বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ প্রশ্ন উত্তর
ক) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) – মান ১ (৭০টি)
১. বংশগতিবিদ্যার জনক কে?
২. মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য কোন উদ্ভিদ নির্বাচন করেছিলেন?
৩. মানুষের ক্ষেত্রে অটোজোমের সংখ্যা কত?
৪. মটর গাছের ক্ষেত্রে কোনটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য?
৫. একসংকর জননে F2 জনুর জিনোটাইপিক অনুপাত হল–
৬. দ্বিসংকর জননে F2 জনুর ফিনোটাইপিক অনুপাত হল–
৭. কোনটি সেক্স ক্রোমোজোম ঘটিত রোগ?
৮. ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট স্থানে জিন অবস্থান করে, তাকে কী বলে?
৯. দুটি সংকর লম্বা (Tt) মটর গাছের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে F1 জনুতে কত শতাংশ বিশুদ্ধ লম্বা গাছ পাওয়া যাবে?
১০. হিমোফিলিয়া রোগের বাহক মাতা ও স্বাভাবিক পিতার কন্যাসন্তানদের হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কত?
১১. কোনটি অটোজোম ঘটিত প্রচ্ছন্ন রোগ?
১২. ‘জিন’ শব্দটি প্রথম কে প্রবর্তন করেন?
১৩. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে কোন ক্রোমোজোম?
১৪. RRYY জিনোটাইপযুক্ত মটর গাছ থেকে কত প্রকার গ্যামেট উৎপন্ন হয়?
১৫. কোন রোগে রক্ততঞ্চন ব্যাহত হয়?
১৬. মেন্ডেলের পৃথকভবনের সূত্রটি কোন জনন থেকে প্রাপ্ত?
১৭. ‘ক্রিসমাস ডিজিজ’ কোন রোগের অপর নাম?
১৮. TT × tt সংকরায়ণে F1 জনুর জিনোটাইপ কী হবে?
১৯. জীবের জিনগত গঠনকে কী বলে?
২০. কোন বিজ্ঞানী মেন্ডেলের সূত্রের পুনরাবিষ্কার করেন?
২১. একজন বর্ণান্ধ পুরুষ ও স্বাভাবিক মহিলার বিবাহ হলে তাদের পুত্রদের বর্ণান্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কত?
২২. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রটি হল–
২৩. কোনটি হোমোজাইগাস জীব?
২৪. গিনিপিগের ক্ষেত্রে bbRR জিনোটাইপের ফিনোটাইপ কী?
২৫. থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহের কোন অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
২৬. পুরুষদের হেটারোগ্যামেটিক বলা হয় কারণ–
২৭. অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে F2 জনুর ফিনোটাইপিক অনুপাত হল–
২৮. Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনকে কী বলে?
২৯. কোনটি মেন্ডেলের সূত্রের ব্যতিক্রম?
৩০. লাল ও সবুজ বর্ণ চিনতে না পারাকে কী বলে?
৩১. দুটি সংকর কালো গিনিপিগের (Bb) মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে কত শতাংশ সাদা গিনিপিগ পাওয়া যাবে?
৩২. জেনেটিক কাউন্সেলিং-এ সাহায্য করে কোনটি?
৩৩. মটর গাছের কোন বৈশিষ্ট্যটি মেন্ডেল নির্বাচন করেননি?
৩৪. কোনটি প্রকট বৈশিষ্ট্য?
৩৫. ‘ফ্যাক্টর’ শব্দটি কে ব্যবহার করেন?
৩৬. হিমোফিলিয়া A রোগের কারণ হল ফ্যাক্টর ________ এর অভাব।
৩৭. RrYy জিনোটাইপ থেকে কত প্রকার গ্যামেট উৎপন্ন হয়?
৩৮. জীবের বাহ্যিক প্রকাশকে কী বলে?
৩৯. কোন রোগের ক্ষেত্রে লৌহ সঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
৪০. মানুষের শুক্রাণুতে অটোজোমের সংখ্যা কত?
৪১. দুটি ভিন্নধর্মী অ্যালিলযুক্ত জীবকে কী বলে?
৪২. সন্ধ্যা মালতী ফুলে অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে F2 জনুতে গোলাপি ফুল পাওয়ার সম্ভাবনা কত?
৪৩. F2 জনুতে 3:1 অনুপাতটি হল–
৪৪. মেন্ডেল নির্বাচিত মটর গাছের মধ্যে কাক্ষিক মুকুল ছিল–
৪৫. কোন প্রকার ক্রোমোজোম ঘটিত অস্বাভাবিকতার ফলে ডাউন সিনড্রোম হয়?
৪৬. একসংকর জননের টেস্ট ক্রসের অনুপাত হল–
৪৭. মহিলাদের হোমোগ্যামেটিক বলা হয় কারণ তাদের–
৪৮. মেন্ডেলের বংশগতির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় যে পত্রিকায় তার নাম হল–
৪৯. কোন রোগকে ‘রাজকীয় রোগ’ বা ‘রয়্যাল ডিজিজ’ বলা হয়?
৫০. একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক পুরুষ ও স্বাভাবিক মহিলার বিবাহে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কত?
৫১. Tt জিনোটাইপযুক্ত মটর গাছের সঙ্গে tt জিনোটাইপযুক্ত মটর গাছের সংকরায়ণকে কী বলে?
৫২. গিনিপিগের দ্বিসংকর জননে F2 জনুতে উৎপন্ন দ্বিসংকর জীবের সংখ্যা হল–
৫৩. কোন রোগটি প্রধানত মহিলাদের দ্বারা বাহিত হয় এবং পুরুষদের মধ্যে প্রকাশিত হয়?
৫৪. ‘বংশগতি’ বা ‘Heredity’ শব্দটি কে প্রবর্তন করেন?
