জীবনের প্রবমানতা প্রশ্ন উত্তর
ক) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ) – মান ১ (৭০টি)
১. কোশ বিভাজনের কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলি বেমের বিষুব অঞ্চলে অবস্থান করে?
২. DNA-এর গঠনগত একক হল–
৩. মাইটোসিস কোশ বিভাজনের কোন দশায় নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের অবলুপ্তি ঘটে?
৪. মানুষের দেহকোশে (সোমাটিক সেল) অটোজোমের সংখ্যা কত?
৫. যৌন জননের একক হল–
৬. কোশচক্রের কোন দশায় DNA-এর সংশ্লেষ ঘটে?
৭. ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট অংশে জিন অবস্থান করে, তাকে কী বলে?
৮. মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ক্রসিং ওভার ঘটে কোন উপদশায়?
৯. পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে কোন প্রাণী?
১০. একটি আদর্শ ফুলের যে অংশটি পরাগরেণু উৎপন্ন করে, তা হল–
১১. অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন দেখা যায় কোন জীবে?
১২. DNA-তে অ্যাডেনিনের পরিপূরক বেস কোনটি?
১৩. জনুক্রম দেখা যায় কোন উদ্ভিদে?
১৪. মাইটোসিসের কোন দশায় সিস্টার ক্রোমাটিড দুটি আলাদা হয়ে যায়?
১৫. কোন প্রকার জননে মাইটোসিস ও মিয়োসিস উভয়ই প্রয়োজন?
১৬. ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তকে কী বলে?
১৭. ‘I’ বা ‘J’ আকৃতির ক্রোমোজোম দেখা যায় কোন দশায়?
১৮. বায়ুপরাগী ফুলের একটি বৈশিষ্ট্য হল–
১৯. খর্বধাবকের মাধ্যমে অঙ্গজ জনন করে কোনটি?
২০. কোন প্রোটিনটি ক্রোমোজোম গঠনে সাহায্য করে?
২১. সমসংস্থ ক্রোমোজোমের জোড় বাঁধার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
২২. সপুষ্পক উদ্ভিদের শস্য নিউক্লিয়াসের প্রকৃতি হল–
২৩. মানব বিকাশের কোন দশাকে বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়?
২৪. সেন্ট্রোমিয়ারবিহীন ক্রোমোজোমকে কী বলে?
২৫. নিষিক্ত ডিম্বাণুকে বলা হয়–
২৬. যৌন ও অযৌন জননের পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে কী বলে?
২৭. ইতর পরাগযোগের বাহক কোনটি?
২৮. ডিএনএ-তে গুয়ানিন ও সাইটোসিনের মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ডের সংখ্যা কত?
২৯. যে কোশ বিভাজনে বেমতন্তু গঠিত হয় না, তা হল–
৩০. ফুলের কোন অংশটি নিষেকের পর ফলে পরিণত হয়?
৩১. কোন প্রকার জনন প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে?
৩২. সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত প্রোটিন নির্মিত চাকতির মতো অংশটি হল–
৩৩. ফার্নের জনুক্রমে রেণুধর দশাটি হল–
৩৪. পত্রজ মুকুলের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে কোন উদ্ভিদ?
৩৫. মিয়োসিসকে হ্রাস বিভাজন বলা হয় কারণ–
৩৬. RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে কোন বেস থাকে?
৩৭. বেমতন্তু গঠনে সাহায্য করে কোন কোশ অঙ্গাণু?
৩৮. একই ফুলের মধ্যে পরাগযোগ ঘটলে তাকে বলে–
৩৯. কোন কোশ বিভাজনে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে?
৪০. দ্বিনিষেক ঘটে কোন উদ্ভিদে?
৪১. কোশচক্রের সঠিক পর্যায়ক্রমটি হল–
৪২. মানুষের পরিস্ফুটনে মোট দশার সংখ্যা হল–
৪৩. মাইটোসিসের দীর্ঘতম দশা কোনটি?
৪৪. জোড় কলম হল এক প্রকার–
৪৫. একটি XY ক্রোমোজোমযুক্ত মানুষ হয়–
৪৬. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ‘V’ আকৃতির ক্রোমোজোম হল–
৪৭. একটি উরানির উদাহরণ হল–
৪৮. বৃদ্ধি বলতে বোঝায়–
৪৯. ফুলের কোন অংশটি পতঙ্গকে আকর্ষণ করে?
৫০. মিয়োসিস II কোশ বিভাজনটি হল–
৫১. কোরকোদ্গমের মাধ্যমে জনন সম্পন্ন করে–
৫২. ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমে উপস্থিত আম্লিক প্রোটিনটি হল–
৫৩. নিষেকের পর ডিম্বক কিসে পরিণত হয়?
৫৪. কোন দশায় ক্রোমোজোম গণনা করা যায়?
৫৫. কোশচক্রের কোন বিন্দুতে ত্রুটি ঘটলে কোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন হয়?
৫৬. একটি হ্যাপ্লয়েড কোশের উদাহরণ হল–
৫৭. পরাগনালীর ডিম্বকের দিকে চলন হল এক প্রকার–
৫৮. স্যাটেলাইট যুক্ত ক্রোমোজোমকে বলে–
৫৯. খণ্ডীভবন দেখা যায় কোন জীবে?
৬০. ক্রোমোজোম শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
৬১. স্ত্রীলোকের ডিম্বাণুতে সেক্স ক্রোমোজোম থাকে–
৬২. যে কোশ বিভাজনে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়, তা হল–
৬৩. একটি উভলিঙ্গ ফুল হল–
৬৪. গ্যামেট উৎপাদনের জন্য কোন কোশ বিভাজন প্রয়োজন?
