খাদ্য (Food) কী?
খাদ্য হলো এমন কোনো পদার্থ যা প্রাণীরা তাদের শরীরের বৃদ্ধি, শক্তি অর্জন এবং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য গ্রহণ করে।
খাদ্যের প্রধান উপাদানসমূহ
- কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates)
- প্রধান শক্তির উৎস।
- যেমন: চাল, আটা, আলু, চিনি।
- গ্লুকোজ ও স্টার্চ হলো প্রধান কার্বোহাইড্রেট।
- প্রোটিন (Proteins)
- দেহের গঠন ও মেরামতের জন্য দরকার।
- যেমন: মাংস, ডিম, দুধ, ডাল।
- অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোটিনের মৌলিক একক।
- চর্বি (Fats)
- শক্তি সঞ্চয় করে এবং দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে।
- যেমন: তেল, ঘি, বাদাম।
- ভিটামিন (Vitamins)
- শরীরের নানা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
- যেমন: ভিটামিন A, B, C, D, E, K।
- খনিজ পদার্থ (Minerals)
- হাড়, দাঁত, রক্তের গঠন এবং অন্যান্য কাজের জন্য দরকার।
- যেমন: ক্যালসিয়াম, লোহা, জিঙ্ক।
- জল (Water)
- জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।
- দেহের সব রসায়নিক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন।
খাদ্যের প্রধান প্রকারভেদ
- শস্যজাতীয় খাদ্য (Cereal foods)
- যেমন: চাল, গম, ভুট্টা।
- শাক–সবজি (Vegetables)
- যেমন: পাতা, মূল, শাকসবজি।
- ফলমূল (Fruits)
- যেমন: আম, কলা, আপেল।
- প্রাণিজ খাদ্য (Animal foods)
- যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
- বস্তুদ্রব্য ও তেল (Fats and oils)
- যেমন: সরিষার তেল, নারিকেলের তেল।
খাদ্যের গুরুত্ব
- শক্তির উৎস: দেহকে কাজ করার শক্তি দেয়।
- দেহের বৃদ্ধি ও মেরামত: কোষ গঠন ও পুরোনো কোষ মেরামত করে।
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- জীবনযাত্রার মান উন্নত: সুস্থ ও দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে।
খাদ্য গ্রহণের নিয়মাবলী
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত, অর্থাৎ সব ধরনের উপাদান সঠিক মাত্রায় নিতে হবে।
- অতিরিক্ত মিষ্টি বা তেলাক্ত খাবার এড়ানো ভালো।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে।
- নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া দরকার।