৫৫. দুটি সংকর জীবের মধ্যে সংকরায়ণকে কী বলে?
৫৬. β-থ্যালাসেমিয়ার জন্য দায়ী জিন কোন ক্রোমোজোমে থাকে?
৫৭. সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট লোকাসে অবস্থিত বিপরীতধর্মী জিন জোড়াকে কী বলে?
৫৮. α-থ্যালাসেমিয়ার জন্য দায়ী জিন কোন ক্রোমোজোমে থাকে?
৫৯. BbRr জিনোটাইপযুক্ত গিনিপিগের সঙ্গে bbrr জিনোটাইপের সংকরায়ণে কত ধরনের ফিনোটাইপ সম্ভব?
৬০. মেন্ডেলের প্রথম সূত্রটি হল–
৬১. একজন স্বাভাবিক পুরুষ একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক মহিলাকে বিবাহ করলে তাদের সন্তানের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা কত?
৬২. গিনিপিগের ক্ষেত্রে সাদা বর্ণ একটি–
৬৩. একসংকর জননে F1 জনুতে প্রাপ্ত জীবগুলি হল–
৬৪. নীল বর্ণান্ধতাকে কী বলে?
৬৫. কোনটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য?
৬৬. মেন্ডেলের কাজে ব্যবহৃত মটর গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী?
৬৭. কোন রোগে হিমোগ্লোবিনের গঠনগত ত্রুটির জন্য RBC-এর আকার কাস্তের মতো হয়ে যায়?
৬৮. TTBB জিনোটাইপ থেকে কত প্রকার গ্যামেট তৈরি হয়?
৬৯. মানুষের মধ্যে বংশানুক্রমে সঞ্চারিত একটি প্রকরণ হল–
৭০. ‘জেনেটিক্স’ শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
খ) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী (VSA) – মান ১ (৭০টি)
i) একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও (২০টি)
১. অ্যালিল কী?
উত্তর: সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট লোকাসে অবস্থিত কোনো জিনের বিভিন্ন রূপকে অ্যালিল বলে।
২. একটি সেক্স-লিঙ্কড বা লিঙ্গ সংযোজিত রোগের উদাহরণ দাও।
উত্তর: হিমোফিলিয়া (বা বর্ণান্ধতা)।
৩. টেস্ট ক্রস কী?
উত্তর: কোনো জীবের জিনোটাইপ নির্ণয়ের জন্য ওই জীবের সঙ্গে হোমোজাইগাস প্রচ্ছন্ন জীবের সংকরায়ণ ঘটানোকে টেস্ট ক্রস বলে।
৪. থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য দায়ী জিনটি কোন ধরনের ক্রোমোজোমে অবস্থিত?
উত্তর: অটোজোমে।
৫. মেন্ডেলের একসংকর জনন থেকে কোন সূত্রে উপনীত হওয়া যায়?
উত্তর: পৃথকভবনের সূত্র (Law of Segregation)।
৬. বংশগতির একক কী?
উত্তর: জিন।
৭. হেটারোজাইগাস জীব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি ভিন্নধর্মী অ্যালিলযুক্ত জীবকে হেটারোজাইগাস জীব বলে (যেমন – Tt)।
৮. মেন্ডেল নির্বাচিত মটর গাছের একটি প্রকট ও একটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: প্রকট বৈশিষ্ট্য: লম্বা কাণ্ড; প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য: বেঁটে কাণ্ড।
৯. মানুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজোম কোনটি?
উত্তর: Y ক্রোমোজোম।
১০. বংশগতি সংক্রান্ত একটি শব্দের উদাহরণ দাও যেটি মেন্ডেলের জানা ছিল না।
উত্তর: জিন (বা ক্রোমোজোম, অ্যালিল)।
১১. কোন প্রকার রক্তকণিকা থ্যালাসেমিয়া রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: লোহিত রক্তকণিকা (RBC)।
১২. একসংকর জননের F1 জনুতে প্রাপ্ত ফিনোটাইপ কী?
উত্তর: ১০০% প্রকট বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
১৩. মানুষের একটি অটোজোমবাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া।
১৪. অসম্পূর্ণ প্রকটতা দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: সন্ধ্যা মালতী।
১৫. হিমোফিলিয়ার জন্য দায়ী জিনটি প্রচ্ছন্ন না প্রকট?
উত্তর: প্রচ্ছন্ন।
১৬. পেডিগ্রি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত বৃত্তাকার চিহ্নটি কী নির্দেশ করে?
উত্তর: স্ত্রীলোক বা মহিলা।
১৭. সংকরায়ণ পরীক্ষায় F1 জনু কী?
উত্তর: জনিতৃ জনুর (P) সংকরায়ণের ফলে উৎপন্ন প্রথম অপত্য জনুকে F1 জনু বলে।
১৮. বিশুদ্ধ জীব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি সমধর্মী অ্যালিলযুক্ত জীবকে বিশুদ্ধ বা হোমোজাইগাস জীব বলে (যেমন – TT)।
১৯. হিমোফিলিয়া B-এর অপর নাম কী?
উত্তর: ক্রিসমাস ডিজিজ।
২০. বংশগতির কোন সূত্রটি সর্বদা অভ্রান্ত নয়?