৬৫. কোশচক্রের দীর্ঘতম দশা কোনটি?
৬৬. কায়াজমা (Chiasma) দেখা যায় কোন উপদশায়?
৬৭. উদ্ভিদের ভ্রূণস্থলী অবস্থিত–
৬৮. DNA-এর দ্বিতন্ত্রী গঠন কে আবিষ্কার করেন?
৬৯. কোন দশায় ক্রোমোজোমগুলি সর্বাধিক ঘনীভূত ও স্পষ্ট হয়?
৭০. একই গাছের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্যে পরাগযোগকে কী বলে?
খ) অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী (VSA) – মান ১ (৭০টি)
i) একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও (২০টি)
১. ক্রোমোজোমের প্রধান দুটি উপাদান কী কী?
উত্তর: DNA এবং প্রোটিন (হিস্টোন ও নন-হিস্টোন)।
২. ক্যারিওকাইনেসিস কী?
উত্তর: কোশ বিভাজনের সময় নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে ক্যারিওকাইনেসিস বলে।
৩. একটি হ্যাপ্লয়েড (n) ও একটি ডিপ্লয়েড (2n) কোশের উদাহরণ দাও।
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড কোশ – গ্যামেট (শুক্রাণু/ডিম্বাণু); ডিপ্লয়েড কোশ – দেহকোশ বা জাইগোট।
৪. মানব বিকাশের কোন দশায় দেহের বৃদ্ধি দ্রুত হারে ঘটে?
উত্তর: শৈশব ও কৈশোর দশায়।
৫. বংশগতির ধারক ও বাহক কাকে বলে?
উত্তর: জিনকে বংশগতির ধারক এবং ক্রোমোজোমকে বংশগতির বাহক বলা হয়।
৬. একটি প্রাণী ও একটি উদ্ভিদের নাম লেখো যারা কোরকোদ্গমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
উত্তর: প্রাণী – হাইড্রা; উদ্ভিদ – ইস্ট।
৭. DNA-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
উত্তর: ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Deoxyribonucleic Acid)।
৮. মিয়োসিস কোশ বিভাজন কোথায় ঘটে?
উত্তর: জীবের জনন মাতৃকোশে (Germ Mother Cell) ঘটে।
৯. ফার্নের রেণুধর (স্পোরোফাইট) জনুটি কী প্রকৃতির?
উত্তর: ডিপ্লয়েড (2n) প্রকৃতির।
১০. কোন প্রকার পরাগযোগে বাহকের প্রয়োজন হয়?
উত্তর: ইতর পরাগযোগে।
১১. একটি অযৌন জনন পদ্ধতির নাম লেখো।
উত্তর: দ্বিবিভাজন (বা কোরকোদ্গম, খণ্ডীভবন)।
১২. মানুষের একটি লিঙ্গ-নির্ধারক ক্রোমোজোমের নাম লেখো।
উত্তর: X ক্রোমোজোম (বা Y ক্রোমোজোম)।
১৩. কোশচক্রের কোন দশাকে বিশ্রাম দশা বলা হয়?
উত্তর: ইন্টারফেজ দশা।
১৪. একটি সম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: জবা ফুল।
১৫. ক্রসিং ওভারের ফলে কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: জিনের নতুন সমন্বয় বা পুনঃসংযুক্তি ঘটে, যা প্রকরণ সৃষ্টি করে।
১৬. উদ্ভিদের দেহকোশে সাধারণত কোন পদ্ধতিতে কোশ বিভাজন হয়?
উত্তর: মাইটোসিস।
১৭. ডিম্বাণু শুধুমাত্র মাইটোসিস দ্বারা উৎপন্ন করে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: পুরুষ মৌমাছি (ড্রোন)।
১৮. সেন্ট্রোমিয়ারের কাজ কী?
উত্তর: সেন্ট্রোমিয়ার অ্যানাফেজ দশায় বেমতন্তুর সাথে ক্রোমোজোমকে যুক্ত করে এবং দুটি ক্রোমাটিডকে ধরে রাখে।
১৯. শাখা কলম কী?
উত্তর: এটি একটি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতি যেখানে উদ্ভিদের কোনো শাখা কেটে মাটিতে পুঁতে দিলে তা থেকে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
২০. কোন প্রকার কোশ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোশ বিভাজন বলে?
