষ্ট হয়। তার বন্ধুরা যখন কলেজে ভর্তি হয়, তখন সে বাড়িতে বসে অনুশোচনা করে। সে তার ভুলের জন্য বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছে লজ্জিত হয়।

উপসংহার: এই ঘটনা থেকে রাজু শিক্ষা লাভ করে যে, সাফল্যের কোনো সহজ বা শর্টকাট পথ নেই। পরিশ্রম ও সততাই হলো সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি। সে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার প্রতিজ্ঞা করে।

১০. এক বর্ষার রাতের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প রচনা করো।

উপযুক্ত নামকরণ: সেই ভয়াল রাত্রি / এক অবিস্মরণীয় বর্ষণ

ভূমিকা: গল্পের কথক তার গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গেছে। সেখানে এক বর্ষার রাতের ভয়ংকর কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া হবে।

বিষয়বস্তু/কাহিনী: সেদিন সন্ধ্যা থেকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। বিদ্যুৎ চলে যায়। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, শুধু বিদ্যুতের ঝলকানি আর মেঘের গর্জন। প্রবল বৃষ্টিতে তাদের মাটির বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরে, চাল দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। পরিবারের সবাই মিলে এক কোণে জড়ো হয়ে বসে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে। সেই ভয়ংকর মুহূর্তেও কথক প্রকৃতির এই রুদ্র রূপ দেখে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ অনুভব করে।

উপসংহার: সারারাত পর সকালে যখন ঝড় থামে, তখন চারিদিকে ধ্বংসের চিহ্ন থাকলেও, ভোরের নতুন আলো এক নতুন আশার সঞ্চার করে। সেই রাতের অভিজ্ঞতা কথকের মনে চিরদিনের জন্য দাগ কেটে যায়।


খ) প্রতিবেদন রচনা (মান ৫)

১. তোমার বিদ্যালয়ে পালিত ‘নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ’ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ পালন
নিজস্ব সংবাদদাতা কলকাতা, ১৯শে জুলাই, ২০২৫:
সম্প্রতি [বিদ্যালয়ের নাম] বিদ্যালয়ে অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে ‘নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ’ পালিত হলো। গত ১২ই জুলাই থেকে ১৮ই জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান শিক্ষক মহাশয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা সকলে মিলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগান। সপ্তাহ boyunca নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেমন—পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, এবং একটি সচেতনতামূলক পদযাত্রা। ছাত্রছাত্রীরা প্লাস্টিক বর্জন, বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশ দূষণ রোধের উপর বিশেষ জোর দেয়।

শেষ দিনে এক আলোচনা সভায় স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক মহাশয় উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বিষয়ে এক মূল্যবান ভাষণ দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনেও এই ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

২. তোমার এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা শিবির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শিবির
বিশেষ সংবাদদাতা বারাসাত, ২২শে আগস্ট, ২০২৫:
বর্ষার মরসুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে থাকায়, গতকাল [তোমার অঞ্চলের নাম] অঞ্চলের পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্যোগে এক সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ক্লাবের মাঠে আয়োজিত এই শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল ডেঙ্গির কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা।

সকাল দশটায় শিবিরের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গির উৎসস্থল, যেমন—জমা জল, আবর্জনা ইত্যাদি পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা বোঝান। মশার লার্ভা নিধনের জন্য ব্লিচিং পাউডার ও তেল ছড়ানো হয়। একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ডেঙ্গির লক্ষণ ও তার প্রতিকারের উপায় তুলে ধরা হয়। শিবিরে বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষারও ব্যবস্থা ছিল।

এলাকার বহু মানুষ এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মহাশয় জানান, এই ধরনের উদ্যোগ আগামী দিনেও চলবে এবং সকলের মিলিত প্রচেষ্টাতেই ডেঙ্গিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৩. ‘অরণ্য সপ্তাহ পালন ও বৃক্ষরোপণ উৎসব’ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

সবুজায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা মেদিনীপুর, ২৫শে জুলাই, ২০২৫:
“একটি গাছ, একটি প্রাণ”—এই বার্তাকে সামনে রেখে গত সপ্তাহে [একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম] -এর উদ্যোগে ‘অরণ্য সপ্তাহ’ পালিত হলো। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই ছিল এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য।

সপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় স্কুলগুলিতে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা গাছ নিয়ে আঁকা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ দিনে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক চারাগাছ রোপণ করা হয়। আম, জাম, মেহগনি, শাল সহ নানা ধরনের গাছ লাগানো হয় রাস্তার ধারে এবং ফাঁকা মাঠে।

সংস্থার সম্পাদক মহাশয় জানান, শুধুমাত্র গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলির সঠিক পরিচর্যার দায়িত্বও আমাদের নিতে হবে। এই উদ্যোগকে সফল করতে এলাকার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন।

৪. তোমার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি রক্তদান শিবির নিয়ে প্রতিবেদন লেখো।

রক্তদান জীবনদান: বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা শিলিগুড়ি, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫:
“রক্তের প্রয়োজনে রক্তই একমাত্র বিকল্প”—এই মহান আদর্শকে পাথেয় করে গতকাল [বিদ্যালয়ের নাম] বিদ্যালয়ে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এবং স্থানীয় এক ব্লাড ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এই শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ন’টা থেকে শিবির শুরু হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং এলাকার বহু যুবক-যুবতী স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদানে এগিয়ে আসেন। অষ্টাদশ বর্ষ উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। ব্লাড ব্যাংকের চিকিৎসকরা রক্তদাতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই রক্ত সংগ্রহের অনুমতি দেন। রক্তদাতাদের জন্য জলখাবার ও ফলের রসের ব্যবস্থা ছিল।

