মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন 2026
ক) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) – মান ১ (৫০টি)
কারক ও অ-কারক সম্পর্ক
১. “ছেলেরা ফুটবল খেলছে।” – নিম্নরেখ পদটি কোন কারকের উদাহরণ?
২. অপাদান কারকে সাধারণত কোন অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়?
৩. “তিলে তেল হয়।” – নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি কী?
৪. ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কহীন পদকে কী বলে?
৫. “রাজার পুত্র” – নিম্নরেখ পদটি হল–
৬. ‘দ্বারা’, ‘দিয়া’ প্রভৃতি অনুসর্গ কোন কারকে বসে?
৭. যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে বলে–
৮. “অন্নহীনে অন্ন দাও।” – নিম্নরেখ পদটি কোন কারক?
৯. “গগনে গরজে মেঘ” – নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি হল–
১০. শূন্য বিভক্তি কোনটি?
১১. অ-কারক পদ কয় প্রকার?
১২. “হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করো।” – নিম্নরেখ পদটি হল–
সমাস
১৩. যে সমাসে উভয় পদের অর্থই প্রধান থাকে, তাকে বলে–
১৪. ‘মনমাঝি’ – কোন সমাসের উদাহরণ?
১৫. ‘দশ আনন যার’ – এটি কোন সমাস?
১৬. ‘উপনগরী’ – সমাসটির ব্যাসবাক্য কী?
১৭. পূর্বপদের সংখ্যাবাচক বিশেষণ ও পরপদের বিশেষ্যের মিলনে কোন সমাস হয়?
১৮. ‘রথ দেখা’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম হল–
১৯. ‘অলুক সমাস’-এর একটি উদাহরণ হল–
২০. কোন সমাসে পূর্বপদের অর্থ প্রধান থাকে?
২১. ‘ছাত্রছাত্রী’ – এটি কোন দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?
২২. ‘তুষারশুভ্র’ – ব্যাসবাক্যটি হল–
বাক্য
২৩. গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার?
২৪. “যে পরিশ্রম করে, সে-ই সফল হয়।” – এটি কোন শ্রেণীর বাক্য?
২৫. ‘এবং’, ‘ও’, ‘কিন্তু’, ‘অথবা’ – এই সংযোজক অব্যয়গুলি কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয়?
২৬. একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে কোন বাক্যে?
২৭. “আহা! কী সুন্দর দৃশ্য।” – এটি অর্থগতভাবে কোন শ্রেণীর বাক্য?
২৮. বাক্যের দুটি প্রধান অংশ কী কী?
২৯. যে বাক্যে কোনো কিছুর বর্ণনা বা বিবৃতি থাকে, তাকে বলে–
৩০. “ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।” – এটি কোন শ্রেণীর বাক্য?
বাচ্য
৩১. যে বাচ্যে কর্তার অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলে–
৩২. “আমার খাওয়া হয়েছে।” – এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
৩৩. “শাঁখ বাজে।” – এটি কোন বাচ্য?
৩৪. “পুলিশ দ্বারা চোর ধৃত হইয়াছে।” – এটি কোন বাচ্য?
৩৫. কর্তৃবাচ্যের কর্তায় কোন বিভক্তি হয়?
বিবিধ
৩৬. “দশানন” – নিম্নরেখ পদটি কোন সমাস?
৩৭. “মেঘে ঢাকা আকাশ।” – নিম্নরেখ পদটির কারক কী?
৩৮. “তিনি এলেন এবং আমি চলে গেলাম।” – এটি কোন ধরনের বাক্য?
৩৯. “বিড়াল তপস্বী” – এর ব্যাসবাক্য কী?
৪০. “তার আসা হবে না।” – কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর করলে হবে–
৪১. ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো’ – এটি কী ধরনের বাক্য?
৪২. ‘অव्ययीभाव’ সমাসে কোন পদের অর্থ প্রাধান্য পায়?
৪৩. ‘তির্যক বিভক্তি’ কোনটি?