উত্তর: অ্যামাইটোসিস।
ii) নীচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো (২০টি)
২১. মাইটোসিসকে হ্রাস বিভাজন বলা হয়।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: মিয়োসিসকে হ্রাস বিভাজন বলা হয়)।
২২. মানুষের শুক্রাণুতে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩টি।
উত্তর: সত্য।
২৩. DNA-তে ইউরাসিল নামক নাইট্রোজেন বেস থাকে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: RNA-তে ইউরাসিল থাকে)।
২৪. ইতর পরাগযোগের ফলে উদ্ভিদের নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে।
উত্তর: সত্য।
২৫. কোশচক্রের S দশায় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: S দশায় DNA সংশ্লেষিত হয়, G1 ও G2 দশায় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়)।
২৬. টেলোফেজ দশা হল প্রোফেজ দশার ঠিক বিপরীত।
উত্তর: সত্য।
২৭. প্ল্যানেরিয়ার পুনরুৎপাদন ঘটে।
উত্তর: সত্য।
২৮. সব সপুষ্পক উদ্ভিদের দ্বিনিষেক ঘটে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: শুধুমাত্র গুপ্তবীজী উদ্ভিদের দ্বিনিষেক ঘটে)।
২৯. Y ক্রোমোজোমকে অ্যান্ড্রোজোম বলা হয়।
উত্তর: সত্য।
৩০. অ্যামিবা দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।
উত্তর: সত্য।
৩১. প্রাণী কোশে কোশপাত গঠনের মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস ঘটে।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: উদ্ভিদ কোশে কোশপাত গঠিত হয়)।
৩২. ফার্নের প্রধান উদ্ভিদদেহটি লিঙ্গধর।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর)।
৩৩. জিনের পরিবর্তিত রূপকে অ্যালিল বলে।
উত্তর: সত্য।
৩৪. মিয়োসিস কোশ বিভাজনে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: চারটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়)।
৩৫. বয়ঃসন্ধিকালে গৌণ যৌন লক্ষণের প্রকাশ ঘটে।
উত্তর: সত্য।
৩৬. ক্রসিং ওভার মাইটোসিসের বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: ক্রসিং ওভার মিয়োসিসের বৈশিষ্ট্য)।
৩৭. শিমুল একটি বায়ুপরাগী ফুল।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: শিমুল পক্ষীপরাগী ফুল)।
৩৮. টেলোমিয়ার ক্রোমোজোমের স্থায়িত্ব প্রদান করে।
উত্তর: সত্য।
৩৯. জাইগোট হল একটি হ্যাপ্লয়েড কোশ।
উত্তর: মিথ্যা (সঠিক: জাইগোট একটি ডিপ্লয়েড কোশ)।
৪০. স্পাইরোগাইরা খণ্ডীভবন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে।
উত্তর: সত্য।
iii) নীচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও (১৫টি)
৪১. ক্রোমোজোমের যে অংশে সেন্ট্রোমিয়ার থাকে না, তাকে ________ বলে।
উত্তর: অ্যাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
৪২. যৌন জননের একক হল ________।
উত্তর: গ্যামেট
৪৩. মাইটোসিসের ________ দশায় ক্রোমাটিড দুটি আলাদা হয়ে যায়।
উত্তর: অ্যানাফেজ
৪৪. সপুষ্পক উদ্ভিদের শস্য নিউক্লিয়াসটি ________ প্রকৃতির।
উত্তর: ট্রিপ্লয়েড (3n)
৪৫. DNA অণুর প্যাঁচানো সিঁড়ির মতো গঠনকে ________ বলে।
উত্তর: দ্বিতন্ত্রী বা ডাবল হেলিক্স
৪৬. ফার্নের লিঙ্গধর উদ্ভিদদেহটিকে ________ বলে।
উত্তর: প্রোথ্যালাস
৪৭. দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমের মধ্যেকার জোড়কে ________ বলে।
উত্তর: বাইভ্যালেন্ট
৪৮. প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস ________ পদ্ধতিতে ঘটে।
উত্তর: ক্লিভেজ বা ফারোয়িং
৪৯. একটি অসম্পূর্ণ ফুল হল ________।
উত্তর: লাউ (বা কুমড়ো)
৫০. DNA থেকে RNA তৈরির প্রক্রিয়াকে ________ বলে।
উত্তর: ট্রান্সক্রিপশন
৫১. মাইটোসিসের ফলে একটি মাতৃকোশ থেকে ________ টি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়।
উত্তর: দুটি
৫২. মানুষের অটোজোমের সংখ্যা ________ জোড়া।
উত্তর: ২২
৫৩. পরাগরেণুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলনকে ________ বলে।
উত্তর: নিষেক
৫৪. সেন্ট্রোমিয়ারের ওপরে অবস্থিত প্রোটিন নির্মিত প্লেটকে ________ বলে।
উত্তর: কাইনেটোকোর
৫৫. খর্বধাবকের সাহায্যে ________ উদ্ভিদ বংশবিস্তার করে।
উত্তর: কচুরিপানা
iv) A স্তম্ভের সঙ্গে B স্তম্ভ মেলাও (৩ সেট x ৫টি = ১৫টি)
সেট – ১
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৫৬. দ্বিবিভাজন | (ক) স্পাইরোগাইরা |
৫৭. কোরকোদ্গম | (খ) ফার্ন |
৫৮. খণ্ডীভবন | (গ) হাইড্রা |
৫৯. রেণু উৎপাদন | (ঘ) পাথরকুচি |
৬০. পত্রজ মুকুল | (ঙ) অ্যামিবা |
উত্তর:
৫৬. দ্বিবিভাজন – (ঙ) অ্যামিবা
৫৭. কোরকোদ্গম – (গ) হাইড্রা
৫৮. খণ্ডীভবন – (ক) স্পাইরোগাইরা
৫৯. রেণু উৎপাদন – (খ) ফার্ন
৬০. পত্রজ মুকুল – (ঘ) পাথরকুচি
সেট – ২
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬১. প্রোফেজ | (ক) ক্রোমাটিডের পৃথকীকরণ |
৬২. মেটাফেজ | (খ) নিউক্লিয়াসের পুনর্গঠন |
৬৩. অ্যানাফেজ | (গ) ক্রোমোজোমীয় নৃত্য |
৬৪. টেলোফেজ | (ঘ) ক্রোমোজোমের ঘনীভবন |
৬৫. সাইটোকাইনেসিস | (ঙ) সাইটোপ্লাজমের বিভাজন |
উত্তর:
৬১. প্রোফেজ – (ঘ) ক্রোমোজোমের ঘনীভবন
৬২. মেটাফেজ – (গ) ক্রোমোজোমীয় নৃত্য (মেটাফেজ প্লেটে অবস্থান)
৬৩. অ্যানাফেজ – (ক) ক্রোমাটিডের পৃথকীকরণ
৬৪. টেলোফেজ – (খ) নিউক্লিয়াসের পুনর্গঠন
৬৫. সাইটোকাইনেসিস – (ঙ) সাইটোপ্লাজমের বিভাজন
সেট – ৩
A স্তম্ভ | B স্তম্ভ |
---|---|
৬৬. বায়ুপরাগী ফুল | (ক) আম |
৬৭. পতঙ্গপরাগী ফুল | (খ) পাতাশ্যাওলা |
৬৮. জলপরাগী ফুল | (গ) শিমুল |
৬৯. পক্ষীপরাগী ফুল | (ঘ) জবা |
৭০. স্বপরাগী ফুল | (ঙ) ধান |
উত্তর:
৬৬. বায়ুপরাগী ফুল – (ঙ) ধান
৬৭. পতঙ্গপরাগী ফুল – (ক) আম
৬৮. জলপরাগী ফুল – (খ) পাতাশ্যাওলা
৬৯. পক্ষীপরাগী ফুল – (গ) শিমুল
৭০. স্বপরাগী ফুল – (ঘ) জবা (ইতর পরাগযোগও ঘটে)
গ) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী – মান ২ (২৫টি)
১. মাইটোসিসকে সমবিভাজন বলা হয় কেন?