উত্তর: স্বাধীন সঞ্চারণের সূত্র (লিঙ্কেজের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়)।
ii) নীচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো (২০টি)
২১. মটর ফুল উভলিঙ্গ হওয়ায় স্বপরাগযোগ ঘটানো সম্ভব।
উত্তর: সত্য।
২২. হিমোফিলিয়া একটি অটোজোম ঘটিত রোগ।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: এটি একটি সেক্স-লিঙ্কড বা X ক্রোমোজোম ঘটিত রোগ)।
২৩. লিঙ্গ নির্ধারণে স্ত্রীর কোনো ভূমিকা নেই।
উত্তর: সত্য (কারণ স্ত্রীরা এক প্রকার ডিম্বাণু উৎপাদন করে)।
২৪. প্রকট বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র হেটারোজাইগাস অবস্থাতেই প্রকাশ পায়।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: এটি হোমোজাইগাস ও হেটারোজাইগাস উভয় অবস্থাতেই প্রকাশ পায়)।
২৫. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননের ফিনোটাইপিক অনুপাত হল 3:1।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: 9:3:3:1)।
২৬. বর্ণান্ধ ব্যক্তিরা লাল ও সবুজ বর্ণের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না।
উত্তর: সত্য।
২৭. Tt জিনোটাইপযুক্ত মটর গাছ হল সংকর লম্বা।
উত্তর: সত্য।
২৮. Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনকে হোলান্ড্রিক জিন বলে।
উত্তর: সত্য।
২৯. থ্যালাসেমিয়া মেজরে তীব্র রক্তাল্পতা দেখা যায়।
উত্তর: সত্য।
৩০. মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার ফলাফল ১৮৬৬ সালে প্রকাশ করেন।
উত্তর: সত্য।
৩১. বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের সংকরায়ণে F1 জনুতে সকল গাছ লম্বা হয়।
উত্তর: সত্য।
৩২. অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যের মাঝামাঝি একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।
উত্তর: সত্য।
৩৩. বর্ণান্ধতার জিনটি Y ক্রোমোজোমে থাকে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: X ক্রোমোজোমে থাকে)।
৩৪. রোলার জিভ মানুষের একটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: এটি একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য)।
৩৫. সকল টেস্ট ক্রসই ব্যাক ক্রস, কিন্তু সকল ব্যাক ক্রস টেস্ট ক্রস নয়।
উত্তর: সত্য।
৩৬. বংশগতির ধারক ও বাহক হল জিন।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: ধারক হল জিন, বাহক হল ক্রোমোজোম)।
৩৭. মেন্ডেলের প্রথম সূত্রটি পৃথকভবনের সূত্র নামে পরিচিত।
উত্তর: সত্য।
৩৮. একই জিনের বিভিন্ন রূপকে লোকাস বলে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: অ্যালিল বলে)।
৩৯. থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ।
উত্তর: সত্য।
৪০. ফিনোটাইপ জিনোটাইপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: সত্য।
iii) নীচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও (১৫টি)
৪১. বংশগতির একক হল ________।
উত্তর: জিন
৪২. মেন্ডেলের একসংকর জননের ফিনোটাইপিক অনুপাত হল ________।
উত্তর: 3 : 1
৪৩. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে ________ ক্রোমোজোম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
উত্তর: Y
৪৪. ________ রোগে রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হয়।
উত্তর: হিমোফিলিয়া
৪৫. মটর গাছের কুঞ্চিত বীজ একটি ________ বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: প্রচ্ছন্ন
৪৬. কোনো জীবের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে ________ বলে।
উত্তর: ফিনোটাইপ
৪৭. RrYy জিনোটাইপযুক্ত জীব থেকে ________ প্রকার গ্যামেট উৎপন্ন হয়।
উত্তর: চার
৪৮. দুটি সংকর লম্বা মটর গাছের সংকরায়ণে ________ % বেঁটে গাছ পাওয়া যায়।
উত্তর: ২৫
৪৯. ________ হল একটি অটোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন রোগ।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া
৫০. মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য ________ জোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করেন।
উত্তর: সাত
৫১. পুরুষদের ________ গ্যামেটিক বলা হয়।
উত্তর: হেটারো
৫২. ক্রোমোজোমে জিনের নির্দিষ্ট অবস্থানকে ________ বলে।
উত্তর: লোকাস
৫৩. অসম্পূর্ণ প্রকটতার জিনোটাইপিক অনুপাত হল ________।
উত্তর: 1 : 2 : 1
৫৪. হিমোফিলিয়া A-তে ________ নম্বর ফ্যাক্টরের অভাব থাকে।
উত্তর: VIII (আট)
৫৫. পিতা ও মাতা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে ________ রোগাক্রান্ত সন্তান জন্মায়।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া মেজর
iv) A স্তম্ভের সঙ্গে B স্তম্ভ মেলাও (৩ সেট x ৫টি = ১৫টি)
সেট – ১
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৫৬. একসংকর জনন | (ক) 1 : 1 |
৫৭. দ্বিসংকর জনন | (খ) অসম্পূর্ণ প্রকটতা |
৫৮. টেস্ট ক্রস (একসংকর) | (গ) প্রকটতার সূত্র |
৫৯. সন্ধ্যা মালতী | (ঘ) 9 : 3 : 3 : 1 |
৬০. প্রকট বৈশিষ্ট্য | (ঙ) 3 : 1 |
উত্তর:
৫৬. একসংকর জনন – (ঙ) 3 : 1
৫৭. দ্বিসংকর জনন – (ঘ) 9 : 3 : 3 : 1
৫৮. টেস্ট ক্রস (একসংকর) – (ক) 1 : 1
৫৯. সন্ধ্যা মালতী – (খ) অসম্পূর্ণ প্রকটতা
৬০. প্রকট বৈশিষ্ট্য – (গ) প্রকটতার সূত্র
