জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রশ্ন উত্তর
ক) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) – মান ১ (৭০টি)
১. উদ্ভিদের যে চলন উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে কী বলে?
২. সূর্যশিশির নামক পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতার কর্ষিকা পতঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র বেঁকে যায়। এটি কী প্রকার চলন?
৩. উদ্ভিদের অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় কোন হরমোন?
৪. বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙতে সাহায্য করে কোন হরমোন?
৫. কোনটি গ্যাসীয় উদ্ভিদ হরমোন?
৬. পত্রমোচন বিলম্বিত করে কোন হরমোন?
৭. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক হল–
৮. দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে কী বলে?
৯. মানুষের করোটীয় স্নায়ুর সংখ্যা কত?
১০. দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন অংশ?
১১. কোনটি মিশ্র স্নায়ুর উদাহরণ?
১২. মানুষের চোখের লেন্সের প্রকৃতি কী?
১৩. মায়োপিয়া ত্রুটিতে কোন লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহৃত হয়?
১৪. কোনটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নয়?
১৫. কোন হরমোনকে আপাতকালীন বা সংকটকালীন হরমোন বলে?
১৬. ইনসুলিন ক্ষরিত হয় কোন গ্রন্থি থেকে?
১৭. রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে কী বলে?
১৮. একটি স্টেরয়েডধর্মী হরমোন হল–
১৯. উদ্ভিদের আলোক-বর্তী চলন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে–
২০. মস্তিষ্কের কোন অংশটি শ্বাসক্রিয়া ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে?
২১. একটি নিউরোট্রান্সমিটারের উদাহরণ হল –
২২. বল ও সকেট সন্ধি দেখা যায় –
২৩. মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ু কোনটি?
২৪. লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে নুয়ে পড়ে। এটি কী প্রকার চলন?
২৫. কোনটি প্রভুগ্রন্থি (Master Gland) নামে পরিচিত?
২৬. মানুষের সুষুম্নীয় স্নায়ুর সংখ্যা হল –
২৭. চোখের যে অংশে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তা হল –
২৮. মানবদেহের BMR নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনটি হল –
২৯. ফ্লেক্সর পেশির উদাহরণ হল –
৩০. পিটুইটারি থেকে ক্ষরিত একটি গোনাডোট্রপিক হরমোন হল –
৩১. মস্তিষ্কের আবরণীকে একত্রে কী বলে?
৩২. সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলে কোন প্রকার চলন দেখা যায়?
৩৩. অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে কোন কোষ?
৩৪. একটি অ্যান্টি-জিব্বেরেলিন হরমোন হল –
৩৫. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার কেন্দ্রস্থল কোনটি?
৩৬. ডাবের জলে কোন হরমোন পাওয়া যায়?
৩৭. অ্যাক্সনের আবরণীকে কী বলে?
৩৮. অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় কোন হরমোন?
৩৯. গমনে অক্ষম একটি প্রাণী হল –
৪০. মানুষের গমনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে –
৪১. গ্লুকাগন হরমোন ক্ষরিত হয় অগ্ন্যাশয়ের কোন কোষ থেকে?
৪২. মহিলাদের ক্ষেত্রে ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ডিম্বাশয়ের গ্রাফিয়ান ফলিকল থেকে যে হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপনা জোগায়, সেটি হল –
৪৩. দূরের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে অসুবিধা হওয়াকে কী বলে?
৪৪. নিউরোনের কোষদেহে অবস্থিত দানাগুলিকে কী বলে?
৪৫. কোন প্রকার চলনে সমগ্র উদ্ভিদদেহ স্থান পরিবর্তন করে?
৪৬. মানবদেহে আয়োডিনের অভাবে কোন হরমোনের সংশ্লেষ ব্যাহত হয়?
৪৭. একটি মিশ্র গ্রন্থির উদাহরণ হল –
৪৮. মানুষের করোটির অস্থির সন্ধি হল –
৪৯. মানবদেহের কোন অঙ্গটি একাধারে সংজ্ঞাবহ ও চেষ্টিয় অঙ্গ?
৫০. উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে –
৫১. কোন হরমোনের অভাবে ‘ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস’ রোগ হয়?
৫২. গুরুমস্তিষ্কের যোজককে কী বলে?
৫৩. পায়রার লেজের পালককে কী বলে?
৫৪. কোন হরমোন উদ্ভিদের বার্ধক্য বিলম্বিত করে?
৫৫. চোখের যে স্তরে রক্তবাহ থাকে, তা হল –
৫৬. অ্যামিবার গমন অঙ্গ হল –
৫৭. মানুষের আবেগ, ক্রোধ, লজ্জা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন অংশ?
৫৮. হরমোন শব্দটি কোন গ্রিক শব্দ থেকে উৎপন্ন?
৫৯. একটি লোকাল হরমোনের উদাহরণ হল –
৬০. একটি সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর উদাহরণ হল –
৬১. সূর্যমুখী ফুল দিনের বেলায় ফোটে কিন্তু সন্ধ্যায় মুদে যায়। এটি কোন ধরনের চলন?
৬২. মাছের গমনে সাহায্যকারী ‘V’ আকৃতির পেশি হল –
৬৩. ক্যাটার্যাক্ট বা চোখে ছানি পড়া হল –
৬৪. অনিষিক্ত ফল উৎপাদনে সাহায্য করে কোন হরমোন?