উত্তর: মাইটোসিস কোশ বিভাজনে মাতৃকোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা এবং অপত্য কোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান থাকে। অর্থাৎ, গুণগত ও পরিমাণগতভাবে একই প্রকার ক্রোমোজোম অপত্য কোশে বণ্টিত হয় বলে মাইটোসিসকে সমবিভাজন বা সদৃশ বিভাজন বলে।
২. ক্রোমোজোম, DNA ও জিনের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: ক্রোমোজোম হল নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত সূত্রাকার অংশ। এর প্রধান উপাদান হল DNA। DNA-এর নির্দিষ্ট কার্যকরী অংশ যা প্রোটিন সংশ্লেষের মাধ্যমে জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে জিন বলে। সুতরাং, জিন হল DNA-এর অংশ এবং DNA কুণ্ডলীকৃত হয়ে ক্রোমোজোম গঠন করে।
৩. স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. ফুলের প্রকৃতি: স্বপরাগযোগ সাধারণত উভলিঙ্গ ফুলে ঘটে। ইতর পরাগযোগ একই বা ভিন্ন প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে ঘটে।
২. বাহকের প্রয়োজন: স্বপরাগযোগে বাহকের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। ইতর পরাগযোগে বাহকের (বায়ু, জল, পতঙ্গ ইত্যাদি) প্রয়োজন হয়।
৪. কোশচক্রের গুরুত্ব কী?
উত্তর: কোশচক্রের দুটি গুরুত্ব হল:
১. সঠিক বিভাজন: কোশচক্রের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একটি কোশ সঠিকভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে।
২. অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন রোধ: কোশচক্রের বিভিন্ন চেকপয়েন্ট কোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন (যা থেকে টিউমার বা ক্যান্সার হয়) রোধ করে।
৫. যৌন ও অযৌন জননের দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. জনিতৃ জীবের সংখ্যা: যৌন জননে দুটি ভিন্ন লিঙ্গের জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়। অযৌন জননে একটি মাত্র জনিতৃ জীবই যথেষ্ট।
২. গ্যামেট উৎপাদন: যৌন জননে গ্যামেট উৎপাদন ও নিষেক অপরিহার্য। অযৌন জননে গ্যামেট উৎপাদন বা নিষেক ঘটে না।
৬. ইউক্রোমাটিন ও হেটারোক্রোমাটিনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. ঘনত্ব: ইন্টারফেজ দশায় ইউক্রোমাটিন হালকা ও প্রসারিত থাকে। হেটারোক্রোমাটিন ঘনীভূত ও কুঞ্চিত থাকে।
২. সক্রিয়তা: ইউক্রোমাটিনে সক্রিয় জিন থাকে এবং এটি ট্রান্সক্রিপশনে অংশ নেয়। হেটারোক্রোমাটিনে নিষ্ক্রিয় জিন থাকে এবং এটি সাধারণত নিষ্ক্রিয়।
৭. জনুক্রম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর:
জনুক্রম: কোনো জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড লিঙ্গধর জনু (গ্যামেটোফাইট) ও ডিপ্লয়েড রেণুধর জনুর (স্পোরোফাইট) পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে জনুক্রম বলে।
উদাহরণ: ফার্ন, মস ইত্যাদি উদ্ভিদে জনুক্রম দেখা যায়।
৮. অ্যানাফেজ দশার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:
১. ক্রোমাটিডের পৃথকীকরণ: এই দশায় প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভাজিত হয়, ফলে সিস্টার ক্রোমাটিড দুটি আলাদা হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে।
২. অ্যানাফেজীয় চলন: অপত্য ক্রোমোজোমগুলি বেমের বিপরীত মেরুর দিকে গমন করে। একে অ্যানাফেজীয় চলন বলে।
৯. মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ কী?
