সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো (MCQ) – মান: ১ (৫০টি)
১. ভারতে প্রচলিত ভাষা পরিবারগুলির সংখ্যা কত?
উত্তর: (গ) চারটি
২. ভারতের বৃহত্তম ভাষা পরিবার কোনটি?
উত্তর: (গ) ইন্দো-আর্য
৩. বাংলা ভাষা কোন ভাষা পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (গ) ইন্দো-ইউরোপীয় (ইন্দো-আর্য শাখা)
৪. তামিল, তেলেগু, কন্নড় কোন ভাষা পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
৫. সাঁওতালি, মুণ্ডারি ভাষাগুলি কোন পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (গ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
৬. নাগা, বোড়ো, গারো ভাষাগুলি কোন পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (ঘ) চিনা-তিব্বতি
৭. ভারতে প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে আর্যদের আগমনের পূর্ববর্তী ভাষা কোনটি?
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
৮. কোনটি দ্রাবিড় পরিবারের ভাষা নয়?
উত্তর: (ঘ) মারাঠি (ইন্দো-আর্য)
৯. মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি উদাহরণ হল—
উত্তর: (খ) পালি
১০. ভারতের বাইরেও প্রচলিত একটি দ্রাবিড় ভাষা হল—
উত্তর: (খ) ব্রাহুই (পাকিস্তান, আফগানিস্তানে)
১১. অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবারের দুটি প্রধান শাখা কী কী?
উত্তর: (গ) মুণ্ডা ও মন-খমের
১২. চিনা-তিব্বতি ভাষা পরিবারকে কী নামেও অভিহিত করা হয়?
উত্তর: (ক) ভোট-বর্মি
১৩. ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’ কোন স্তরের আর্য ভাষার নিদর্শন?
উত্তর: (গ) প্রাচীন ভারতীয় আর্য
১৪. প্রাকৃত ভাষা কোন স্তরের ভাষা?
উত্তর: (খ) মধ্য ভারতীয় আর্য
১৫. ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা পরিবার কোনটি?
উত্তর: (গ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
১৬. খাসি ভাষা অস্ট্রো-এশিয়াটিক পরিবারের কোন শাখার অন্তর্গত?
উত্তর: (গ) মন-খমের
১৭. ভাষাতাত্ত্বিক জর্জ গ্রিয়ারসন ভারতকে কী বলেছেন?
উত্তর: (গ) ভাষার জাদুঘর (Museum of Languages)
১৮. কোন ভাষা পরিবার মূলত ভারতের দক্ষিণ অংশে সীমাবদ্ধ?
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
১৯. অপভ্রংশ কোন স্তরের ভাষা?
উত্তর: (খ) মধ্য ভারতীয় আর্য-এর অন্তিম পর্ব
২০. মৈথিলী, ভোজপুরি কোন ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত?
উত্তর: (ঘ) বিহারি
২১. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের যে শাখাটি ভারতে প্রবেশ করে, তার নাম—
উত্তর: (গ) ইন্দো-আর্য
২২. ‘আর্য’ শব্দটির আদি অর্থ কী?
উত্তর: (ক) চাষ করা
২৩. শौरসেনী প্রাকৃত থেকে কোন ভাষার জন্ম?
উত্তর: (গ) হিন্দি
২৪. ভারতের ক্ষুদ্রতম ভাষা পরিবার কোনটি?
উত্তর: (গ) আন্দামানি (অনেক ভাষাবিদ এটিকে পঞ্চম পরিবার হিসেবে গণ্য করেন)
২৫. ‘শতম’ गटाভুক্ত ভাষা কোনটি?
উত্তর: (ঘ) সংস্কৃত
২৬. কোন ভাষাকে অস্ট্রিক পরিবারের ভাষা বলে মনে করা হয়?
উত্তর: (খ) খাসি
২৭. ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভাষাগুলি মূলত কোন পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (গ) চিনা-তিব্বতি
২৮. ভারতের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে স্বীকৃত ভাষার সংখ্যা কত?
উত্তর: (গ) ২২টি
২৯. ‘কেন্তুম’ गटाভুক্ত ভাষা কোনটি?
উত্তর: (গ) লাতিন
৩০. অস্ট্রিক ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে কী বলা হয়?