৬৫. গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগকে কী বলে?
৬৬. কব্জা সন্ধি দেখা যায় –
৬৭. ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোনটি হল –
৬৮. ভলভক্স-এর আলোর দিকে গমন কী প্রকার চলন?
৬৯. কোন হরমোনকে ‘অ্যান্টি-কিটোজেনিক’ হরমোন বলা হয়?
৭০. চোখের তারা বা পিউপিলকে সংকুচিত করে কোন স্নায়ু?
খ) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী (VSA) – মান ১ (৭০টি)
i) একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও (২০টি)
১. একটি কৃত্রিম অক্সিনের নাম লেখো।
উত্তর: ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড (IBA) বা ন্যাপথালিন অ্যাসেটিক অ্যাসিড (NAA)।
২. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়ক বা রাসায়নিক দূত বলা হয় কেন?
উত্তর: হরমোন উৎসস্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে কোষের রাসায়নিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে, তাই একে রাসায়নিক সমন্বয়ক বা দূত বলে।
৩. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মধ্যে কোনটি দীর্ঘ?
উত্তর: অ্যাক্সন।
৪. গয়টার বা গলগণ্ড রোগ কেন হয়?
উত্তর: খাদ্যে আয়োডিনের অভাবে থাইরক্সিন হরমোনের সংশ্লেষ ব্যাহত হলে গয়টার রোগ হয়।
৫. একটি অ্যাফারেন্ট বা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর নাম লেখো।
উত্তর: অপটিক স্নায়ু।
৬. উদ্ভিদের একটি নাইট্রোজেনবিহীন হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: জিব্বেরেলিন।
৭. CSF-এর পুরো নাম কী?
উত্তর: সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (Cerebrospinal Fluid)।
৮. মাছের কোন অঙ্গ মাছকে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে?
উত্তর: পটকা।
৯. মানুষের চোখে কর্নিয়ার কাজ কী?
উত্তর: কর্নিয়া প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং চোখের অভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করে।
১০. নিউরোনের কোষদেহে অবস্থিত সাইটোপ্লাজমকে কী বলে?
উত্তর: নিউরোপ্লাজম।
১১. একটি কৃষি কাজে ব্যবহৃত কৃত্রিম হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর: 2, 4-D (আগাছানাশক হিসেবে ব্যবহৃত)।
১২. মানুষের দ্বিপদ গমনের একটি সুবিধা লেখো।
উত্তর: দ্বিপদ গমনের ফলে হাত দুটি মুক্ত থাকে যা দিয়ে বিভিন্ন কাজ করা যায়।
১৩. পিটুইটারি গ্রন্থি মস্তিষ্কের কোন অংশে অবস্থিত?
উত্তর: মস্তিষ্কের মূলদেশে স্ফেনয়েড অস্থির সেলা টারসিকা প্রকোষ্ঠে অবস্থিত।
১৪. অন্ধবিন্দু বা ব্লাইন্ড স্পট কী?
উত্তর: রেটিনার যে অংশে অপটিক স্নায়ু যুক্ত থাকে এবং যেখানে কোনো রড বা কোণ কোষ না থাকায় প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না, তাকে অন্ধবিন্দু বলে।
১৫. ফাইটোহরমোন বা উদ্ভিদ হরমোনের উৎসস্থল কোথায়?
উত্তর: উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলা, যেমন—কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগ, ভ্রূণমুকুল, কচি পাতা ইত্যাদি।
১৬. একটি অ্যাড্রেনার্জিক নিউরোট্রান্সমিটারের নাম লেখো।
উত্তর: নর-অ্যাড্রিনালিন।
১৭. মানব মস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশ কোনটি?
উত্তর: গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম।
১৮. ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে কোনো অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণক্রিয়া অন্য কোনো হরমোন দ্বারা বা উৎপাদিত পদার্থের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ বলে।
১৯. লঘুমস্তিষ্কের যোজককে কী বলে?
উত্তর: ভারমিস।
২০. কোন হরমোনকে ‘স্ট্রেস হরমোন’ বলা হয়?