উত্তর: এটি একটি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতি যেখানে পরীক্ষাগারে উপযুক্ত কর্ষণ মাধ্যমে (Culture Medium) উদ্ভিদের কোশ, কলা বা অঙ্গের ছোট অংশ থেকে অসংখ্য চারাগাছ উৎপাদন করা হয়। এই পদ্ধতিকে অণুবিস্তারণ বলে।
১০. অটোজোম ও সেক্স ক্রোমোজোমের পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. কাজ: অটোজোম জীবের দেহজ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্স ক্রোমোজোম জীবের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
২. সংখ্যা: মানুষের ক্ষেত্রে অটোজোমের সংখ্যা ২২ জোড়া (৪৪টি)। সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা ১ জোড়া (২টি)।
১১. বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: বৃদ্ধি হল আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের স্থায়ী পরিবর্তন, যা বিকাশের একটি অংশ। বিকাশ হল একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া যা বৃদ্ধি, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন ও কার্যকারিতার পরিবর্তন এবং পরিস্ফুটনকে অন্তর্ভুক্ত করে। সুতরাং, বৃদ্ধি ছাড়া বিকাশ সম্ভব নয় এবং বৃদ্ধি বিকাশের ভিত্তি।
১২. মিয়োসিসের দুটি তাৎপর্য লেখো।
উত্তর:
১. ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা: মিয়োসিসের ফলে গ্যামেটে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক (n) হয়ে যায়। ফলে নিষেকের পর জাইগোটে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা (2n) ধ্রুবক থাকে।
২. প্রকরণ সৃষ্টি: মিয়োসিসের সময় ক্রসিং ওভারের ফলে জিনের পুনঃসংযুক্তি ঘটে, যা জীবের মধ্যে প্রকরণ বা ভেদ সৃষ্টি করে এবং বিবর্তনে সাহায্য করে।
১৩. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোমের প্রকারভেদগুলি কী কী?
উত্তর: সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোম চার প্রকার: (i) মেটাসেন্ট্রিক (মাঝখানে), (ii) সাব-মেটাসেন্ট্রিক (মাঝখানের সামান্য একপাশে), (iii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক (প্রান্তের কাছাকাছি) এবং (iv) টেলোসেন্ট্রিক (একদম প্রান্তে)।
১৪. একটি সম্পূর্ণ ও একটি অসম্পূর্ণ ফুলের পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
সম্পূর্ণ ফুল: যে ফুলে চারটি স্তবকই (বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র, গর্ভকেশর চক্র) উপস্থিত থাকে, তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন—জবা।
অসম্পূর্ণ ফুল: যে ফুলে চারটি স্তবকের কোনো একটি বা একাধিক অনুপস্থিত থাকে, তাকে অসম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন—লাউ, কুমড়ো।
১৫. DNA ও RNA-এর দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
১. শর্করা: DNA-তে ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা থাকে। RNA-তে রাইবোজ শর্করা থাকে।
২. বেস: DNA-তে থাইমিন (T) নামক পিরিমিডিন বেস থাকে। RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে ইউরাসিল (U) থাকে।
১৬. অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা কী?
উত্তর:
সুবিধা: এই পদ্ধতিতে খুব দ্রুত ও সহজে বংশবিস্তার করা যায় এবং জনিতৃ জীবের বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত থাকে।
অসুবিধা: এই পদ্ধতিতে নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হয় না, ফলে বিবর্তনের সম্ভাবনা কম এবং পরিবর্তনশীল পরিবেশে অভিযোজনের ক্ষমতা কম থাকে।
১৭. মানব পরিস্ফুটনের বার্ধক্য দশার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:
১. শারীরিক পরিবর্তন: এই দশায় অস্থি ও সন্ধি দুর্বল হয়ে পড়ে, ত্বক কুঁচকে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।
২. অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
১৮. বাইভ্যালেন্ট ও ক্রোমাটিডের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: মিয়োসিসের প্রোফেজ-I উপদশায় দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোম জোড় বেঁধে বাইভ্যালেন্ট গঠন করে। প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি করে সিস্টার ক্রোমাটিড নিয়ে গঠিত। সুতরাং, একটি বাইভ্যালেন্টে মোট চারটি ক্রোমাটিড থাকে।
১৯. টেলোফেজ দশার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:
১. নিউক্লিয়াসের পুনর্গঠন: এই দশায় ক্রোমোজোমগুলিকে ঘিরে নিউক্লিয় পর্দা এবং নিউক্লিওলাস পুনরায় আবির্ভূত হয়।
২. ক্রোমোজোমের পরিবর্তন: ক্রোমোজোমগুলি জল শোষণ করে আবার সরু ও দীর্ঘ হয়ে ক্রোমাটিন জালিকা গঠন করে।
২০. স্টক ও সিয়ন কী?
উত্তর: জোড় কলম পদ্ধতিতে যে উন্নত জাতের উদ্ভিদের শাখাকে (সিয়ন) অন্য একটি নিকৃষ্ট কিন্তু স্থানীয় পরিবেশে অভিযোজিত উদ্ভিদের মূলসহ কাণ্ডের (স্টক) উপর প্রতিস্থাপন করা হয়। অর্থাৎ, মূলসহ গাছটি হল স্টক এবং প্রতিস্থাপিত শাখাটি হল সিয়ন।
২১. দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝো?
উত্তর: গুপ্তবীজী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরাগনালী থেকে নির্গত দুটি পুংগ্যামেটের একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে জাইগোট (2n) গঠন করে এবং অপরটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসকে (2n) নিষিক্ত করে শস্য নিউক্লিয়াস (3n) গঠন করে। এই দুটি নিষেককে একত্রে দ্বিনিষেক বলে।
২২. ইন্টারকাইনেসিস কী?