৪৪. “তোমাকে দিয়ে এ কাজ হবে না।” – কর্তৃবাচ্য হল–
৪৫. ‘হাতেখড়ি’ – কোন সমাসের উদাহরণ?
৪৬. ‘সম্বন্ধ’ পদে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
৪৭. ‘সাত সমুদ্র’ – এটি কোন সমাস?
৪৮. “তিনি পড়াশোনা করেন এবং ভালো ফল করেন।” – সরল বাক্যে রূপান্তর করলে হবে–
৪৯. ‘সমাস’ শব্দের অর্থ কী?
৫০. “বাক্যের বিভিন্ন পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ককে বলে…”
খ) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী (SAQ) – মান ১ (৫০টি)
কারক ও অ-কারক সম্পর্ক
১. কারক কাকে বলে?
উত্তর: বাক্যের অন্তর্গত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের (বিশেষ্য বা সর্বনাম) সম্পর্ককে কারক বলে।
২. কর্তৃকারক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে বা যিনি ক্রিয়া সম্পাদন করেন, তাঁকে কর্তৃকারক বলে। উদাহরণ: পাখি ডাকে।
৩. অনুসর্গ কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত অব্যয় পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে শব্দ বিভক্তির কাজ করে, তাদের অনুসর্গ বা পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে। যেমন: দ্বারা, দিয়া, হইতে, জন্য।
৪. বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।
৫. “বুলবুলিতে ধান খেয়েছে।” – কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তর: কর্তৃকারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৬. অ-কারক পদ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: অ-কারক পদ দুই প্রকার— সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
৭. প্রযোজক কর্তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। (এখানে ‘মা’ প্রযোজক কর্তা)
৮. সম্বন্ধ পদে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
উত্তর: সম্বন্ধ পদে ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি যুক্ত হয়।
৯. “পাপে বিরত থাকো।” – নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি লেখো।
উত্তর: অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
১০. একটি নিরপেক্ষ কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর: তুমি এলে আমি যাব। (এখানে ‘তুমি’ নিরপেক্ষ কর্তা)
১১. করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: মন দিয়ে পড়াশোনা করো। (‘মন’ পদে শূন্য বিভক্তি, তবে ‘লাঙলে জমি চাষ হয়’-এ ‘লাঙলে’ করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি)
১২. “ছাদে জল পড়ে।” – কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তর: অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
সমাস
১৩. সমাস শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সমাস শব্দের অর্থ হলো সংক্ষেপ বা মিলন।
১৪. ব্যাসবাক্য কাকে বলে?
উত্তর: সমাসবদ্ধ পদটিকে ভেঙে তার অর্থ বিশ্লেষণ করলে যে পদ বা পদসমষ্টি পাওয়া যায়, তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে।
১৫. ‘দশানন’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: দশ আনন যার – সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস।
১৬. উপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদটি অনুপস্থিত থাকে, কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয় উভয়ই উপস্থিত থাকে।
১৭. ‘প্রতিদিন’ – কোন সমাসের উদাহরণ?
উত্তর: এটি অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ (ব্যাসবাক্য: দিন দিন)।
১৮. ‘গায়ে হলুদ’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে – অলুক বহুব্রীহি সমাস।
e>১৯. একটি নিত্য সমাসের উদাহরণ দাও।
উত্তর: গ্রামান্তর (ব্যাসবাক্য: অন্য গ্রাম)।
২০. দ্বিগু ও সংখ্যাবাচক বহুব্রীহির একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: দ্বিগু সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান থাকে এবং সমাহার বা মিলন বোঝায়, কিন্তু সংখ্যাবাচক বহুব্রীহিতে অন্য পদের অর্থ প্রধান থাকে।
২১. ‘সিংহাসন’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: সিংহ চিহ্নিত আসন – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
২২. ‘আমরা’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: আমি, তুমি ও সে – একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস।
২৩. ‘মনখারাপ’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: মনে খারাপ – অলুক তৎপুরুষ সমাস।
২৪. ‘চন্দ্রমুখ’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: চন্দ্রের ন্যায় মুখ – উপমান কর্মধারয় সমাস। / মুখ চন্দ্রের ন্যায় – উপমিত কর্মধারয়। (প্রসঙ্গ অনুযায়ী)
বাক্য
২৫. সরল বাক্য কাকে বলে?