উত্তর: (খ) নিষাদ
৩১. ‘কুরুখ’ ভাষা কোন পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (ঘ) দ্রাবিড়
৩২. সংস্কৃত ভাষার দুটি রূপ কী কী?
উত্তর: (গ) বৈদিক ও লৌকিক
৩৩. চিনা-তিব্বতি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে কী বলা হয়?
উত্তর: (ঘ) কিরাত
৩৪. ভাষাতত্ত্বের বিচারে কোন পরিবারটি নবীনতম?
উত্তর: (খ) ইন্দো-আর্য
৩৫. মাগধী অপভ্রংশের পূর্বাঞ্চলীয় রূপ থেকে কোন ভাষার জন্ম হয়নি?
উত্তর: (ঘ) হিন্দি
৩৬. কোনটি মন-খমের শাখার ভাষা?
উত্তর: (ঘ) খাসি
৩৭. ভারতের বাইরে ইন্দো-আর্য ভাষার একটি উদাহরণ হল—
উত্তর: (ঘ) সবকটি
৩৮. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, অস্ট্রিক ভাষা থেকে বাংলা শব্দভান্ডারে আগত শব্দ কোনটি?
উত্তর: (ঘ) সবকটি
৩৯. ‘মালতো’ কোন পরিবারের ভাষা?
উত্তর: (ক) দ্রাবিড়
৪০. মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল কোনটি?
উত্তর: (খ) ৬০০ খ্রি.পূ. – ৯০০ খ্রি.
৪১. আর্যরা ভারতে আসার আগে কোন জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল?
উত্তর: (গ) ক ও খ উভয়ই
৪২. ‘গণ্ড’ কোন ভাষা পরিবারের অন্তর্গত?
উত্তর: (গ) দ্রাবিড়
৪৩. কোন ভাষাটি ভারতে ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের শতম गटाভুক্ত?
উত্তর: (গ) হিন্দি
৪৪. ‘হো’ ভাষা কোন শাখার অন্তর্গত?
উত্তর: (খ) মুণ্ডা
৪৫. ‘হিন্দ-চীন’ ভাষা পরিবার কোনটি?
উত্তর: (ঘ) চিনা-তিব্বতি
৪৬. নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল কোনটি?
উত্তর: (গ) ৯০০ খ্রি. থেকে বর্তমান
৪৭. কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে?
উত্তর: (ঘ) মাগধী অপভ্রংশ
৪৮. ‘কোল’ বা ‘খেরওয়ারি’ কোন ভাষা পরিবারের শাখা?
উত্তর: (ক) মুণ্ডা
৪৯. ‘হিউয়েন সাং’-এর ভারত ভ্রমণ বৃত্তান্তে কোন ভাষার উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর: (ঘ) সবকটি
৫০. ভারতে প্রচলিত চারটি ভাষা পরিবারকে প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে কে চিহ্নিত করেন?
উত্তর: (গ) জর্জ গ্রিয়ারসন
শূন্যস্থান পূরণের জন্য সঠিক বিকল্পটি বেছে নাও – মান: ১ (৩০টি)
১. ভারতের বৃহত্তম ভাষা পরিবার হল ______।
উত্তর: (গ) ইন্দো-আর্য
২. বাংলা ভাষার উৎস হল ______ ভাষা পরিবার।
উত্তর: (ঘ) ইন্দো-ইউরোপীয়
৩. তামিল, তেলেগু প্রভৃতি ______ পরিবারের ভাষা।
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
৪. সাঁওতালি ভাষা ______ ভাষা পরিবারের অন্তর্গত।
উত্তর: (ক) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
৫. প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার সাহিত্যিক রূপটি হল ______ সংস্কৃত।
উত্তর: (ঘ) বৈদিক
৬. মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি অন্যতম রূপ হল ______।
উত্তর: (খ) প্রাকৃত
৭. খাসি ভাষা ______ পরিবারের মন-খমের শাখার ভাষা।
উত্তর: (ক) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
৮. মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম—এই মতটি দিয়েছেন ______।
উত্তর: (গ) ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