উত্তর: অ্যাবসিসিক অ্যাসিড (ABA)।
ii) নীচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো (২০টি)
২১. অক্সিন বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙতে সাহায্য করে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: জিব্বেরেলিন)।
২২. অ্যাড্রিনালিনকে আপাতকালীন হরমোন বলে।
উত্তর: সত্য।
২৩. গুরুমস্তিষ্ক দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: লঘুমস্তিষ্ক)।
২৪. ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ইউগ্লিনা গমন করে।
উত্তর: সত্য।
২৫. চোখের লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে গেলে তাকে গ্লুকোমা বলে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: ক্যাটার্যাক্ট বা ছানি)।
২৬. ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
উত্তর: সত্য।
২৭. ট্রপিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: গতিপথ দ্বারা)।
২৮. মায়োলিন সিদযুক্ত স্নায়ুকে মেডুলেটেড স্নায়ু বলে।
উত্তর: সত্য।
২৯. সাইটোকাইনিন পত্রমোচন বিলম্বিত করে।
উত্তর: সত্য।
৩০. মানুষের সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়া সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: মিথ্যা (কিছু প্রতিবর্ত ক্রিয়া মস্তিষ্ক দ্বারাও নিয়ন্ত্রিত হয়)।
৩১. পায়রার চোখে পেকটিন দেখা যায়।
উত্তর: সত্য।
৩২. টেস্টোস্টেরন একটি প্রোটিনধর্মী হরমোন।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: স্টেরয়েডধর্মী)।
৩৩. কর্নিয়া একটি প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
উত্তর: সত্য।
৩৪. জিব্বেরেলিন একটি নাইট্রোজেনযুক্ত জৈব অম্ল।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: নাইট্রোজেনবিহীন)।
৩৫. ভেগাস একটি চেষ্টিয় স্নায়ু।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: মিশ্র স্নায়ু)।
৩৬. হাইপোথ্যালামাসকে প্রভুগ্রন্থির প্রভু বলা হয়।
উত্তর: সত্য।
৩৭. রড কোষে রোডোপসিন নামক রঞ্জক থাকে।
উত্তর: সত্য।
৩৮. অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটাতে জিব্বেরেলিন সাহায্য করে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: অক্সিন)।
৩৯. বাইসেপস একটি এক্সটেনসর পেশি।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: ফ্লেক্সর পেশি)।
৪০. স্নায়ুকোষ বিভাজিত হতে পারে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: স্নায়ুকোষে সেন্ট্রোজোম না থাকায় বিভাজিত হতে পারে না)।
iii) নীচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও (১৫টি)
৪১. দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে ________ বলে।
উত্তর: সাইন্যাপস
৪২. থাইরক্সিন হরমোনের কম ক্ষরণে শিশুদের ________ রোগ হয়।
উত্তর: ক্রেটিনিজম
৪৩. চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠে অবস্থিত তরলটি হল ________।
উত্তর: ভিট্রিয়াস হিউমর
৪৪. নিউরোনের কোষদেহে ________ না থাকায় এটি বিভাজিত হতে পারে না।
উত্তর: সেন্ট্রোজোম
৪৫. সুন্দরী গাছের মূলে ________ অভিকর্ষবর্তী চলন দেখা যায়।
উত্তর: প্রতিকূল
৪৬. মানবদেহের দীর্ঘতম কোষটি হল ________।
উত্তর: স্নায়ুকোষ বা নিউরোন
৪৭. ________ হরমোনের প্রভাবে বিপদকালে লোম খাড়া হয়ে যায়।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন
৪৮. মটর গাছের কাণ্ডকে অবলম্বন করে জড়িয়ে ধরা ________ চলনের উদাহরণ।
উত্তর: স্পর্শজনিত ট্রপিক বা থিগমোট্রপিজম
৪৯. ________ হল অগ্র মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ।
উত্তর: গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম
৫০. অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্সের β-কোষ থেকে ________ হরমোন ক্ষরিত হয়।
উত্তর: ইনসুলিন
৫১. পায়রার ডানায় মোট ________ টি রেমিজেস পালক থাকে।
উত্তর: ২৩
৫২. দূরের জিনিস দেখার জন্য লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটানোকে ________ বলে।
উত্তর: উপযোজন
৫৩. অ্যাক্সনের ওপর মায়োলিন সিদের মাঝে যে ছেদ থাকে তাকে ________ বলে।
উত্তর: র্যানভিয়ারের পর্ব
৫৪. ________ হরমোনকে অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোনও বলা হয়।
উত্তর: ADH বা ভেসোপ্রেসিন
৫৫. সিলিয়ারি গমন দেখা যায় ________ প্রাণীর দেহে।
উত্তর: প্যারামিসিয়াম
iv) A স্তম্ভের সঙ্গে B স্তম্ভ মেলাও (৩ সেট x ৫টি = ১৫টি)
সেট – ১
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৫৬. ইনসুলিন | (ক) শুক্রাশয় |
৫৭. টেস্টোস্টেরন | (খ) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি |
৫৮. মায়োপিয়া | (গ) প্রতিবর্ত ক্রিয়া |
৫৯. জিব্বেরেলিন | (ঘ) অবতল লেন্স |
৬০. সুষুম্নাকাণ্ড | (ঙ) রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস |
উত্তর:
৫৬. ইনসুলিন – (ঙ) রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস
৫৭. টেস্টোস্টেরন – (ক) শুক্রাশয়
৫৮. মায়োপিয়া – (ঘ) অবতল লেন্স
৫৯. জিব্বেরেলিন – (খ) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি
৬০. সুষুম্নাকাণ্ড – (গ) প্রতিবর্ত ক্রিয়া
সেট – ২
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬১. গুরুমস্তিষ্ক | (ক) দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ |
৬২. হাইপোথ্যালামাস | (খ) দেহের ভারসাম্য রক্ষা |
৬৩. লঘুমস্তিষ্ক | (গ) জরুরি অবস্থা মোকাবিলা |
৬৪. অ্যাড্রিনালিন | (ঘ) বুদ্ধি ও চিন্তা |
৬৫. ইস্ট্রোজেন | (ঙ) ডিম্বাশয় |
উত্তর:
৬১. গুরুমস্তিষ্ক – (ঘ) বুদ্ধি ও চিন্তা
৬২. হাইপোথ্যালামাস – (ক) দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
৬৩. লঘুমস্তিষ্ক – (খ) দেহের ভারসাম্য রক্ষা
৬৪. অ্যাড্রিনালিন – (গ) জরুরি অবস্থা মোকাবিলা
৬৫. ইস্ট্রোজেন – (ঙ) ডিম্বাশয়
সেট – ৩
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬৬. সিসমোন্যাস্টি | (ক) সূর্যমুখী |
৬৭. ফোটোন্যাস্টি | (খ) V-আকৃতির পেশি |
৬৮. ফ্লেক্সর পেশি | (গ) বাইসেপস |
৬৯. এক্সটেনসর পেশি | (ঘ) লজ্জাবতী |
৭০. মায়োটোম পেশি | (ঙ) ট্রাইসেপস |
উত্তর:
৬৬. সিসমোন্যাস্টি – (ঘ) লজ্জাবতী
৬৭. ফোটোন্যাস্টি – (ক) সূর্যমুখী
৬৮. ফ্লেক্সর পেশি – (গ) বাইসেপস
৬৯. এক্সটেনসর পেশি – (ঙ) ট্রাইসেপস
৭০. মায়োটোম পেশি – (খ) V-আকৃতির পেশি
গ) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী – মান ২ (২৫টি)
১. ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলনের দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. উদ্দীপকের প্রভাব: ট্রপিক চলন উদ্দীপকের গতিপথ বা দিক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ন্যাস্টিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. হরমোনের প্রভাব: ট্রপিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়। ন্যাস্টিক চলনে হরমোনের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই, এটি মূলত রসস্ফীতিজনিত চাপের পরিবর্তনের কারণে ঘটে।
২. সাইন্যাপস বলতে কী বোঝো? এর কাজ কী?
উত্তর:
সাইন্যাপস: দুটি নিউরোনের সংযোগস্থল, যেখানে একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত এবং অপর নিউরোনের ডেনড্রনের প্রারম্ভ মিলিত হয়, তাকে সাইন্যাপস বা স্নায়ুসন্নিধি বলে।
কাজ: সাইন্যাপস নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে একটি নিউরোন থেকে অপর নিউরোনে স্নায়ুস্পন্দন প্রেরণ করে।
৩. অ্যাড্রিনালিনকে ‘আপাতকালীন হরমোন’ বলা হয় কেন?
উত্তর: রাগ, ভয়, আনন্দ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি জরুরি বা আপাতকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাড্রিনালিন হরমোন অধিক পরিমাণে ক্ষরিত হয়ে দেহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। এটি হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাসহার বাড়িয়ে দেয়। তাই একে আপাতকালীন হরমোন বলে।
৪. হরমোন ও স্নায়ুর দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. কাজের প্রকৃতি: হরমোনের ক্রিয়া মন্থর ও সুদূরপ্রসারী। স্নায়ুর ক্রিয়া দ্রুত ও তাৎক্ষণিক।
২. পরিবহণ: হরমোন রক্ত বা লসিকার মাধ্যমে বাহিত হয়। স্নায়ুস্পন্দন স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে বাহিত হয়।
৫. মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়ার কারণ কী?
উত্তর:
মায়োপিয়ার কারণ: অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কমে গেলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হয়।
হাইপারমেট্রোপিয়ার কারণ: অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হয়ে গেলে বা লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পিছনে গঠিত হয়।
৬. প্রতিবর্ত চাপ (Reflex Arc) কাকে বলে? এর উপাদানগুলি কী কী?
উত্তর:
প্রতিবর্ত চাপ: যে নির্দিষ্ট স্নায়ুপথে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ুস্পন্দন আবর্তিত হয়, তাকে প্রতিবর্ত চাপ বলে।
উপাদান: এর প্রধান পাঁচটি উপাদান হল— গ্রাহক (Receptor), সংজ্ঞাবহ নিউরোন (Sensory Neuron), স্নায়ুকেন্দ্র (Nerve Centre), আজ্ঞাবহ নিউরোন (Motor Neuron) এবং কারক (Effector)।
৭. অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. নালীর উপস্থিতি: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নালীবিহীন বা অনাল। বহিঃক্ষরা গ্রন্থি নালীযুক্ত বা সনাল।
২. ক্ষরিত পদার্থ: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন ক্ষরিত হয়। বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক, пот, লালা ইত্যাদি ক্ষরিত হয়।
৮. অক্সিন ও সাইটোকাইনিনের দুটি বিপরীতধর্মী কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর:
১. অগ্রস্থ প্রকটতা: অক্সিন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় ও পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। সাইটোকাইনিন পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে অগ্রস্থ প্রকটতা ব্যাহত করে।
২. বার্ধক্য: অক্সিন পত্রমোচন ত্বরান্বিত করে বার্ধক্যে সাহায্য করে। সাইটোকাইনিন ক্লোরোফিল বিনষ্ট হওয়া রোধ করে বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
৯. কৃষিকার্যে জিব্বেরেলিনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখো।
উত্তর:
১. ফলের আকার বৃদ্ধি: আঙুর, আপেল ইত্যাদি ফলের আকার বৃদ্ধিতে জিব্বেরেলিন স্প্রে করা হয়।
২. বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙা: অঙ্কুরোদ্গমের হার বাড়ানোর জন্য বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙতে এটি ব্যবহৃত হয়।
১০. ফ্লেক্সন ও এক্সটেনশন বলতে কী বোঝ?
