চুম্বকত্ব (Magnetism) কী?
চুম্বকত্ব হলো এমন একটি প্রাকৃতিক শক্তি বা বৈশিষ্ট্য যার ফলে কিছু ধাতু বা বস্তু চুম্বকের মতো আচরণ করে, অর্থাৎ তারা লোহা, নিকেল, কobalt এর মতো কিছু ধাতুকে আকর্ষণ করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে একই ধরনের ধাতুকে বিকর্ষণও করে।
চুম্বক কি?
চুম্বক হলো এমন বস্তু যা চুম্বকীয় শক্তি ধারণ করে এবং লৌহ ও লৌহসমগ্রীকে আকর্ষণ করে।
চুম্বকের প্রকারভেদ
- স্থায়ী চুম্বক (Permanent Magnet)
- নিজের মধ্যে চুম্বকত্ব ধরে রাখতে পারে।
- উদাহরণ: লোহা-নিকেল মিশ্রিত স্থায়ী চুম্বক।
- অস্থায়ী চুম্বক (Temporary Magnet)
- চুম্বকীয় ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, অর্থাৎ বাহ্যিক চুম্বক বা কারেন্টের প্রভাবেই চুম্বক হয়।
- উদাহরণ: লোহা যখন স্থায়ী চুম্বকের সংস্পর্শে আসে।
চুম্বকের প্রধান বৈশিষ্ট্য
- আকর্ষণ ও বিকর্ষণ:
- বিভিন্ন ধাতুকে আকর্ষণ করে।
- সমজাতীয় চুম্বকের ধ্রুবক বিকর্ষণ করে, বিপরীত ধ্রুবক আকর্ষণ করে।
- দ্বিধ্রুবকত্ব (Poles):
- প্রতিটি চুম্বকের দুটি ধ্রুবক থাকে: উত্তর (North Pole) এবং দক্ষিণ (South Pole)।
- একাধিক চুম্বকের উত্তর ধ্রুবক একে অপরকে বিকর্ষণ করে।
- চুম্বকীয় ক্ষেত্র (Magnetic Field):
- চুম্বক দ্বারা সৃষ্ট এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে অন্য চুম্বকীয় পদার্থ বা লোহার ক্ষুদ্র কণা আকৃষ্ট বা বিকৃষ্ট হয়।
- ক্ষেত্র রেখা উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়।
চুম্বকের ব্যবহার
- কম্পাস: পথ নির্দেশের জন্য।
- ইলেকট্রনিক্স: স্পিকার, মোটর, জেনারেটর।
- চুম্বকীয় স্টোরেজ: হার্ড ড্রাইভ, টেপ ড্রাইভ।
- শিল্প: লোহা ও লৌহসমগ্রী পৃথক করতে।
চুম্বকত্বের কারণ
- মূলত চুম্বকত্ব আসে পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনের ঘূর্ণন ও কক্ষপথের কারণে সৃষ্ট চুম্বকীয় মুহূর্ত থেকে।
- যখন অনেকগুলো পরমাণুর চুম্বকীয় মুহূর্ত একই দিক নির্দেশ করে, তখন বস্তু চুম্বকীয় হয়ে ওঠে।
চুম্বকত্বের আইন
- চুম্বকের আকর্ষণ– বিকর্ষণ আইন:
- সমজাতীয় ধ্রুবক (উত্তর-উত্তর বা দক্ষিণ-দক্ষিণ) একে অপরকে বিকর্ষণ করে।
- বিপরীত জাতীয় ধ্রুবক (উত্তর-দক্ষিণ) একে অপরকে আকর্ষণ করে।