সেট – ২
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬১. থ্যালাসেমিয়া | (ক) সেক্স-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন |
৬২. হিমোফিলিয়া | (খ) অটোজোমাল প্রকট |
৬৩. বর্ণান্ধতা | (গ) অটোজোমাল প্রচ্ছন্ন |
৬৪. রোলার জিভ | (ঘ) Y-লিঙ্কড |
৬৫. কানের চুল | (ঙ) X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন |
উত্তর:
৬১. থ্যালাসেমিয়া – (গ) অটোজোমাল প্রচ্ছন্ন
৬২. হিমোফিলিয়া – (ক) সেক্স-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন
৬৩. বর্ণান্ধতা – (ঙ) X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন
৬৪. রোলার জিভ – (খ) অটোজোমাল প্রকট
৬৫. কানের চুল – (ঘ) Y-লিঙ্কড
সেট – ৩
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬৬. জিন | (ক) জীবের বাহ্যিক প্রকাশ |
৬৭. ফিনোটাইপ | (খ) বিপরীতধর্মী জিন |
৬৮. জিনোটাইপ | (গ) বংশগতির একক |
৬৯. অ্যালিল | (ঘ) ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট স্থান |
৭০. লোকাস | (ঙ) জীবের জিনগত গঠন |
উত্তর:
৬৬. জিন – (গ) বংশগতির একক
৬৭. ফিনোটাইপ – (ক) জীবের বাহ্যিক প্রকাশ
৬৮. জিনোটাইপ – (ঙ) জীবের জিনগত গঠন
৬৯. অ্যালিল – (খ) বিপরীতধর্মী জিন
৭০. লোকাস – (ঘ) ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট স্থান
গ) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী – মান ২ (২৫টি)
১. ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. সংজ্ঞা: কোনো জীবের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে ফিনোটাইপ বলে। কোনো জীবের জিনগত গঠনকে জিনোটাইপ বলে।
২. নিয়ন্ত্রণ: ফিনোটাইপ জিনোটাইপ ও পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জিনোটাইপ শুধুমাত্র বংশগতভাবে প্রাপ্ত জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য মটর গাছ নির্বাচন করেছিলেন কেন? (দুটি কারণ)
উত্তর:
১. দ্রুত বংশবিস্তার: মটর গাছ দ্রুত বংশবিস্তার করে, ফলে অল্প সময়ে কয়েকটি জনু ধরে পরীক্ষা করা সম্ভব।
২. বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য: মটর গাছে অনেক জোড়া সুস্পষ্ট বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য (যেমন—লম্বা-বেঁটে, গোলাকার-কুঞ্চিত) ছিল, যা পর্যবেক্ষণ করা সহজ।
৩. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর:
প্রকট বৈশিষ্ট্য: যে বৈশিষ্ট্যটি হেটারোজাইগাস অবস্থায় (সংকর জীবে) প্রকাশিত হয়, তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য বলে।
প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য: যে বৈশিষ্ট্যটি হেটারোজাইগাস অবস্থায় অপ্রকাশিত থাকে এবং কেবল হোমোজাইগাস অবস্থায় প্রকাশিত হয়, তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে।
৪. অসম্পূর্ণ প্রকটতা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
অসম্পূর্ণ প্রকটতা: যে ক্ষেত্রে কোনো সংকর জীবে প্রকট জিনটি প্রচ্ছন্ন জিনের উপর সম্পূর্ণরূপে প্রকট হতে পারে না, ফলে একটি মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে, তাকে অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলে।
উদাহরণ: সন্ধ্যা মালতী ফুলের ক্ষেত্রে লাল (RR) ও সাদা (rr) ফুলের সংকরায়ণে F1 জনুতে গোলাপি (Rr) ফুল সৃষ্টি হয়।
৫. থ্যালাসেমিয়া রোগের দুটি লক্ষণ লেখো।
উত্তর:
১. তীব্র রক্তাল্পতা: হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেহে তীব্র রক্তাল্পতা দেখা যায়।
২. যকৃৎ ও প্লীহার বৃদ্ধি: অতিরিক্ত লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়ার ফলে যকৃৎ ও প্লীহা আকারে বড় হয়ে যায়।
৬. একসংকর ও দ্বিসংকর জননের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. বৈশিষ্ট্যের সংখ্যা: একসংকর জননে একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে সংকরায়ণ ঘটানো হয়। দ্বিসংকর জননে দুইজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে সংকরায়ণ ঘটানো হয়।
২. প্রাপ্ত সূত্র: একসংকর জনন থেকে পৃথকভবনের সূত্র পাওয়া যায়। দ্বিসংকর জনন থেকে স্বাধীন সঞ্চারণের সূত্র পাওয়া যায়।
৭. টেস্ট ক্রস কেন করা হয়?
উত্তর: টেস্ট ক্রসের প্রধান উদ্দেশ্য হল কোনো প্রকট ফিনোটাইপযুক্ত জীবের জিনোটাইপ নির্ণয় করা। অর্থাৎ, জীবটি ওই বৈশিষ্ট্যের জন্য বিশুদ্ধ (হোমোজাইগাস) না সংকর (হেটারোজাইগাস), তা জানার জন্য টেস্ট ক্রস করা হয়।
৮. মেন্ডেলের পৃথকভবনের সূত্রটি লেখো।
উত্তর: কোনো জীবের একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য জনিতৃ জনু থেকে অপত্য জনুতে সঞ্চারিত হওয়ার সময় একত্রিত হলেও, বৈশিষ্ট্য বা অ্যালিলগুলি কখনো মিশ্রিত হয় না। বরং গ্যামেট গঠনকালে তারা পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়।
৯. জেনেটিক কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে কোনো পরিবারে জিনগত রোগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সেই রোগের সম্ভাবনা নির্ণয় করা যায়। এটি বিবাহ সংক্রান্ত পরামর্শ এবং জিনগত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১০. হিমোফিলিয়াকে ‘রয়্যাল ডিজিজ’ বলা হয় কেন?