৯. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বংশের দুটি প্রধান শাখা ______ ও শতম।
উত্তর: (ক) কেন্তুম
১০. দ্রাবিড় ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ভারতের ______ অংশে বাস করে।
উত্তর: (ঘ) দক্ষিণ
১১. ভারতের প্রায় ______ শতাংশ মানুষ ইন্দো-আর্য ভাষায় কথা বলেন।
উত্তর: (ঘ) ৭৫
১২. অস্ট্রিক ভাষাকে ______ ভাষা বলেও অভিহিত করা হয়।
উত্তর: (ক) নিষাদ
১৩. ‘বেদাঙ্গ জ্যোতিষ’ গ্রন্থটি ______ আর্য ভাষার নিদর্শন।
উত্তর: (ক) প্রাচীন
১৪. চিনা-তিব্বতি ভাষা পরিবারকে ______ পরিবারও বলা হয়।
উত্তর: (ক) ভোট-বর্মি
১৫. ‘কুরুখ’ উত্তর ভারতের একটি ______ পরিবারের ভাষা।
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
১৬. মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার স্তরকে ______ ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তর: (খ) তিনটি
১৭. মুণ্ডা ভাষার একটি উদাহরণ হল ______।
উত্তর: (গ) হো
১৮. ‘ব্রাহুই’ ভাষাটি ______ দেশে প্রচলিত।
উত্তর: (গ) পাকিস্তান
১৯. ভাষাতত্ত্বের দিক থেকে বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয়র ______ गटाভুক্ত।
উত্তর: (খ) শতম
২০. সিন্ধু সভ্যতা ছিল মূলত ______ ভাষাভাষী মানুষের সভ্যতা।
উত্তর: (গ) দ্রাবিড়
২১. ‘অপভ্রংশ’ শব্দের অর্থ হল ______।
উত্তর: (গ) বিকৃত
২২. ভারতে আর্য ভাষার প্রবেশ ঘটে আনুমানিক ______ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।
উত্তর: (গ) ১৫০০
২৩. ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা পরিবার হল ______।
উত্তর: (খ) দ্রাবিড়
২৪. চিনা-তিব্বতি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে ______ জাতি বলা হয়।
উত্তর: (খ) কিরাত
২৫. লৌকিক সংস্কৃতের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল ______।
উত্তর: (গ) রামায়ণ ও মহাভারত
২৬. অস্ট্রো-এশিয়াটিক পরিবারের অপর নাম ______ পরিবার।
উত্তর: (ঘ) অস্ট্রিক
২৭. ভারতে প্রচলিত আন্দামানি ভাষা একটি ______ ভাষা পরিবার।
উত্তর: (ঘ) বিচ্ছিন্ন
২৮. ভারতের সকল দ্রাবিড় ভাষার মধ্যে প্রাচীনতম হল ______।
উত্তর: (ঘ) তামিল
২৯. ‘মারাঠি’ একটি ______ ভাষা।
উত্তর: (গ) নব্য ভারতীয় আর্য
৩০. ‘The Linguistic Survey of India’ গ্রন্থটি রচনা করেন ______।
উত্তর: (গ) জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন
ক্রম অনুযায়ী বাক্যের পুনর্বিন্যাস করো – মান: ১ (২০টি)
(নিচে ৫টি সেট দেওয়া হল, প্রতিটি সেটে ৪টি করে বাক্য আছে।)
সেট ১: ইন্দো-আর্য ভাষার বিবর্তনের ক্রম অনুযায়ী সাজাও।
- মধ্য ভারতীয় আর্য
- প্রাচীন ভারতীয় আর্য
- নব্য ভারতীয় আর্য
- অপভ্রংশ
সঠিক ক্রম: খ → ক → ঘ → গ
সেট ২: ভারতে প্রচলিত ভাষা পরিবারগুলিকে জনসংখ্যা অনুযায়ী (বৃহত্তম থেকে ক্ষুদ্রতম) সাজাও।
- দ্রাবিড়
- ইন্দো-আর্য
- চিনা-তিব্বতি
- অস্ট্রো-এশিয়াটিক
সঠিক ক্রম: খ → ক → ঘ → গ
সেট ৩: প্রাচীন ভারতীয় আর্য থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তির ক্রম দেখাও।
- মাগধী অপভ্রংশ
- প্রাচীন বাংলা