উত্তর:
ফ্লেক্সন: যে প্রক্রিয়ায় ফ্লেক্সর পেশির সংকোচনের ফলে দুটি অস্থি কাছাকাছি এসে সন্ধিস্থলে কোণের পরিমাণ হ্রাস পায়, তাকে ফ্লেক্সন বলে। যেমন—কনুই ভাঁজ করা।
এক্সটেনশন: যে প্রক্রিয়ায় এক্সটেনসর পেশির সংকোচনের ফলে দুটি অস্থি দূরে সরে গিয়ে সন্ধিস্থলে কোণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাকে এক্সটেনশন বলে। যেমন—ভাঁজ করা কনুই সোজা করা।
১১. হরমোনকে দ্বৈত নিয়ন্ত্রক বলা হয় কেন?
উত্তর: কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে দেহে একরকম উপসর্গ দেখা যায়, আবার ক্ষরণ কমে গেলে তার বিপরীত উপসর্গ দেখা যায়। যেমন—ইনসুলিনের কম ক্ষরণে হাইপারগ্লাইসিমিয়া এবং বেশি ক্ষরণে হাইপোগ্লাইসিমিয়া হয়। এই কারণে হরমোনকে দ্বৈত নিয়ন্ত্রক বলে।
১২. উপযোজন (Accommodation) কাকে বলে?
উত্তর: চোখের সিলিয়ারি পেশির সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখার পদ্ধতিকে উপযোজন বলে।
১৩. নিউরোহরমোন কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
নিউরোহরমোন: যে হরমোনগুলি স্নায়ুকোষ বা নিউরোসিক্রেটরি কোষ থেকে উৎপন্ন হয়ে রক্তে বাহিত হয় এবং দূরবর্তী কোনো অঙ্গে ক্রিয়া করে, তাদের নিউরোহরমোন বলে।
উদাহরণ: হাইপোথ্যালামাস থেকে ক্ষরিত রিলিজিং হরমোন এবং পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে ক্ষরিত ADH ও অক্সিটোসিন।
১৪. ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের একটি করে কাজ লেখো।
উত্তর:
ইস্ট্রোজেনের কাজ: এটি স্ত্রীলোকের গৌণ যৌন লক্ষণ (যেমন—নারীকণ্ঠ, ত্বকের কোমলতা) প্রকাশে সাহায্য করে।
প্রোজেস্টেরনের কাজ: এটি গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বৃদ্ধিতে ও জরায়ুর পরিবর্তনে সাহায্য করে।
১৫. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের দুটি গঠনগত পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য: একটি নিউরোনে একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে যা দীর্ঘ হয়। ডেনড্রন একাধিক ও ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয়।
২. গঠন: অ্যাক্সনে নিজল দানা থাকে না, কিন্তু ডেনড্রনে নিজল দানা থাকে।
১৬. মস্তিষ্কের কোন কোন অংশ পশ্চাৎ মস্তিষ্ক গঠন করে?
উত্তর: পশ্চাৎ মস্তিষ্ক প্রধানত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত— (i) পনস বা যোজক, (ii) লঘুমস্তিষ্ক বা সেরেবেলাম এবং (iii) সুষুম্নাশীর্ষক বা মেডালা অবলংগাটা।
১৭. প্রকরণ চলন কাকে বলে?
উত্তর: বনচাঁড়াল উদ্ভিদের দুটি পার্শ্বীয় পত্রফলকের রসস্ফীতিজনিত চাপের তারতম্যের কারণে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন দেখা যায়, তাকে প্রকরণ চলন বলে। এই চলনটি ছন্দোবদ্ধভাবে ওঠানামা করে।
১৮. দ্বিনেত্র দৃষ্টি বা বাইনোকুলার ভিশন কী?
উত্তর: যখন দুটি চোখ দিয়ে একই বস্তুর দুটি ভিন্ন প্রতিবিম্ব মস্তিষ্কে একটি একক ত্রিমাত্রিক (3D) প্রতিবিম্বে পরিণত হয়, তখন তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে। এর ফলে বস্তুর গভীরতা ও দূরত্ব সঠিকভাবে বোঝা যায়।
১৯. পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত দুটি হরমোনের নাম ও কাজ লেখো।
উত্তর:
১. STH বা বৃদ্ধি হরমোন: দেহের সার্বিক বৃদ্ধি, বিশেষ করে অস্থি ও পেশির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
২. TSH বা থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন: থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে থাইরক্সিন ক্ষরণে সাহায্য করে।
২০. গমনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর: গমনের দুটি প্রধান উদ্দেশ্য হল— (i) খাদ্য সংগ্রহ করা এবং (ii) আত্মরক্ষা করা বা প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়া।
২১. পার্থেনোকার্পি কী? কোন হরমোন এতে সাহায্য করে?