উত্তর: ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার বংশধরদের মধ্যে এই রোগটি প্রথম ব্যাপকভাবে দেখা যায় এবং রাজপরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণে হিমোফিলিয়াকে ‘রাজকীয় রোগ’ বা ‘রয়্যাল ডিজিজ’ বলা হয়।
১১. থ্যালাসেমিয়া মেজর ও থ্যালাসেমিয়া মাইনরের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
জিনগত গঠন: থ্যালাসেমিয়া মেজর একটি হোমোজাইগাস অবস্থা, যেখানে দুটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিলই উপস্থিত থাকে। থ্যালাসেমিয়া মাইনর একটি হেটারোজাইগাস অবস্থা, যেখানে একটি স্বাভাবিক ও একটি ত্রুটিপূর্ণ অ্যালিল থাকে।
লক্ষণ: মেজর রোগীদের তীব্র রক্তাল্পতা দেখা যায় এবং তাদের নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। মাইনর রোগীরা সাধারণত বাহক হন এবং তাদের মৃদু বা কোনো লক্ষণই থাকে না।
১২. পুরুষদের হেটারোগ্যামেটিক এবং স্ত্রীদের হোমোগ্যামেটিক বলা হয় কেন?
উত্তর: পুরুষেরা দুই প্রকারের গ্যামেট (X ও Y ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু) উৎপাদন করে, তাই তাদের হেটারোগ্যামেটিক বলে। স্ত্রীরা কেবল এক প্রকারের গ্যামেট (X ক্রোমোজোমযুক্ত ডিম্বাণু) উৎপাদন করে, তাই তাদের হোমোগ্যামেটিক বলে।
১৩. লিঙ্গ সংযোজিত জিন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
লিঙ্গ সংযোজিত জিন: যে সমস্ত জিন সেক্স ক্রোমোজোমে (X বা Y) অবস্থান করে এবং বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হয়, তাদের লিঙ্গ সংযোজিত বা সেক্স-লিঙ্কড জিন বলে।
উদাহরণ: মানুষের হিমোফিলিয়া ও বর্ণান্ধতার জিন X ক্রোমোজোমে অবস্থিত।
১৪. ইমাস্কুলেশন বা পুরুষত্বহীনকরণ কী?
উত্তর: মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার সময় স্বপরাগযোগ এড়ানোর জন্য উভলিঙ্গ মটর ফুলের পুংকেশর বা পরাগধানীগুলিকে অপরিণত অবস্থায় কেটে বাদ দিয়েছিলেন। এই পদ্ধতিকে ইমাস্কুলেশন বা পুরুষত্বহীনকরণ বলে।
১৫. বংশগতিতে প্রকরণের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর:
১. ক্রসিং ওভার: মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময় সমসংস্থ ক্রোমোজোমের মধ্যে দেহাংশের বিনিময়ের (ক্রসিং ওভার) ফলে জিনের নতুন সমন্বয় ঘটে।
২. স্বাধীন সঞ্চারণ: গ্যামেট গঠনকালে ভিন্ন ভিন্ন ক্রোমোজোমের জিনগুলি স্বাধীনভাবে সঞ্চারিত হয়, যা নতুন সমন্বয় সৃষ্টি করে।
১৬. পেডিগ্রি চার্ট কী?
উত্তর: যে রেখাচিত্রের মাধ্যমে কোনো পরিবারের কয়েক প্রজন্ম ধরে একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণ দেখানো হয়, তাকে পেডিগ্রি চার্ট বলে। এটি জিনগত রোগ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।
১৭. মেন্ডেলের স্বাধীন সঞ্চারণ সূত্রটি লেখো।
উত্তর: দুই বা ততোধিক জোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে, প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের ফ্যাক্টর বা জিনগুলি কেবল পৃথকই হয় না, বরং গ্যামেট গঠনকালে সম্ভাব্য সকল সমন্বয়ে স্বাধীনভাবে সঞ্চারিত হয়।
১৮. বিশুদ্ধ ও সংকর জীবের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
বিশুদ্ধ জীব: কোনো বৈশিষ্ট্যের জন্য সমধর্মী অ্যালিলযুক্ত জীবকে বিশুদ্ধ বা হোমোজাইগাস জীব বলে (যেমন TT, tt)। এরা এক প্রকার গ্যামেট তৈরি করে।
সংকর জীব: কোনো বৈশিষ্ট্যের জন্য ভিন্নধর্মী অ্যালিলযুক্ত জীবকে সংকর বা হেটারোজাইগাস জীব বলে (যেমন Tt)। এরা একাধিক প্রকার গ্যামেট তৈরি করে।
১৯. হিমোফিলিয়া রোগে মহিলারা সাধারণত আক্রান্ত হয় না কেন?
উত্তর: হিমোফিলিয়া একটি X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন রোগ। মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম (XX) থাকায়, একটি X ক্রোমোজোমে হিমোফিলিয়ার জিন থাকলেও অপর X ক্রোমোজোমের স্বাভাবিক জিনটি প্রকট হওয়ায় রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই মহিলারা সাধারণত বাহক হন, কিন্তু আক্রান্ত হন না।
২০. বংশগতিতে চেকার বোর্ডের ব্যবহার লেখো।
উত্তর: চেকার বোর্ড বা পানেট স্কোয়ারের সাহায্যে কোনো সংকরায়ণ পরীক্ষার ফলে সৃষ্ট অপত্য জনুর সম্ভাব্য জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপগুলি গণনা করা হয়। এর মাধ্যমে জিনোটাইপিক ও ফিনোটাইপিক অনুপাত সহজেই নির্ণয় করা যায়।
২১. প্রকটতার সূত্রটি লেখো।
উত্তর: একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত দুটি বিশুদ্ধ জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে, প্রথম অপত্য জনুতে (F1) কেবল প্রকট বৈশিষ্ট্যটিই প্রকাশিত হয় এবং প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যটি অপ্রকাশিত থাকে।
২২. মটর গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী? মটর গাছে কত জোড়া ক্রোমোজোম থাকে?
উত্তর: মটর গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম Pisum sativum। এতে ৭ জোড়া বা ১৪টি ক্রোমোজোম থাকে।
২৩. অ্যান্টি-হিমোফিলিক ফ্যাক্টর কী?
