“Indian সংবিধান” বা “ভারতের সংবিধান” হলো ভারতের দেশের শাসনব্যবস্থার মূল আইনি দস্তাবেজ, যা দেশকে চালানোর নিয়ম-কানুন এবং নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারণ করে।
আমি তোমাকে সহজ ভাষায় “ভারতের সংবিধান” সম্পর্কে বিস্তারিত বলছি:
ভারতের সংবিধান কী?
ভারতের সংবিধান হলো একটি লিখিত আইন যা ভারতের সরকার, তার শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার-দায়িত্ব, এবং দেশের প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণ করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান।
ভারতের সংবিধানের প্রণয়ন
- প্রস্তুত কমিটি: ১৯৪৭ সালে ডঃ বি. আর. আম্বেডকর নেতৃত্বে একটি ড্রাফটিং কমিটি গঠিত হয়।
- গঠিত: ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে।
- প্রযোজ্য: ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ থেকে কার্যকর হয়, যাকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস বলা হয়।
সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য
- লিখিত ও লিখিত সংবিধান: এটি সম্পূর্ণ লিখিত।
- সর্বোচ্চ আইন: দেশটির সকল আইন ও সরকার সংবিধানের অধীনে কাজ করে।
- ফেডারেল কাঠামো: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্ষমতা ভাগ করা।
- গণতান্ত্রিক: জনগণের শাসন ব্যবস্থা।
- সেকুলার: ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
- মানবাধিকার সংরক্ষণ: নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত।
- বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা।
ভারতের সংবিধানের কাঠামো
১. ভূমিকা (Preamble)
- ভারতের উদ্দেশ্য ও আদর্শ বর্ণনা।
২. মূল অধিকার (Fundamental Rights)
- নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যেমন সমতা, স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা।
৩. মূল কর্তব্য (Fundamental Duties)
- নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
৪. সরকারের কাঠামো
- কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, বিচার বিভাগ।
৫. আইনি বিধান
- আইন প্রণয়ন ও শাসন কার্যক্রম।
৬. সংবিধান সংশোধনী
- প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তনের বিধান।
সংবিধানের গুরুত্ব
- দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে।
- নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে।
- শাসকদের কর্তব্য নির্ধারণ করে।
- দেশের একতা ও সাম্য বজায় রাখে।
- বিচার ও আইন ব্যবস্থার নীতিমালা দেয়।