উত্তর: মিয়োসিস I ও মিয়োসিস II-এর মধ্যবর্তী স্বল্পস্থায়ী বিশ্রাম দশাকে ইন্টারকাইনেসিস বলে। এই দশায় DNA-এর সংশ্লেষ ঘটে না।
২৩. প্রাণী ও উদ্ভিদ কোশের সাইটোকাইনেসিসের পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
প্রাণী কোশ: ক্লিভেজ বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে কোষপর্দা বাইরের দিক থেকে ভেতরের দিকে সংকুচিত হয়ে সাইটোকাইনেসিস সম্পন্ন করে।
উদ্ভিদ কোশ: কোশপাত বা সেল প্লেট গঠনের মাধ্যমে সাইটোকাইনেসিস ঘটে, যা ভেতরের দিক থেকে বাইরের দিকে বৃদ্ধি পায়।
২৪. নিষেক ও পরাগযোগের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: পরাগযোগ হল নিষেকের পূর্বশর্ত। পরাগযোগের মাধ্যমে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়। এরপর পরাগনালী গঠিত হয়ে পুংগ্যামেট ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছায় এবং নিষেক সম্পন্ন হয়। সুতরাং, পরাগযোগ ছাড়া গুপ্তবীজী উদ্ভিদে নিষেক সম্ভব নয়।
২৫. ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠন ছকের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর:
ক্রোমোজোম
├── নিউক্লিক অ্যাসিড
| └── DNA, RNA
└── প্রোটিন
├── হিস্টোন প্রোটিন (ক্ষারীয়)
└── নন-হিস্টোন প্রোটিন (আম্লিক)
ঘ) রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী – মান ৫ (১০টি)
১. মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রোফেজ ও অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি चित्र সহ বর্ণনা করো।
উত্তর:
প্রোফেজ দশা:
[এখানে একটি প্রোফেজ দশার চিত্র আঁকতে হবে যেখানে ঘনীভূত ক্রোমোজোম ও বিলীয়মান নিউক্লিয় পর্দা দেখানো হবে।]
বৈশিষ্ট্য:
- এটি মাইটোসিসের প্রথম ও দীর্ঘতম দশা।
- নিউক্লিয়াসের জল বিয়োজনের ফলে ক্রোমাটিন জালিকা ঘনীভূত হয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম গঠন করে।
- প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি সিস্টার ক্রোমাটিড ও একটি সেন্ট্রোমিয়ার নিয়ে গঠিত হয়।
- প্রাণীকোশে সেন্ট্রোজোম দুটি বিপরীত মেরুতে গমন করে ও বেমতন্তু গঠন করে।
- দশার শেষে নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের অবলুপ্তি ঘটে।
[এখানে একটি অ্যানাফেজ দশার চিত্র আঁকতে হবে যেখানে ক্রোমাটিডগুলি পৃথক হয়ে দুই মেরুর দিকে যাচ্ছে দেখানো হবে।]
বৈশিষ্ট্য:
- এটি সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী দশা।
- প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভাজিত হয়, ফলে সিস্টার ক্রোমাটিড দুটি আলাদা হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে।
- বেমতন্তুর সংকোচনের ফলে অপত্য ক্রোমোজোমগুলির অর্ধেক এক মেরুর দিকে এবং বাকি অর্ধেক বিপরীত মেরুর দিকে গমন করে। একে অ্যানাফেজীয় চলন বলে।
- অপত্য ক্রোমোজোমগুলি V, L, J বা I আকৃতির হয়।
২. একটি আদর্শ ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো: (ক) ক্রোমাটিড, (খ) সেন্ট্রোমিয়ার, (গ) গৌণ খাঁজ, (ঘ) স্যাটেলাইট, (ঙ) টেলোমিয়ার।
উত্তর:
[এখানে একটি আদর্শ ক্রোমোজোমের চিত্র অঙ্কন করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: প্রথমে দুটি সিস্টার ক্রোমাটিড আঁকতে হবে যা সেন্ট্রোমিয়ার দ্বারা যুক্ত। সেন্ট্রোমিয়ারকে প্রাথমিক খাঁজ হিসেবে দেখাতে হবে। ক্রোমোজোমের বাহুর কোনো অংশে একটি গৌণ খাঁজ আঁকতে হবে এবং তার শেষ প্রান্তের স্ফীত অংশটিকে স্যাটেলাইট হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। ক্রোমোজোমের দুটি শেষ প্রান্তকে টেলোমিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
চিহ্নিতকরণ: (ক) ক্রোমাটিড, (খ) সেন্ট্রোমিয়ার (প্রাথমিক খাঁজ), (গ) গৌণ খাঁজ, (ঘ) স্যাটেলাইট, (ঙ) টেলোমিয়ার।
৩. মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোশ বিভাজনের মধ্যে পাঁচটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
বিষয় | মাইটোসিস | মিয়োসিস |
---|---|---|
সংঘটনস্থল | জীবের দেহ মাতৃকোশে ঘটে। | জীবের জনন মাতৃকোশে ঘটে। |
ক্রোমোজোমের প্রকৃতি | অপত্য কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোশের সমান থাকে (2n → 2n)। | অপত্য কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোশের অর্ধেক হয়ে যায় (2n → n)। |
অপত্য কোশের সংখ্যা | একটি মাতৃকোশ থেকে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়। | একটি মাতৃকোশ থেকে চারটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়। |
ক্রসিং ওভার | ক্রসিং ওভার ঘটে না। | প্রোফেজ-I দশায় ক্রসিং ওভার ঘটে। |
গুরুত্ব | দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও অযৌন জননে সাহায্য করে। | গ্যামেট উৎপাদন, প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা ও প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। |
৪. একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের দ্বিনিষেক পদ্ধতিটি আলোচনা করো। এর তাৎপর্য কী?