উত্তর: অ্যান্টি-হিমোফিলিক ফ্যাক্টর বা ফ্যাক্টর VIII হল একটি রক্ততঞ্চনকারী প্রোটিন। এর অভাবে হিমোফিলিয়া A রোগ হয়। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
২৪. একজন বর্ণান্ধ মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের সন্তানদের ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: সকল পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ হবে এবং সকল কন্যাসন্তান বর্ণান্ধতার জন্য বাহক কিন্তু স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন হবে।
২৫. মেন্ডেলকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: গ্রেগর জোহান মেন্ডেলই প্রথম বিজ্ঞানসম্মতভাবে বংশগতির মৌলিক সূত্রগুলি আবিষ্কার করেন। তিনি পরিসংখ্যান ও সংকরায়ণ পরীক্ষার মাধ্যমে বংশানুসরণের ধারা ব্যাখ্যা করেন, যা আধুনিক বংশগতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেছে। তাই তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয়।
ঘ) রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী – মান ৫ (১০টি)
১. মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষাটি একটি চেকার বোর্ডের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো। এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত সূত্রটি লেখো।
উত্তর:
পরীক্ষা: মেন্ডেল একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত দুটি বিশুদ্ধ মটর গাছের (একটি বিশুদ্ধ লম্বা TT এবং একটি বিশুদ্ধ বেঁটে tt) মধ্যে ইতর পরাগযোগ ঘটান।
P জনু: বিশুদ্ধ লম্বা (TT) × বিশুদ্ধ বেঁটে (tt)
গ্যামেট: T এবং t
F1 জনু: সকল গাছ সংকর লম্বা (Tt) হয়। (প্রকটতার সূত্র)
এরপর তিনি F1 জনুর গাছের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটান।
F1 জনুর সংকরায়ণ: সংকর লম্বা (Tt) × সংকর লম্বা (Tt)
গ্যামেট: T, t এবং T, t
F2 জনু (চেকার বোর্ডের সাহায্যে):
T | t | |
---|---|---|
T | TT (লম্বা) | Tt (লম্বা) |
t | Tt (লম্বা) | tt (বেঁটে) |
ফলাফল:
- ফিনোটাইপিক অনুপাত: লম্বা : বেঁটে = 3 : 1
- জিনোটাইপিক অনুপাত: বিশুদ্ধ লম্বা (TT) : সংকর লম্বা (Tt) : বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) = 1 : 2 : 1
২. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জনন পরীক্ষাটি একটি চেকার বোর্ডের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো। এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত সূত্রটি লেখো।
উত্তর:
পরীক্ষা: মেন্ডেল দুইজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত (হলুদ ও গোলাকার বীজ – RRYY; সবুজ ও কুঞ্চিত বীজ – rryy) দুটি বিশুদ্ধ মটর গাছের মধ্যে ইতর পরাগযোগ ঘটান।
P জনু: হলুদ ও গোলাকার (RRYY) × সবুজ ও কুঞ্চিত (rryy)
গ্যামেট: RY এবং ry
F1 জনু: সকল গাছ হলুদ ও গোলাকার বীজযুক্ত হয় (RrYy)।
এরপর তিনি F1 জনুর গাছের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটান।
F1 জনুর সংকরায়ণ: সংকর হলুদ ও গোলাকার (RrYy) × সংকর হলুদ ও গোলাকার (RrYy)
গ্যামেট (৪ প্রকার): RY, Ry, rY, ry
F2 জনু (চেকার বোর্ডের সাহায্যে):
RY | Ry | rY | ry | |
---|---|---|---|---|
RY | RRYY | RRYy | RrYY | RrYy |
Ry | RRYy | RRyy | RrYy | Rryy |
rY | RrYY | RrYy | rrYY | rrYy |
ry | RrYy | Rryy | rrYy | rryy |
ফলাফল (ফিনোটাইপিক অনুপাত):
- হলুদ ও গোলাকার : ৯
- হলুদ ও কুঞ্চিত : ৩
- সবুজ ও গোলাকার : ৩
- সবুজ ও কুঞ্চিত : ১
সূত্র (স্বাধীন সঞ্চারণের সূত্র): দুই বা ততোধিক জোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে, প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের ফ্যাক্টর বা জিনগুলি কেবল পৃথকই হয় না, বরং গ্যামেট গঠনকালে সম্ভাব্য সকল সমন্বয়ে স্বাধীনভাবে সঞ্চারিত হয়।
৩. থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ এবং বংশগতি আলোচনা করো।
উত্তর:
থ্যালাসেমিয়া: এটি একটি অটোজোমবাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত বংশগত রোগ, যেখানে হিমোগ্লোবিনের α বা β গ্লোবিন শৃঙ্খলের উৎপাদন ত্রুটিপূর্ণ হয়, ফলে তীব্র রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
কারণ:
- α-থ্যালাসেমিয়া: ১৬ নং অটোজোমে অবস্থিত α-গ্লোবিন জিনের ত্রুটির জন্য হয়।
- β-থ্যালাসেমিয়া: ১১ নং অটোজোমে অবস্থিত β-গ্লোবিন জিনের ত্রুটির জন্য হয়।
- তীব্র রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া।
- হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া।
- অস্থির বিকৃতি এবং যকৃৎ ও প্লীহার বৃদ্ধি।
- দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া।
ধরা যাক, থ্যালাসেমিয়ার স্বাভাবিক জিন ‘A’ এবং ত্রুটিপূর্ণ জিন ‘a’।
পিতা-মাতা: বাহক পিতা (Aa) × বাহক মাতা (Aa)
চেকার বোর্ড:
A | a | |
---|---|---|
A | AA (স্বাভাবিক) | Aa (বাহক) |
a | Aa (বাহক) | aa (আক্রান্ত/মেজর) |
ফলাফল:
- ২৫% সন্তান সম্পূর্ণ স্বাভাবিক (AA)।
- ৫০% সন্তান বাহক বা থ্যালাসেমিয়া মাইনর (Aa)।
- ২৫% সন্তান থ্যালাসেমিয়া মেজর বা রোগে আক্রান্ত (aa)।
৪. হিমোফিলিয়া রোগের প্রকারভেদ, কারণ ও বংশগতি আলোচনা করো।
উত্তর:
হিমোফিলিয়া: এটি একটি X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ, যেখানে রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টরের অভাবে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না।