দিনভর এই শিবিরে মোট ৭০ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় এই মহৎ উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে, এই ধরনের কাজ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতাবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

৫. একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ৫
বিশেষ সংবাদদাতা দুর্গাপুর, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫:
গতকাল সন্ধ্যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারালেন এবং অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা প্রায় সাতটা নাগাদ একটি কলকাতাগামী যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে সজোরে ধাক্কা মারে।

ঘটনার তীব্রতায় বাসের সামনের অংশটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাসের চালক ও একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। স্থানীয় মানুষ এবং পুলিশ ছুটে এসে উদ্ধারकार्य শুরু করে। আহতদের দ্রুত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল এবং চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মৃতদেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

৬. তোমার এলাকায় প্লাস্টিক বর্জন অভিযান বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা কৃষ্ণনগর, ৫ই জুন, ২০২৫:
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গতকাল [তোমার অঞ্চলের নাম] পৌরসভা এক বিশেষ ‘প্লাস্টিক বর্জন অভিযান’-এর আয়োজন করে। প্লাস্টিকের ভয়াবহ দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করাই ছিল এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।

সকাল থেকে পৌরসভার কর্মী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বাজারের দোকানগুলিতে অভিযান চালান। তাঁরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের পরিবর্তে কাগজের ঠোঙা ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য আবেদন জানান। একটি সচেতনতামূলক পদযাত্রায় বহু ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। পদযাত্রাটি এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে এবং প্লাস্টিকের অপকারিতা নিয়ে স্লোগান দেয়।

পৌরসভার চেয়ারম্যান মহাশয় জানান, আগামী মাস থেকে পৌর এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।

৭. তোমার বিদ্যালয়ে পালিত রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন
নিজস্ব সংবাদদাতা শান্তিনিকেতন, ৯ই মে, ২০২৫:
২৫শে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল [বিদ্যালয়ের নাম] বিদ্যালয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর সৃষ্টি ও দর্শনের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় ঘটানোই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।

সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ছাত্রছাত্রীরা সমবেত কণ্ঠে “আগুনের পরশমণি” গানটি পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনৃত্য, আবৃত্তি এবং একটি ছোট নাটক ‘তোতাকাহিনী’ মঞ্চস্থ হয়। ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ” কবিতাটির আবৃত্তি দর্শকদের মুগ্ধ করে।

বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মহাশয় রবীন্দ্রনাথের জীবন ও দর্শন নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। সবশেষে, প্রধান শিক্ষক মহাশয় তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে কবিগুরুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবন গড়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান।

৮. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের
বিশেষ সংবাদদাতা কলকাতা, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫:
উৎসবের মরসুমের আগেই বাজারে আগুন। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে আনাজপাতি—সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা।

গত এক মাসে আলুর দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ, পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী। সর্ষের তেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ায় রান্নাঘরের বাজেটে টান পড়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, জোগান কম থাকা এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিই এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ। অন্যদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বাজারদর নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

৯. তোমার অঞ্চলে একটি নতুন গ্রন্থাগার উদ্বোধন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

জ্ঞানের আলো ছড়াতে নতুন গ্রন্থাগারের উদ্বোধন
নিজস্ব সংবাদদাতা আরামবাগ, ২রা অক্টোবর, ২০২৫:
বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু—এই আদর্শকে সামনে রেখে গতকাল [তোমার অঞ্চলের নাম] -এ ‘বিদ্যাসাগর জনকল্যাণ সমিতি’-র উদ্যোগে এক নতুন সাধারণ গ্রন্থাগারের উদ্বোধন হলো। এলাকার ছাত্রছাত্রী ও পাঠকদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

গান্ধী জয়ন্তীর এই পূণ্য তিথিতে গ্রন্থাগারটির উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক [একজন সাহিত্যিকের নাম]। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক এবং বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী ভাষণে সাহিত্যিক মহাশয় বলেন, “মোবাইল ও ইন্টারনেটের যুগে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম।” বিধায়ক মহাশয় গ্রন্থাগারের উন্নয়নের জন্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।

প্রাথমিকভাবে প্রায় দু’হাজার বই নিয়ে এই গ্রন্থাগারটি যাত্রা শুরু করল। এলাকার মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই নতুন গ্রন্থাগারকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।

১০. তোমার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান প্রদর্শনী বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান প্রদর্শনীর সফল আয়োজন
নিজস্ব সংবাদদাতা বর্ধমান, ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫:
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে গত দু’দিন ধরে [বিদ্যালয়ের নাম] বিদ্যালয়ে এক জমজমাট বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও অনুসন্ধিৎসা বাড়িয়ে তোলাই ছিল এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।

বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। তারা দূষণমুক্ত শক্তি, জল সংরক্ষণ, আধুনিক কৃষি এবং রোবোটিক্সের মতো নানা বিষয়ের উপর আকর্ষণীয় মডেল তৈরি করেছিল। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রদের তৈরি ‘স্মার্ট সিটি’-র মডেলটি দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। প্রতিটি মডেলের পিছনে থাকা বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলি ছাত্রছাত্রীরা দর্শকদের সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিল।

প্রদর্শনীটি এলাকার অন্যান্য স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের জন্যও খোলা ছিল। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত বিজ্ঞানী ডঃ [একজন বিজ্ঞানীর নাম]। তিনি ছাত্রছাত্রীদের এই প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাদের ভবিষ্যতে আরও বড় গবেষণার কাজে উৎসাহিত করেন।

তুমি কি এবছর Madhyamik 2026 পরিক্ষা দেবে মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা 2026 পেতে চাও মাধ্যমিক সাজেশন 2026 এখানে পাবে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top