- প্রাচীন ভারতীয় আর্য
- মাগধী প্রাকৃত
সঠিক ক্রম: গ → ঘ → ক → খ
সেট ৪: ভারতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আগমনের ক্রম সাজাও।
- আর্য
- অস্ট্রিক ( নিষাদ )
- দ্রাবিড়
- ভোট-চিনীয় ( কিরাত )
সঠিক ক্রম: খ → গ → ক → ঘ
সেট ৫: ইন্দো-ইউরোপীয় থেকে ইন্দো-আর্য পর্যন্ত শাখা-প্রশাখার ক্রম সাজাও।
- ইন্দো-ইরানীয়
- ইন্দো-আর্য
- ইন্দো-ইউরোপীয়
- শতম
সঠিক ক্রম: গ → ঘ → ক → খ
স্তম্ভ মিলিয়ে সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো – মান: ১ (২০টি)
(নিচে ৫টি সেট দেওয়া হল, প্রতিটি সেটে ৪টি করে জোড়া মেলাতে হবে।)
সেট ১:
‘ক’ স্তম্ভ (ভাষা) | ‘খ’ স্তম্ভ (ভাষা পরিবার) |
---|---|
১. বাংলা | (ক) দ্রাবিড় |
২. তামিল | (খ) চিনা-তিব্বতি |
৩. সাঁওতালি | (গ) ইন্দো-আর্য |
৪. বোড়ো | (ঘ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক |
সঠিক মিলন:
১ – (গ), ২ – (ক), ৩ – (ঘ), ৪ – (খ)
সেট ২:
‘ক’ স্তম্ভ (ভাষা পরিবার) | ‘খ’ স্তম্ভ (একটি উদাহরণ) |
---|---|
১. ইন্দো-আর্য | (ক) কুরুখ |
২. দ্রাবিড় | (খ) খাসি |
৩. অস্ট্রো-এশিয়াটিক | (গ) হিন্দি |
৪. চিনা-তিব্বতি | (ঘ) মণিপুরী |
সঠিক মিলন:
১ – (গ), ২ – (ক), ৩ – (খ), ৪ – (ঘ)
সেট ৩:
‘ক’ স্তম্ভ (আর্য ভাষার স্তর) | ‘খ’ স্তম্ভ (উদাহরণ) |
---|---|
১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য | (ক) পালি |
২. মধ্য ভারতীয় আর্য | (খ) বাংলা |
৩. নব্য ভারতীয় আর্য | (গ) মাগধী অপভ্রংশ |
৪. মধ্য ভারতীয় আর্যের শেষ স্তর | (ঘ) বৈদিক সংস্কৃত |
সঠিক মিলন:
১ – (ঘ), ২ – (ক), ৩ – (খ), ৪ – (গ)
সেট ৪:
‘ক’ স্তম্ভ (জনগোষ্ঠী) | ‘খ’ স্তম্ভ (ভাষা পরিবার) |
---|---|
১. আর্য | (ক) অস্ট্রিক |
২. নিষাদ | (খ) ভোট-চিনীয় |
৩. দ্রাবিড় | (গ) ইন্দো-ইউরোপীয় |
৪. কিরাত | (ঘ) দ্রাবিড় |
সঠিক মিলন:
১ – (গ), ২ – (ক), ৩ – (ঘ), ৪ – (খ)
সেট ৫:
‘ক’ স্তম্ভ (শাখা) | ‘খ’ স্তম্ভ (উদাহরণ) |
---|---|
১. মন-খমের | (ক) মুণ্ডারি |
২. মুণ্ডা | (খ) নাগা |
৩. ইন্দো-আর্য | (গ) খাসি |
৪. ভোট-বর্মি | (ঘ) পাঞ্জাবি |
সঠিক মিলন:
১ – (গ), ২ – (ক), ৩ – (ঘ), ৪ – (খ)
সত্য/মিথ্যা বিচার করে সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো – মান: ১ (১০টি)
১. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- বাংলা একটি দ্রাবিড় ভাষা।
- ভারতে চারটি প্রধান ভাষা পরিবার দেখা যায়।
- সাঁওতালি একটি অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা।
- হিন্দি একটি ইন্দো-আর্য ভাষা।
উত্তর: (খ) (i)-মিথ্যা, (ii)-সত্য, (iii)-সত্য, (iv)-সত্য
২. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- ইন্দো-আর্য ভারতের বৃহত্তম ভাষা পরিবার।
- তামিল একটি চিনা-তিব্বতি ভাষা।
- অস্ট্রিক ভাষাভাষীদের নিষাদ বলা হয়।
- পালি একটি প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা।
উত্তর: (খ) (i)-সত্য, (ii)-মিথ্যা, (iii)-সত্য, (iv)-মিথ্যা
৩. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- ব্রাহুই ভারতের বাইরে প্রচলিত একটি দ্রাবিড় ভাষা।