উত্তর:
দ্বিনিষেক পদ্ধতি:
পরাগযোগের পর পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে পতিত হয় এবং অঙ্কুরিত হয়ে পরাগনালী গঠন করে। পরাগনালী ডিম্বাশয়ের মধ্যে অবস্থিত ডিম্বকের ভ্রূণস্থলীর দিকে অগ্রসর হয়। এই সময় পরাগরেণুর জেনারেটিভ নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে দুটি পুংগ্যামেট (n) গঠন করে। পরাগনালী ভ্রূণস্থলীর মধ্যে প্রবেশ করে পুংগ্যামেট দুটিকে মুক্ত করে।
- প্রথম নিষেক (সিঙ্গ্যামি): একটি পুংগ্যামেট (n) ভ্রূণস্থলীর ডিম্বাণুর (n) সঙ্গে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড জাইগোট (2n) গঠন করে, যা পরে ভ্রূণে পরিণত হয়।
- দ্বিতীয় নিষেক (ত্রৈধ মিলন): অপর পুংগ্যামেটটি (n) ভ্রূণস্থলীর নির্ণীত নিউক্লিয়াসের (2n) সঙ্গে মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড (3n) শস্য নিউক্লিয়াস গঠন করে, যা পরে শস্যে পরিণত হয়।
তাৎপর্য:
(i) দ্বিনিষেকের ফলে সৃষ্ট জাইগোট থেকে ভ্রূণ এবং শস্য নিউক্লিয়াস থেকে শস্য গঠিত হয়। এই শস্য ভ্রূণের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। (ii) এটি গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
৫. যৌন জনন ও অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
উত্তর:
যৌন জননের সুবিধা:
- নতুন বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণ ঘটে, ফলে প্রকরণ বা ভেদ সৃষ্টি হয়।
- উৎপন্ন অপত্য জীব পরিবর্তনশীল পরিবেশে সহজে অভিযোজিত হতে পারে।
- প্রকরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিবর্তনের পথকে প্রশস্ত করে।
- এটি একটি সময়সাপেক্ষ ও জটিল প্রক্রিয়া।
- গ্যামেট উৎপাদনের জন্য প্রচুর শক্তি ব্যয় হয়।
- দুটি ভিন্ন লিঙ্গের জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়, যা সবসময় সহজলভ্য নাও হতে পারে।
- এটি একটি দ্রুত ও সরল প্রক্রিয়া।
- একটি মাত্র জনিতৃ জীবই বংশবিস্তারে সক্ষম।
- জনিতৃ জীবের গুণাবলী অপত্যের মধ্যে অবিকল বজায় থাকে।
- নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হয় না, তাই প্রকরণ সৃষ্টি হয় না।
- পরিবর্তনশীল পরিবেশে অভিযোজনের ক্ষমতা কম থাকে।
- প্রজাতির বিবর্তনের সম্ভাবনা প্রায় থাকে না।
৬. কোশচক্রের ইন্টারফেজ দশার বিভিন্ন উপদশাগুলির বর্ণনা দাও এবং তাদের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর:
কোশচক্রের ইন্টারফেজ দশা হল দুটি বিভাজন দশার মধ্যবর্তী প্রস্তুতিমূলক দশা। এটি তিনটি উপদশায় বিভক্ত:
(i) G1 দশা (গ্যাপ-১):
- বর্ণনা: এটি মাইটোসিস পরবর্তী এবং DNA সংশ্লেষ পূর্ববর্তী দশা। এই দশায় কোশটি আকারে বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন প্রকার প্রোটিন ও RNA সংশ্লেষিত হয়।
- গুরুত্ব: পরবর্তী S দশার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক ও শক্তি (ATP) এই দশায় তৈরি হয়।
- বর্ণনা: এই দশায় কোশের নিউক্লিয়াসে DNA-এর প্রতিলিপিকরণ বা রেপ্লিকেশন ঘটে। ফলে প্রতিটি ক্রোমোজোমে DNA-এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
- গুরুত্ব: এই দশায় DNA সংশ্লেষের মাধ্যমে ক্রোমোজোমের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়, যা কোশ বিভাজনের জন্য অপরিহার্য।
- বর্ণনা: এটি DNA সংশ্লেষ পরবর্তী এবং মাইটোসিস পূর্ববর্তী দশা। এই দশায় বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন (যেমন—টিউবিউলিন প্রোটিন) এবং RNA সংশ্লেষিত হয়।
- গুরুত্ব: এই দশায় বেমতন্তু গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি হয় এবং কোশ বিভাজনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।
৭. ফার্নের জনুক্রম একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর:
[এখানে একটি ফার্নের জনুক্রমের রেখাচিত্র আঁকতে হবে।]
রেখাচিত্রের বর্ণনা:
- রেণুধর জনু (2n) – প্রধান উদ্ভিদ:
- ফার্নের মূল উদ্ভিদটি হল রেণুধর বা স্পোরোফাইট (ডিপ্লয়েড)।
- এর পাতায় অবস্থিত সোরাস-এর মধ্যে রেণুস্থলী থাকে।
- রেণুস্থলীর রেণু মাতৃকোশে (2n) মিয়োসিস বিভাজনের ফলে হ্যাপ্লয়েড (n) রেণু উৎপন্ন হয়।
- লিঙ্গধর জনু (n) – প্রোথ্যালাস:
- এই হ্যাপ্লয়েড রেণু অঙ্কুরিত হয়ে হৃৎপিণ্ডাকার, সবুজ লিঙ্গধর বা গ্যামেটোফাইট দেহ গঠন করে, যাকে প্রোথ্যালাস বলে।
- প্রোথ্যালাসে পুংধানী (Antheridium) ও স্ত্রীধানী (Archegonium) উৎপন্ন হয়।
- পুংধানীতে মাইটোসিস দ্বারা পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু (n) এবং স্ত্রীধানীতে ডিম্বাণু (n) উৎপন্ন হয়।
- নিষেক ও পুনরায় রেণুধর জনু:
- জলের মাধ্যমে শুক্রাণু সাঁতার কেটে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে।
- এর ফলে ডিপ্লয়েড (2n) জাইগোট সৃষ্টি হয়।
- জাইগোট বারবার মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে ভ্রূণ গঠন করে এবং সেই ভ্রূণ থেকে পুনরায় প্রধান রেণুধর উদ্ভিদদেহটি জন্মায়।
৮. কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তারের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর:
কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার হল মানুষের দ্বারা সৃষ্ট এমন পদ্ধতি যার মাধ্যমে উদ্ভিদের কোনো অঙ্গ থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরি করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলি হল:
(i) শাখা কলম (Cutting): এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখার একটি অংশ কেটে নিয়ে মাটিতে রোপণ করা হয়। ওই কাটা অংশ থেকে মূল গজায় এবং নতুন উদ্ভিদ তৈরি হয়। উদাহরণ: গোলাপ, জবা, আখ, পাতা বাহার।
(ii) দাবা কলম (Layering): এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদের মাটির কাছাকাছি কোনো শাখাকে বাঁকিয়ে মাটিতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। ওই অংশ থেকে মূল বেরোলে সেটিকে মাতৃ উদ্ভিদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নতুন চারা তৈরি করা হয়। উদাহরণ: লেবু, পেয়ারা, জুঁই।
(iii) জোড় কলম (Grafting): এই পদ্ধতিতে একটি উন্নত জাতের উদ্ভিদের শাখাকে (সিয়ন) অন্য একটি অনুন্নত কিন্তু সহনশীল উদ্ভিদের মূলসহ কাণ্ডের (স্টক) সঙ্গে জোড়া লাগানো হয়। এর ফলে একটি উদ্ভিদে দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের গুণাবলী পাওয়া যায়। উদাহরণ: আম, পেয়ারা, আপেল, লেবু।
(iv) অণুবিস্তারণ (Micropropagation): এটি একটি আধুনিক কলাকর্ষণ পদ্ধতি। এতে পরীক্ষাগারে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে কর্ষণ মাধ্যমে উদ্ভিদের কোনো কলা বা অঙ্গাংশ থেকে হাজার হাজার চারা তৈরি করা হয়। উদাহরণ: অর্কিড, চন্দ্রমল্লিকা।
৯. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে ক্রোমোজোমের ভূমিকা আলোচনা করো। পিতার ক্রোমোজোমই যে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে, তা একটি চেকার বোর্ডের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর:
ভূমিকা: মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে সেক্স ক্রোমোজোম (X ও Y) প্রধান ভূমিকা পালন করে। মানুষের দেহকোশে মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে, যার মধ্যে ৪৪টি অটোজোম এবং ২টি সেক্স ক্রোমোজোম।
- স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে: সেক্স ক্রোমোজোম দুটি হল XX। তাই তাঁরা হোমোগ্যামেটিক, অর্থাৎ এক প্রকার (X ক্রোমোজোমযুক্ত) ডিম্বাণু উৎপাদন করেন।
- পুরুষের ক্ষেত্রে: সেক্স ক্রোমোজোম দুটি হল XY। তাই তাঁরা হেটারোগ্যামেটিক, অর্থাৎ দু-প্রকার (X ক্রোমোজোমযুক্ত এবং Y ক্রোমোজোমযুক্ত) শুক্রাণু উৎপাদন করেন।
চেকার বোর্ড:
পুরুষের গ্যামেট (শুক্রাণু) | ||
---|---|---|
স্ত্রীর গ্যামেট (ডিম্বাণু) | X | Y |
X | XX (কন্যা) | XY (পুত্র) |
উপসংহার: যেহেতু পুরুষ দু-ধরনের শুক্রাণু (X ও Y) উৎপাদন করে, তাই পুরুষের কোন প্রকার শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করবে, তার ওপরই সন্তানের লিঙ্গ নির্ভর করে। সুতরাং, পিতার ক্রোমোজোমই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
১০. একটি আদর্শ ফুলের চিত্র অঙ্কন করে তার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।
উত্তর:
[এখানে একটি আদর্শ সম্পূর্ণ ফুলের (যেমন—জবা) পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করতে হবে।]
অঙ্কন পদ্ধতি: প্রথমে পুষ্পবৃন্ত ও তার ওপরে অবস্থিত পুষ্পাক্ষ আঁকতে হবে। পুষ্পাক্ষের ওপর চারটি স্তবক পর্যায়ক্রমে আঁকতে হবে:
- বৃতি (Calyx): সবচেয়ে বাইরের সবুজ স্তবক, যা কুঁড়ি অবস্থায় ফুলকে রক্ষা করে।
- দলমণ্ডল (Corolla): ভেতরের রঙিন স্তবক (পাপড়ি), যা পরাগযোগে সাহায্য করে।
- পুংকেশর চক্র (Androecium): দলমণ্ডলের ভেতরে অবস্থিত পুংস্তবক। প্রতিটি পুংকেশরের দুটি অংশ—পরাগধানী ও পুংদণ্ড।
- গর্ভকেশর চক্র (Gynoecium): ফুলের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত স্ত্রীস্তবক। এর তিনটি অংশ—গর্ভমুণ্ড, গর্ভদণ্ড ও গর্ভাশয়। গর্ভাশয়ের মধ্যে ডিম্বক থাকে।
class 10 life science chapter 2
Class 10 Life Science জীবনের প্রবমানতা Question Answer MCQ,অতি-সংক্ষিপ্ত, ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর : class 10 জীবনের প্রবমানতা প্রশ্ন উত্তর