উত্তর:
পার্থেনোকার্পি: নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয় থেকে বীজবিহীন ফল উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে পার্থেনোকার্পি বলে।
সহায়ক হরমোন: কৃত্রিম অক্সিন ও জিব্বেরেলিন এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
২২. স্নায়ু ও স্নায়ুগ্রন্থির মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
স্নায়ু: যোগকলার আবরণীবেষ্টিত স্নায়ুতন্তুর গুচ্ছকে স্নায়ু বলে, যা স্নায়ুস্পন্দন পরিবহণ করে।
স্নায়ুগ্রন্থি: কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহ একত্রিত হয়ে যে গ্রন্থি তৈরি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা গ্যাংলিয়ন বলে।
২৩. ইনসুলিন ও গ্লুকাগনের কাজ কীভাবে পরস্পর বিপরীতধর্মী?
উত্তর: ইনসুলিন রক্ত থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শোষণ করে গ্লাইকোজেন হিসেবে যকৃৎ ও পেশিতে সঞ্চয় করে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। অন্যদিকে, গ্লুকাগন যকৃতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
২৪. মানুষের হাঁটার সময় কোন্ কোন্ পেশি সাহায্য করে?
উত্তর: মানুষের হাঁটার সময় পায়ের ফ্লেক্সর ও এক্সটেনসর পেশিগুলি প্রধান ভূমিকা পালন করে। উরুর কোয়াড্রিসেপস (এক্সটেনসর) ও হ্যামস্ট্রিং (ফ্লেক্সর) পেশি এবং পায়ের গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশি বিশেষভাবে সাহায্য করে।
২৫. অন্ধবিন্দু ও পীতবিন্দুর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. অবস্থান ও গঠন: অন্ধবিন্দুতে কোনো আলোকসংবেদী কোষ (রড ও কোণ) থাকে না। পীতবিন্দুতে শুধুমাত্র কোণ কোষ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে।
২. প্রতিবিম্ব গঠন: অন্ধবিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। পীতবিন্দুতে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
ঘ) রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী – মান ৫ (১০টি)
১. একটি আদর্শ নিউরোনের চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো: (ক) ডেনড্রন, (খ) নিজল দানা, (গ) অ্যাক্সন হিলক, (ঘ) র্যানভিয়ারের পর্ব, (ঙ) মায়োলিন সিদ, (চ) অ্যাক্সন।
উত্তর:
[এখানে একটি আদর্শ নিউরোনের পরিষ্কার চিত্র অঙ্কন করতে হবে এবং উল্লিখিত অংশগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: প্রথমে কোষদেহটি আঁকতে হবে, যার মধ্যে নিউক্লিয়াস ও নিজল দানা থাকবে। কোষদেহ থেকে নির্গত ক্ষুদ্র শাখা-প্রশাখাযুক্ত অংশগুলিকে ডেনড্রন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কোষদেহ থেকে নির্গত দীর্ঘ প্রবর্ধকটি হল অ্যাক্সন। অ্যাক্সনের শুরুতে অ্যাক্সন হিলক এবং অ্যাক্সনের ওপরে মায়োলিন সিদ আঁকতে হবে। দুটি মায়োলিন সিদের মাঝের ফাঁকা স্থানকে র্যানভিয়ারের পর্ব হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। শেষে অ্যাক্সনের প্রান্তীয় অংশ (প্রান্তবুরুশ) আঁকতে হবে।
২. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণসহ প্রতিবর্ত চাপের চিত্র অঙ্কন করে এর বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
প্রতিবর্ত ক্রিয়া: প্রাণীদেহে নির্দিষ্ট উদ্দীপকের প্রভাবে যে স্বতঃস্ফূর্ত, অনৈচ্ছিক ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। যেমন—গরম বস্তুতে হাত লাগলে সঙ্গে সঙ্গে হাত সরিয়ে নেওয়া।
প্রতিবর্ত চাপের চিত্র:
[এখানে একটি প্রতিবর্ত চাপের সরলরৈখিক চিত্র অঙ্কন করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: চিত্রে একটি গ্রাহক (ত্বক), সংজ্ঞাবহ নিউরোন, সুষুম্নাকাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদে অবস্থিত স্নায়ুকেন্দ্র, আজ্ঞাবহ নিউরোন এবং কারক (পেশি) দেখাতে হবে। স্নায়ুস্পন্দনের গতিপথ তীরচিহ্ন দিয়ে দেখাতে হবে।
অংশ চিহ্নিতকরণ: (ক) গ্রাহক, (খ) সংজ্ঞাবহ নিউরোন, (গ) স্নায়ুকেন্দ্র, (ঘ) আজ্ঞাবহ নিউরোন, (ঙ) কারক।
৩. উদ্ভিদ হরমোন অক্সিন ও জিব্বেরেলিনের তিনটি করে কাজ আলোচনা করো।
উত্তর:
অক্সিনের তিনটি কাজ:
(i) অগ্রস্থ প্রকটতা: অক্সিন উদ্ভিদের অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। একে অগ্রস্থ প্রকটতা বলে।
(ii) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ: অক্সিন উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
(iii) ফলের বৃদ্ধি: ডিম্বাশয়ে অক্সিন প্রয়োগ করে নিষেক ছাড়াই বীজবিহীন ফল (পার্থেনোকার্পিক ফল) উৎপাদন করা হয় এবং এটি ফলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