প্রকারভেদ ও কারণ:
- হিমোফিলিয়া A: রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর VIII (অ্যান্টি-হিমোফিলিক ফ্যাক্টর) এর অভাবে হয়। এটি সবচেয়ে সাধারণ।
- হিমোফিলিয়া B (ক্রিসমাস ডিজিজ): ফ্যাক্টর IX (ক্রিসমাস ফ্যাক্টর) এর অভাবে হয়।
ধরা যাক, হিমোফিলিয়ার জিনটি হল h (প্রচ্ছন্ন) এবং স্বাভাবিক জিন H (প্রকট)।
পিতা-মাতা: স্বাভাবিক পিতা (XHY) × বাহক মাতা (XHXh)
চেকার বোর্ড:
XH | Y | |
---|---|---|
XH | XHXH (স্বাভাবিক কন্যা) | XHY (স্বাভাবিক পুত্র) |
Xh | XHXh (বাহক কন্যা) | XhY (আক্রান্ত পুত্র) |
ফলাফল:
- ৫০% পুত্রসন্তান হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
- ৫০% কন্যাসন্তান রোগের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা।
৫. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতিটি চেকার বোর্ডের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো। কেন পিতাকেই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য দায়ী করা হয়?
উত্তর:
ভূমিকা: মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে সেক্স ক্রোমোজোম (X ও Y) প্রধান ভূমিকা পালন করে। স্ত্রীলোকের সেক্স ক্রোমোজোম হল XX এবং পুরুষের XY।
পদ্ধতি:
- স্ত্রীলোক (XX): মিয়োসিস বিভাজনের ফলে এক প্রকার ডিম্বাণু (X ক্রোমোজোমযুক্ত) তৈরি করে। তাই স্ত্রীরা হোমোগ্যামেটিক।
- পুরুষ (XY): মিয়োসিস বিভাজনের ফলে দুই প্রকার শুক্রাণু (৫০% X ক্রোমোজোমযুক্ত এবং ৫০% Y ক্রোমোজোমযুক্ত) তৈরি করে। তাই পুরুষরা হেটারোগ্যামেটিক।
পুরুষের শুক্রাণু | ||
---|---|---|
স্ত্রীর ডিম্বাণু | X (৫০%) | Y (৫০%) |
X (১০০%) | XX (কন্যা) | XY (পুত্র) |
ফলাফল: সন্তানের কন্যা (XX) বা পুত্র (XY) হওয়ার সম্ভাবনা ৫০-৫০।
পিতার ভূমিকা: যেহেতু স্ত্রী কেবল X ক্রোমোজোমযুক্ত ডিম্বাণু উৎপাদন করেন, তাই সন্তানের লিঙ্গ নির্ভর করে কোন প্রকার শুক্রাণু (X-যুক্ত না Y-যুক্ত) ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করছে তার উপর। যদি Y-যুক্ত শুক্রাণু নিষিক্ত করে, তবে পুত্রসন্তান জন্মায়। তাই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য পিতাই দায়ী, মাতা নন।
৬. একজন বর্ণান্ধতার বাহক মহিলা একজন স্বাভাবিক পুরুষকে বিবাহ করলে, তাদের সন্তানদের মধ্যে বর্ণান্ধতা সঞ্চারণের ফলাফল চেকার বোর্ডের মাধ্যমে দেখাও।
উত্তর:
ভূমিকা: বর্ণান্ধতা একটি X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। ধরা যাক, বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিন c এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির জন্য দায়ী জিন C।
জনিতৃ জনু (P):
- বাহক মহিলা: XCXc
- স্বাভাবিক পুরুষ: XCY
- মহিলা থেকে: XC এবং Xc
- পুরুষ থেকে: XC এবং Y
XC | Y | |
---|---|---|
XC | XCXC (স্বাভাবিক কন্যা) | XCY (স্বাভাবিক পুত্র) |
Xc | XCXc (বাহক কন্যা) | XcY (আক্রান্ত পুত্র) |
ফলাফল বিশ্লেষণ:
- কন্যাসন্তান: ৫০% কন্যাসন্তান স্বাভাবিক (XCXC) এবং ৫০% কন্যাসন্তান বাহক (XCXc) হবে। অর্থাৎ, কোনো কন্যাসন্তানই বর্ণান্ধ হবে না।
- পুত্রসন্তান: ৫০% পুত্রসন্তান স্বাভাবিক (XCY) এবং ৫০% পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ (XcY) হবে।
৭. বংশগতিতে প্রকরণ সৃষ্টির কারণগুলি কী কী? এর গুরুত্ব লেখো।
উত্তর:
প্রকরণ (Variation): একই প্রজাতির জীবদের মধ্যে আকার, আকৃতি, আচরণ ও শারীরবৃত্তীয় পার্থক্যকে প্রকরণ বা ভেদ বলে।
প্রকরণ সৃষ্টির কারণ:
- ক্রসিং ওভার: মিয়োসিস বিভাজনের সময় সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে দেহাংশের বিনিময় ঘটে। এর ফলে জিনের নতুন সমন্বয় তৈরি হয়, যা প্রকরণ সৃষ্টি করে।
- জিনের স্বাধীন সঞ্চারণ: গ্যামেট গঠনকালে ভিন্ন ভিন্ন ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলি স্বাধীনভাবে সঞ্চারিত হয়ে নতুন নতুন সমন্বয় গঠন করে।
- মিউটেশন বা পরিব্যক্তি: জিনের গঠন বা ক্রোমোজোমের গঠনে বা সংখ্যায় আকস্মিক ও স্থায়ী পরিবর্তন ঘটলে নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হয়, যা প্রকরণ সৃষ্টি করে।
- পরিবেশগত প্রভাব: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানও জীবের ফিনোটাইপের ওপর প্রভাব ফেলে প্রকরণ সৃষ্টি করতে পারে।
- অভিযোজন: প্রকরণের ফলে জীবেরা পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে বা অভিযোজিত হতে পারে।
- বিবর্তন: অনুকূল প্রকরণযুক্ত জীবেরা প্রাকৃতিক নির্বাচনে অগ্রাধিকার পায় এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলি বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়, যা নতুন প্রজাতি গঠনে ও বিবর্তনে সাহায্য করে।
- অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম: প্রকরণ জীবকে অস্তিত্বের সংগ্রামে জয়ী হতে সাহায্য করে।
৮. গিনিপিগের ক্ষেত্রে কালো (B) ও অমসৃণ (R) লোম, সাদা (b) ও মসৃণ (r) লোমের উপর প্রকট। একটি সংকর কালো অমসৃণ (BbRr) গিনিপিগের সঙ্গে একটি সাদা মসৃণ (bbrr) গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটালে কী কী ধরনের অপত্য ও কী অনুপাতে পাওয়া যাবে, তা চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখাও। এই সংকরায়ণটির নাম কী?