উত্তর: যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র বিধেয় (সমাপিকা ক্রিয়া) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
২৬. একটি যৌগিক বাক্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: মেঘ করেছে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না।
২৭. “তিনি ধনী, তথাপি সুখী নন।” – এটিকে সরল বাক্যে পরিণত করো।
উত্তর: তিনি ধনী হলেও সুখী নন।
২৮. একটি শর্তসাপেক্ষ বাক্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: যদি বৃষ্টি আসে, তবে আমি যাব না।
২৯. উদ্দেশ্য ও বিধেয় কাকে বলে?
উত্তর: বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে।
৩০. “তুমি এলে আমি খুশি হব।” – এটিকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করো।
উত্তর: তুমি আসবে এবং আমি খুশি হব।
৩১. একটি না-সূচক বাক্যকে হ্যাঁ-সূচক বাক্যে পরিবর্তন করো: “তিনি গরিব নন”।
উত্তর: তিনি ধনী।
৩২. একটি ইচ্ছাসূচক বাক্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: তোমার যাত্রা শুভ হোক।
৩৩. জটিল বাক্যের অপর নাম কী?
উত্তর: জটিল বাক্যের অপর নাম মিশ্র বাক্য।
৩৪. একটি অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: দরজাটা বন্ধ করো।
বাচ্য
৩৫. বাচ্য কাকে বলে?
উত্তর: ক্রিয়ার প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে। অর্থাৎ, বাক্যের মধ্যে কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়ার মধ্যে কোনটি প্রধান, তা যা দিয়ে বোঝা যায়, তাই বাচ্য।
৩৬. “আমি বই পড়ি।” – এটিকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর: আমার দ্বারা বই পঠিত হয়।
৩৭. ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমার যাওয়া হবে না।
৩৮. একটি কর্ম-কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ঘণ্টা বাজে।
৩৯. কোন বাচ্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধান হয়?
উত্তর: ভাববাচ্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধান হয়।
৪০. “তোমাকেই যেতে হবে।” – এটিকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর: তুমিই যাবে।
৪১. কোন বাচ্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না?
উত্তর: ভাববাচ্য এবং কর্ম-কর্তৃবাচ্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না।
৪২. “পুলিশ চোর ধরেছে।” – ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর: পুলিশের চোর ধরা হয়েছে।
বিবিধ
৪৩. নির্দেশক বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।
৪৪. ‘উপপদ তৎপুরুষ’ সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: পঙ্কে জন্মে যা – পঙ্কজ।
৪৫. একটি সমধাতুজ কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তর: সে কী কান্নাটাই না কাঁদল!
৪৬. ‘তোমাকে ছাড়া চলবে না।’ – হ্যাঁ-সূচক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর: তোমাকে চাই-ই।
৪৭. ‘গায়ে পড়া’ – ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তর: গায়ে পড়ে যে – উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
৪৮. একটি কালাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: শরতে শিশির পড়ে।
৪৯. ‘বাক্যাশ্রয়ী সমাস’ কাকে বলে?
উত্তর: যে সমাসে ব্যাসবাক্যটিকে একটি সম্পূর্ণ বাক্যের আকারে লিখতে হয়, তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে। যেমন: বসে আঁকো প্রতিযোগিতা।
৫০. একটি কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘গীতাঞ্জলি’ রচিত হয়েছে।
তুমি কি এবছর Madhyamik 2026 পরিক্ষা দেবে মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন 2026 পেতে চাও মাধ্যমিক সাজেশন 2026 এখানে পাবে