- লৌকিক সংস্কৃতে বেদ রচিত হয়েছিল।
- অপভ্রংশ হল মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার অন্তিম পর্ব।
- বোড়ো একটি অস্ট্রিক ভাষা।
উত্তর: (গ) (i)-সত্য, (ii)-মিথ্যা, (iii)-সত্য, (iv)-মিথ্যা
৪. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- মাগধী প্রাকৃত থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব।
- খাসি ভাষা মুণ্ডা শাখার অন্তর্গত।
- দ্রাবিড় ভাষা পরিবার অস্ট্রিকের চেয়ে প্রাচীন।
- কিরাত জনগোষ্ঠী চিনা-তিব্বতি ভাষায় কথা বলে।
উত্তর: (গ) (i)-সত্য, (ii)-মিথ্যা, (iii)-মিথ্যা, (iv)-সত্য (মাগধী অপভ্রংশ থেকে উদ্ভব)
৫. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- ‘কেন্তুম’ ও ‘শতম’ হল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের দুটি শাখা।
- বাংলা ‘কেন্তুম’ गटाভুক্ত।
- সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ দ্রাবিড় ভাষায় কথা বলে।
- জর্জ গ্রিয়ারসন ভারতকে ‘ভাষার জাদুঘর’ বলেছেন।
উত্তর: (ক) (i)-সত্য, (ii)-মিথ্যা, (iii)-মিথ্যা, (iv)-সত্য
৬. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- অসমীয়া একটি দ্রাবিড় ভাষা।
- নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু।
- ‘মালতো’ একটি অস্ট্রিক ভাষা।
- ভাষাতাত্ত্বিকভাবে ইন্দো-আর্য পরিবার ভারতে নবীনতম।
উত্তর: (ক) (i)-মিথ্যা, (ii)-সত্য, (iii)-মিথ্যা, (iv)-সত্য
৭. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- অস্ট্রো-এশিয়াটিক পরিবারের দুটি শাখা হল মুণ্ডা ও মন-খমের।
- ‘হো’ ভাষা মন-খমের শাখার অন্তর্গত।
- ‘মারাঠি’ একটি ইন্দো-আর্য ভাষা।
- ‘কুরুখ’ উত্তর ভারতের একটি অস্ট্রিক ভাষা।
উত্তর: (ক) (i)-সত্য, (ii)-মিথ্যা, (iii)-সত্য, (iv)-মিথ্যা
৮. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- সংস্কৃতের ‘কেন্তুম’ ও ‘শতম’ নামে দুটি রূপ আছে।
- গণ্ডি একটি দ্রাবিড় ভাষা।
- তামিল ভারতের একটি ধ্রুপদী ভাষা।
- প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল ৬০০ খ্রি.পূ. পর্যন্ত।
উত্তর: (ক) (i)-মিথ্যা, (ii)-সত্য, (iii)-সত্য, (iv)-সত্য (ইন্দো-ইউরোপীয়র দুটি শাখা)
৯. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- ‘Linguistic Survey of India’ গ্রন্থটির রচয়িতা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
- আর্যরা ভারতে আসার আগে এখানে দ্রাবিড় ও অস্ট্রিক জাতির বাস ছিল।
- ‘অপভ্রংশ’ শব্দের অর্থ ‘খুব সুন্দর’।
- ভারতে চারটি প্রধান ভাষা পরিবার ছাড়াও আন্দামানি নামে একটি বিচ্ছিন্ন পরিবার আছে।
উত্তর: (ক) (i)-মিথ্যা, (ii)-সত্য, (iii)-মিথ্যা, (iv)-সত্য
১০. নীচের বিবৃতিগুলি বিবেচনা করো:
- শौरসেনী প্রাকৃত থেকে হিন্দি ভাষার জন্ম।
- বোড়ো একটি চিনা-তিব্বতি ভাষা।
- অস্ট্রিক ভাষা পরিবারকে আর্য ভাষা বলা হয়।
- ভারতের সব ভাষাই ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্গত।
উত্তর: (ক) (i)-সত্য, (ii)-সত্য, (iii)-মিথ্যা, (iv)-মিথ্যা
বিবৃতি (Assertion) ও কারণ (Reason) এর মধ্যে সঠিক সম্পর্ক নিরূপণ করো – মান: ১ (১০টি)
১.
