বিভিন্নপদ্ধতিরব্যবহার (Use of Various Methods)

শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমে বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তুর সাথে পরিচিত করা, তাদের দক্ষতা বাড়ানো এবং শেখার প্রতি আগ্রহ জাগানোর জন্য কার্যকর।


শিক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ:

. বক্তৃতা পদ্ধতি (Lecture Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়বস্তু সরাসরি উপস্থাপন করা।
  • উপযোগিতা:
    • বড় শ্রেণিকক্ষে কার্যকর।
    • তথ্য সরবরাহের দ্রুত পদ্ধতি।
  • সুবিধা:
    • সময় সাশ্রয়।
    • শিক্ষকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।
  • অসুবিধা:
    • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের অভাব।
    • একঘেয়েমি সৃষ্টি হতে পারে।

. আলোচনা পদ্ধতি (Discussion Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের মধ্যে মুক্ত আলোচনা।
  • উপযোগিতা:
    • ধারণা উন্নয়নে কার্যকর।
    • সমবেত শিক্ষার পরিবেশ।
  • সুবিধা:
    • শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি।
    • সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি।
  • অসুবিধা:
    • সময়সাপেক্ষ।
    • নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জটিলতা।

. প্রদর্শন পদ্ধতি (Demonstration Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষকের মাধ্যমে বিষয়বস্তু বা কার্যক্রম সরাসরি দেখানো।
  • উপযোগিতা:
    • প্রায়োগিক বিষয় শেখার জন্য কার্যকর।
  • সুবিধা:
    • শিক্ষার্থীদের সহজে বোঝার জন্য সহায়ক।
    • বিষয়বস্তুর বাস্তব দিক পরিস্কার।
  • অসুবিধা:
    • পর্যাপ্ত উপকরণের প্রয়োজন।
    • বড় শ্রেণিকক্ষে পরিচালনা কঠিন।

. সমস্যা ভিত্তিক পদ্ধতি (Problem-solving Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে উৎসাহিত করা।
  • উপযোগিতা:
    • চিন্তাশক্তি এবং বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকর।
  • সুবিধা:
    • সৃজনশীলতার উন্নয়ন।
    • শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
  • অসুবিধা:
    • সময়সাপেক্ষ।
    • কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য জটিল।

. প্রকল্প পদ্ধতি (Project Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষার্থীরা দলগত বা ব্যক্তিগত প্রকল্প সম্পন্ন করে শেখে।
  • উপযোগিতা:
    • বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা প্রদান।
  • সুবিধা:
    • শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি।
    • দলগত কাজের দক্ষতা বাড়ায়।
  • অসুবিধা:
    • কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময় এবং উপকরণের প্রয়োজন।

. কার্যক্রম ভিত্তিক পদ্ধতি (Activity-based Method):

  • বিবরণ:
    শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমের মাধ্যমে শেখানো।
  • উপযোগিতা:
    • প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর।
  • সুবিধা:
    • শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি।
    • শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ।
  • অসুবিধা:
    • বড় শ্রেণিকক্ষে পরিচালনা জটিল।

. প্রযুক্তি ভিত্তিক পদ্ধতি (Technology-based Method):

  • বিবরণ:
    মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারনেট এবং স্মার্ট ক্লাস ব্যবহার।
  • উপযোগিতা:
    • আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত।
  • সুবিধা:
    • বিষয়বস্তুর আকর্ষণীয় উপস্থাপনা।
    • শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি।
  • অসুবিধা:
    • প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা।
    • খরচবহুল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top