ধাতু (Metals)

ধাতু (Metals) কী?

ধাতু হলো এমন প্রাকৃতিক উপাদান বা উপকরণ যা কঠিন (মোটামুটি) হয়, ভাল তাপ এবং বিদ্যুৎ পরিবাহী, নমনীয় ও টেকসই, এবং সাধারণত চকচকে চেহারা থাকে। ধাতুগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।


ধাতুর বৈশিষ্ট্য

  1. চকচকে হয় (Luster):
    • ধাতুগুলো সাধারণত চকচকে হয় এবং আলো প্রতিফলিত করে।
  2. তাপ বিদ্যুৎ পরিবাহী (Conductivity):
    • তাপ ও বিদ্যুৎ খুব ভালোভাবে পরিবহন করে।
  3. গঠনশীলতা (Malleability):
    • চাপ দিলে পাতলা ফিল্ম বা পাতলা পাত তৈরি করা যায়।
  4. নমনীয়তা (Ductility):
    • তার বা তারের মতো দীর্ঘ আকারে গড়া যায়।
  5. দৃঢ়তা শক্তি (Hardness and Strength):
    • বেশির ভাগ ধাতু শক্ত ও টেকসই হয়।
  6. উচ্চ গলনবিন্দু (High Melting Point):
    • অধিকাংশ ধাতুর গলনবিন্দু বেশি হয়।
  7. গভীর রং বা বিভিন্ন রঙ:
    • সাধারণত ধাতুগুলো ধূসর, সোনালি, রুপার বা বাদামি রঙের হতে পারে।

ধাতুর প্রকারভেদ

. মূল ধাতু (Pure Metals)

  • যেমন: লোহা, তামা, সোনা, রূপা।

. মিশ্র ধাতু (Alloys)

  • দুটি বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণ।
  • যেমন: ব্রোঞ্জ (তামা + কস), পিতল (তামা + জিংক), স্টিল (লোহা + কার্বন)।

ধাতুর ব্যবহার

  • গৃহস্থালী সামগ্রী: পাত্র, চামচ, চুলা ইত্যাদি।
  • বিল্ডিং নির্মাণ: লোহা, ইস্পাত বিভিন্ন কাঠামোতে।
  • যন্ত্রাংশ যানবাহন: মোটর, ইঞ্জিন, যানবাহনে ব্যবহার।
  • বিদ্যুৎ ইলেকট্রনিক্স: তার, সুইচ, বাল্বের অংশ ইত্যাদি।
  • অলঙ্কার: সোনা, রূপা, প্লাটিনাম।

ধাতু এবং অর্ধধাতু অধাতু পার্থক্য

বৈশিষ্ট্যধাতুঅর্ধধাতু / অধাতু
তাপ পরিবাহিতাভালোকম বা মাঝারি
বিদ্যুৎ পরিবাহিতাভালোকম
চকচকেথাকেথাকে না
নমনীয়তা ও গঠনশীলতাউচ্চকম
রঙধূসর, সোনালী, রুপালিকালো, সাদা, বাদামী
উদাহরণলোহা, তামা, সোনাসালফার, ফসফরাস, কার্বন

ধাতুর রূপান্তর

  • ধাতুগুলো গলিয়ে বিভিন্ন আকারে তৈরি করা যায় (গলনবিন্দু নির্ভর)।
  • মিশ্র ধাতু তৈরি করে ধাতুর গুণাবলী উন্নত করা হয়।

বিশেষ তথ্য

  • জ্বালানি উৎপাদনে ধাতুর ভূমিকা: তামা ও লোহা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবাহক হিসেবে।
  • প্রাকৃতিক উৎস: ধাতু সাধারণত খনিজ থেকে আহরণ করা হয়, যেমন বক্সাইট থেকে অ্যালুমিনিয়াম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top