উত্তর:
সংকরায়ণ: সংকর কালো অমসৃণ (BbRr) × সাদা মসৃণ (bbrr)
গ্যামেট:
- BbRr থেকে: BR, Br, bR, br (চার প্রকার)
- bbrr থেকে: br (এক প্রকার)
BR | Br | bR | br | |
---|---|---|---|---|
br | BbRr (কালো অমসৃণ) | Bbrr (কালো মসৃণ) | bbRr (সাদা অমসৃণ) | bbrr (সাদা মসৃণ) |
ফলাফল (ফিনোটাইপ ও অনুপাত):
- কালো অমসৃণ (BbRr): ১
- কালো মসৃণ (Bbrr): ১
- সাদা অমসৃণ (bbRr): ১
- সাদা মসৃণ (bbrr): ১
সংকরায়ণের নাম: যেহেতু একটি সংকর জীবের সঙ্গে একটি হোমোজাইগাস প্রচ্ছন্ন জীবের সংকরায়ণ ঘটানো হয়েছে, তাই এটি একটি টেস্ট ক্রস (দ্বিসংকর টেস্ট ক্রস)।
৯. জিন ও অ্যালিলের মধ্যে সম্পর্ক কী? হোমোজাইগাস ও হেটারোজাইগাস বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর:
জিন ও অ্যালিলের সম্পর্ক:
জিন হল বংশগতির একক যা একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন সংশ্লেষের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। সমসংস্থ ক্রোমোজোমের একই লোকাসে অবস্থিত একটি জিনের বিভিন্ন রূপভেদকে অ্যালিল বলে। যেমন, মটর গাছের দৈর্ঘ্যের জন্য দায়ী জিনটির দুটি অ্যালিল হল লম্বা (T) এবং বেঁটে (t)। সুতরাং, অ্যালিল হল জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
হোমোজাইগাস (বিশুদ্ধ):
কোনো ডিপ্লয়েড জীবের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল দুটি যদি একই প্রকৃতির হয়, তবে সেই জীবটিকে ওই বৈশিষ্ট্যের জন্য হোমোজাইগাস বা বিশুদ্ধ জীব বলে।
উদাহরণ: বিশুদ্ধ লম্বা মটর গাছ (TT) বা বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছ (tt)।
হেটারোজাইগাস (সংকর):
কোনো ডিপ্লয়েড জীবের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল দুটি যদি ভিন্ন প্রকৃতির হয়, তবে সেই জীবটিকে ওই বৈশিষ্ট্যের জন্য হেটারোজাইগাস বা সংকর জীব বলে।
উদাহরণ: সংকর লম্বা মটর গাছ (Tt)।
১০. থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়ার মধ্যে নিম্নলিখিত তিনটি বিষয়ে তুলনা করো: (ক) কারণ, (খ) লক্ষণ, (গ) বংশগতি।
উত্তর:
বিষয় | থ্যালাসেমিয়া | হিমোফিলিয়া |
---|---|---|
(ক) কারণ | এটি একটি অটোজোমবাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। হিমোগ্লোবিনের α বা β গ্লোবিন শৃঙ্খলের উৎপাদন ব্যাহত হয়। | এটি একটি X-লিঙ্কড প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রোগ। রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর VIII বা IX এর উৎপাদন ব্যাহত হয়। |
(খ) লক্ষণ | তীব্র রক্তাল্পতা, যকৃৎ ও প্লীহার বৃদ্ধি, অস্থির বিকৃতি এবং দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া। | শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না, ফলে অবিরাম রক্তক্ষরণ হয়। অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণের ফলে ব্যথা হয়। |
(গ) বংশগতি | বাবা ও মা উভয়ই বাহক হলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে (২৫%)। এটি পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। | মহিলারা সাধারণত রোগের বাহক হন এবং পুরুষরা আক্রান্ত হন। রোগটি মাতা থেকে পুত্রসন্তানে সঞ্চারিত হয়। |
class 10 life science chapter 3
Class 10 Life Science বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ Question Answer MCQ,অতি-সংক্ষিপ্ত, ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর : class 10 বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ প্রশ্ন উত্তর