বিবৃতি (A): বাংলা ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের অন্তর্গত।
কারণ (R): কারণ বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা সংস্কৃত থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
২.
বিবৃতি (A): দ্রাবিড় ভাষা পরিবারকে ভারতের প্রাচীনতম ভাষা পরিবারগুলির অন্যতম বলে মনে করা হয়।
কারণ (R): কারণ আর্যদের আগমনের পূর্বেই ভারতে দ্রাবিড় সভ্যতা ও ভাষার অস্তিত্ব ছিল।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
৩.
বিবৃতি (A): মধ্য ভারতীয় আর্য স্তরে প্রাকৃত ভাষাগুলির জন্ম হয়।
কারণ (R): কারণ এই সময়ে বৈদিক সংস্কৃতের নিয়মকানুন সাধারণ মানুষের কাছে কঠিন হয়ে পড়ায় কথ্য ভাষাগুলি গুরুত্ব পেতে শুরু করে।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
৪.
বিবৃতি (A): সাঁওতালি, মুণ্ডারিকে অস্ট্রিক পরিবারের ভাষা বলা হয়।
কারণ (R): কারণ এই ভাষাগুলি মূলত দ্রাবিড় ভাষাভাষী অঞ্চলে প্রচলিত।
উত্তর: (গ) A সত্য কিন্তু R মিথ্যা। (এই ভাষাগুলি মধ্য ও পূর্ব ভারতে প্রচলিত, দ্রাবিড় অঞ্চলে নয়)।
৫.
বিবৃতি (A): জর্জ গ্রিয়ারসন ভারতকে ‘ভাষার জাদুঘর’ বলেছেন।
কারণ (R): কারণ ভারতে মাত্র একটি ভাষা পরিবার প্রচলিত।
উত্তর: (গ) A সত্য কিন্তু R মিথ্যা। (কারণ ভারতে চারটি প্রধান ভাষা পরিবারের সহাবস্থান দেখা যায়)।
৬.
বিবৃতি (A): বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের শতম শাখার অন্তর্গত।
কারণ (R): কারণ সংস্কৃতে ‘একশো’ বোঝাতে ‘শতম্’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, যা বাংলার উৎস।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
৭.
বিবৃতি (A): উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাষাগুলি মূলত চিনা-তিব্বতি পরিবারের অন্তর্গত।
কারণ (R): কারণ এই অঞ্চলটি ভৌগোলিকভাবে তিব্বত ও মায়ানমারের (বর্মা) সংলগ্ন।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
৮.
বিবৃতি (A): ‘ব্রাহুই’ একটি দ্রাবিড় ভাষা হওয়া সত্ত্বেও এটি পাকিস্তানে প্রচলিত।
কারণ (R): মনে করা হয়, আর্যদের আগমনের ফলে দ্রাবিড়রা দক্ষিণে সরে গেলেও ব্রাহুইভাষী একটি ক্ষুদ্র অংশ উত্তর-পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।
৯.
বিবৃতি (A): নব্য ভারতীয় আর্য ভাষাগুলির মধ্যে অনেক মিল দেখা যায়।
কারণ (R): কারণ এগুলি সবই দ্রাবিড় ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
উত্তর: (গ) A সত্য কিন্তু R মিথ্যা। (কারণ এগুলি সবই প্রাকৃত-অপভ্রংশ স্তর থেকে উদ্ভূত হয়েছে)।
১০.
বিবৃতি (A): বাংলা শব্দভান্ডারে অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় ভাষার প্রভাব রয়েছে।
কারণ (R): কারণ আর্যরা ভারতে আসার পর এখানকার আদিম অধিবাসী অস্ট্রিক ও দ্রাবিড়দের সংস্পর্শে আসে।
উত্তর: (ক) A ও R উভয়ই সত্য এবং R হল A-এর সঠিক ব্যাখ্যা।