জিব্বেরেলিনের তিনটি কাজ:
(i) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে উদ্ভিদকে দীর্ঘ হতে সাহায্য করে।
(ii) বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙা: এটি বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে।
(iii) ফলের আকার বৃদ্ধি: জিব্বেরেলিন হরমোন প্রয়োগ করে আঙুর, আপেল ইত্যাদি ফলের আকার ও সংখ্যা বাড়ানো যায়।
৪. মানুষের চোখের অক্ষিগোলকের একটি লম্বচ্ছেদের পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো: (ক) কর্নিয়া, (খ) রেটিনা, (গ) আইরিস, (ঘ) লেন্স, (ঙ) অপটিক স্নায়ু, (চ) পীতবিন্দু।
উত্তর:
[এখানে মানুষের অক্ষিগোলকের একটি পরিচ্ছন্ন লম্বচ্ছেদের চিত্র অঙ্কন করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: প্রথমে বাইরের স্তর স্ক্লেরা, মধ্যস্তর কোরয়েড এবং অন্তঃস্তর রেটিনা আঁকতে হবে। সামনের দিকে স্বচ্ছ কর্নিয়া, তার পিছনে আইরিস এবং মাঝে পিউপিল দেখাতে হবে। আইরিসের পিছনে দ্বি-উত্তল লেন্সটি সাসপেনসরি লিগামেন্টের সাহায্যে যুক্ত থাকবে। রেটিনার পিছন থেকে অপটিক স্নায়ু নির্গত হবে। রেটিনার উপর অপটিক স্নায়ুর সংযোগস্থলে অন্ধবিন্দু এবং তার পাশে পীতবিন্দু চিহ্নিত করতে হবে।
চিহ্নিতকরণ: (ক) কর্নিয়া, (খ) রেটিনা, (গ) আইরিস, (ঘ) লেন্স, (ঙ) অপটিক স্নায়ু, (চ) পীতবিন্দু।
৫. ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ডায়াবেটিস ইনসিপিডাসের কারণ, লক্ষণ ও একটি করে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
ডায়াবেটিস মেলিটাস (মধুমেহ):
কারণ: অগ্ন্যাশয়ের β-কোষ থেকে ইনসুলিন হরমোনের কম ক্ষরণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় (হাইপারগ্লাইসিমিয়া)।
লক্ষণ: (i) রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, (ii) মূত্রের মাধ্যমে শর্করা নির্গত হওয়া (গ্লাইকোসুরিয়া), (iii) ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (পলিইউরিয়া), (iv) অতিরিক্ত জল পিপাসা (পলিডিপসিয়া)।
ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (বহুমূত্র):
কারণ: পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে ADH (অ্যান্টি-ডাইইউরেটিক হরমোন) বা ভেসোপ্রেসিনের কম ক্ষরণের ফলে বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ কমে যায়।
লক্ষণ: (i) ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (কিন্তু মূত্রে শর্করা থাকে না), (ii) অতিরিক্ত জল পিপাসা, (iii) দেহ থেকে অধিক জল বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন।
পার্থক্য: ডায়াবেটিস মেলিটাস ইনসুলিনের অভাবে হয় এবং মূত্রে শর্করা নির্গত হয়, কিন্তু ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস ADH-এর অভাবে হয় এবং মূত্রে শর্করা থাকে না।
৬. উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলন উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর:
উদ্দীপকের গতিপথ বা উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদের বক্রচলনকে ট্রপিক চলন বলে। এটি প্রধানত তিন প্রকার:
(i) ফোটোট্রপিক চলন (আলোকবৃত্তি): উদ্ভিদাঙ্গের চলন যখন আলোর উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ফোটোট্রপিক চলন বলে। উদ্ভিদের বিটপ আলোর উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় (অনুকূল আলোকবর্তী), কিন্তু মূল আলোর উৎসের বিপরীতে বৃদ্ধি পায় (প্রতিকূল আলোকবর্তী)।
(ii) জিওট্রপিক চলন (অভিকর্ষবৃত্তি): উদ্ভিদাঙ্গের চলন যখন পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে হয়, তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে। উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের দিকে বৃদ্ধি পায় (অনুকূল অভিকর্ষবর্তী), কিন্তু কাণ্ড অভিকর্ষের বিপরীতে বৃদ্ধি পায় (প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তী)।
(iii) হাইড্রোট্রপিক চলন (জলবৃত্তি): উদ্ভিদাঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে। উদ্ভিদের মূল সর্বদা জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় (অনুকূল জলবর্তী)।
৭. মানবদেহে পিটুইটারি, থাইরয়েড ও অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির অবস্থান ও প্রতিটি থেকে ক্ষরিত একটি করে হরমোনের কাজ লেখো।
উত্তর:
(i) পিটুইটারি গ্রন্থি:
অবস্থান: মস্তিষ্কের মূলদেশে স্ফেনয়েড অস্থির সেলা টারসিকা প্রকোষ্ঠে অবস্থিত।
ক্ষরিত হরমোন ও কাজ: GH (Growth Hormone) বা বৃদ্ধি হরমোন। এটি দেহের সার্বিক বৃদ্ধি, বিশেষত অস্থি ও পেশির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
(ii) থাইরয়েড গ্রন্থি:
অবস্থান: গ্রীবাদেশে শ্বাসনালির (Trachea) উভয় পাশে অবস্থিত।
ক্ষরিত হরমোন ও কাজ: থাইরক্সিন। এটি দেহের মৌল বিপাকীয় হার (BMR) নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি উৎপাদন করে এবং শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(iii) অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি:
অবস্থান: পাকস্থলীর নীচে ডিওডিনামের ‘C’ আকৃতির খাঁজে অবস্থিত।
ক্ষরিত হরমোন ও কাজ: ইনসুলিন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে (কমায়) এবং যকৃৎ ও পেশিতে গ্লাইকোজেন সঞ্চয়ে সাহায্য করে।
৮. গমনের চালিকাশক্তিগুলি কী কী? মাছের গমনে মায়োটোম পেশি ও পাখনাগুলির ভূমিকা লেখো।
উত্তর:
গমনের চালিকাশক্তি: গমনের প্রধান চালিকাশক্তিগুলি হল— (i) গমনের প্রয়োজনীয়তা বা উদ্দেশ্য (খাদ্য সংগ্রহ, আত্মরক্ষা, প্রজনন), (ii) দেহের অভ্যন্তরীণ শক্তি উৎপাদন (ATP) এবং (iii) স্নায়ু ও পেশির সমন্বিত ক্রিয়া।
মাছের গমনে মায়োটোম পেশির ভূমিকা: মাছের মেরুদণ্ডের দুপাশে ‘V’ আকৃতির মায়োটোম পেশি অবস্থিত। এই পেশিগুলির পর্যায়ক্রমিক সংকোচনের ফলে মেরুদণ্ড দুপাশে আন্দোলিত হয় এবং মাছ সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
মাছের গমনে পাখনার ভূমিকা:
• বক্ষ পাখনা ও শ্রোণি পাখনা: এই জোড় পাখনাগুলি মাছকে জলে上-নীচে যেতে ও স্থিরভাবে ভেসে থাকতে সাহায্য করে।
• পৃষ্ঠ পাখনা ও পায়ু পাখনা: এই বিজোড় পাখনাগুলি দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
• পুচ্ছ পাখনা: এটি মাছের প্রধান চালিকা অঙ্গ হিসেবে কাজ করে এবং দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।
৯. সাইনোভিয়াল সন্ধি কাকে বলে? একটি সাইনোভিয়াল সন্ধির চিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
সাইনোভিয়াল সন্ধি: দুটি অস্থির সংযোগস্থলে যখন সাইনোভিয়াল গহ্বর এবং সাইনোভিয়াল তরল উপস্থিত থাকে, তখন সেই সচল অস্থিসন্ধিকে সাইনোভিয়াল সন্ধি বলে। যেমন—হাঁটুর সন্ধি।
চিত্র অঙ্কন ও চিহ্নিতকরণ:
[এখানে একটি সাইনোভিয়াল সন্ধির (যেমন—হাঁটু) পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: দুটি অস্থির প্রান্তভাগ দেখাতে হবে। অস্থির প্রান্তগুলি তরুণাস্থি দ্বারা আবৃত থাকবে। সন্ধিটি একটি সাইনোভিয়াল পর্দা ও তন্তুময় পর্দা দ্বারা আবৃত থাকবে, যাকে একত্রে সন্ধি ক্যাপসুল বলে। দুটি অস্থির মাঝের গহ্বরটি হল সাইনোভিয়াল গহ্বর, যা সাইনোভিয়াল তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে। প্রয়োজন হলে লিগামেন্টও দেখানো যেতে পারে।
চিহ্নিতকরণ: (ক) অস্থি, (খ) তরুণাস্থি, (গ) সাইনোভিয়াল পর্দা, (ঘ) সাইনোভিয়াল তরল, (ঙ) সন্ধি গহ্বর, (চ) লিগামেন্ট।
১০. মানবদেহে অ্যাড্রিনালিন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎস ও দুটি করে কাজ লেখো।
উত্তর:
অ্যাড্রিনালিন:
উৎস: অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির মেডালা অঞ্চল থেকে ক্ষরিত হয়।
কাজ:
(i) আপাতকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা: এটি হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাসহার বাড়িয়ে জরুরি বা সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দেহকে প্রস্তুত করে।
(ii) রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: এটি যকৃতের গ্লাইকোজেনকে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়, যা শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
টেস্টোস্টেরন:
উৎস: শুক্রাশয়ের লেডিগ-এর আন্তরকোষ থেকে ক্ষরিত হয়।
কাজ:
(i) গৌণ যৌন লক্ষণের প্রকাশ: এটি পুরুষদের গৌণ যৌন লক্ষণ যেমন—দাঁড়ি-গোঁফ গজানো, গলার স্বর ভারী হওয়া, পেশিবহুল দেহ গঠন ইত্যাদি প্রকাশে সাহায্য করে।
(ii) শুক্রাণু উৎপাদন: এটি শুক্রাশয়ের শুক্রাণু উৎপাদক নালিকায় শুক্রাণু উৎপাদনে উদ্দীপনা জোগায়।
Class 10 Life Science Chapter 1
Class 10 Life Science জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় Question Answer MCQ,অতি-সংক্ষিপ্ত, ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর : class 10 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রশ্ন উত্তর